মধ্যবর্তী নির্বাচন: ডেমোক্র্যাটদের ঘুরে দাঁড়ানোতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প by মাহাদী হাসান
২০১৮
সালের যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্পের জন্য ‘গণভোট’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। যদিও ট্রাম্প এই
নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন না। কেউ কেউ এই নির্বাচনকে মার্কিন রাজনীতির
চরিত্র নির্ধারক হিসেবেও আখ্যায়িত করেছিলেন। নির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক
ফলাফলে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা
হারিয়েছে রিপাবলিকানরা। তবে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে হয়নি
রিপাবলিকানদের। ফলে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেট এখন রিপাবলিকানদের
এবং নিম্ন কক্ষ হাউস ডেমোক্র্যাটদের দখলে। হাউসের রিপাবলিকানদের
সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ফলে দেশ পরিচালনায় আগামী দুই বছর ট্রাম্পকে বেশ
কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। যদিও সিনেট রিপাবলিকানদের থাকায়
ট্রাম্প যে কোনও ইস্যু সহজে কংগ্রেসে উত্থাপন করতে পারবেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ভোটের এই ফলাফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিছুটা চাপে পড়েছেন। সিনেট ও হাউসে রিপাবলিকানদের একক কর্তৃত্বের অবসান হয়েছে। এতে করে ২০২০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত মিলছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের ভোটের ফলাফলে মূলত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দূরত্বের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিজাত শ্রেণির সঙ্গে বাকিদের পার্থক্য রয়েছে। বেশিরভাগ রক্ষণশীল শ্বেতাঙ্গের কাছেই ট্রাম্প খুবই জনপ্রিয়।
ভোটের ফলাফল রিপাবলিকানদের জন্য সাফল্য ও ব্যর্থতার হলেও ট্রাম্প মধ্যবর্তী নির্বাচনে সাফল্যই উদযাপন করতে চান। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আজকের রাতে আমরা দারুণ সাফল্য পেয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ।’
ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এখন যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ডেমোক্র্যাটিক কমিটির প্রধানদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে ট্রাম্পকে। তাদের বিরোধিতার মুখেও পড়তে হতে পারে তাকে। রিপাবলিকানদের কাছ থেকে এমন বাধা কখনোই পাননি ট্রাম্প।
ডেমোক্র্যাটদের প্রতিনিধি পরিষদের নেতা ন্যান্সি পেলোসি এর আগে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় আবারও দায়িত্বে ফিরবেন তিনি। ডেমোক্র্যাট এই নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, সাংবিধানিক ক্ষমতা ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, আজকের ফল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের চেয়েও বড় কিছু। এটা সাংবিধানিক ক্ষমতা ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার রায়।
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের সময় প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। ট্রাম্পের শাসনামলে নিম্নকক্ষে অভিবাসন আইন, ওবামাকেয়ার প্রত্যাহার ও সামাজিক কর্মসূচি ব্যয় কমানোর মতো রক্ষণশীল প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে। যদিও এসব প্রস্তাবের অনেকগুলোই সিনেটে বাতিল হয়েছে। কিন্তু এখন প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় তারা নিজেদের কর্মসূচি বিষয়ক বিল উত্থাপন করতে পারবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ডেমোক্র্যাটদের তালিকায় প্রথমেই থাকবে সরকারের নৈতিক ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ন্যান্সি পেলোসি।
এখন ট্রাম্পকে কোনও আইন পাস করাতে হলে দলীয় বৃত্ত অতিক্রম করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ গত কয়েক মাস ধরে তিনি ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন।
ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো ডেমোক্র্যাটরা এখন ট্রাম্প প্রশাসনকে নজরদারিতে রাখার উদ্যোগ নিতে পারবে। এখন হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন ডেমোক্র্যাট অ্যাডাম স্কিফ। এই কমিটিউ ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। স্কিফ ঘোষণা দিয়েছেন, ট্রাম্পের বৈদেশিক অর্থ লেনদেনের বিষয় গভীরভাবে পর্যালোচনা করবেন। এমনকি ট্রাম্পের আয়কর প্রদানের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা ও প্রকাশ করা হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কয়েকজন কর্মকর্তাও নজরদারির আওতায় আসতে পারেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রায়ান জিংকে থাকবেন এই তালিকার সর্বাগ্রে।
পরিষদে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় ট্রাম্পকে অভিশংসনের বিষয়টিও রয়েছে আলোচনায়। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় নিম্নকক্ষে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস করানো সহজ হবে নীল শিবিরের। স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে এবং তাতে ট্রাম্পের যোগসাজশের বিষয়টি উঠে আসলে অভিশংসনের প্রস্তাব নিশ্চিতভাবেই আনবেন ডেমোক্র্যাটরা।
হাউসে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় চ্যালেঞ্জ থাকলেও সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংহত হওয়া ট্রাম্পের জন্য স্বস্তিদায়ক।
জয় নিশ্চিতের কিছুক্ষণ পরই ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। ট্রাম্পের ব্যবসায়িক বিষয়াবলী খতিয়ে দেখা, বিশেষ করে তার কর রিটার্ন নিয়েও কাজ করার কথা জানায় তারা।
পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির প্রধান হতে যাওয়া ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি জ্যারর্ড ন্যাডলার বলেন, ‘ট্রাম্প বুঝতে পারবেন যে তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ভোটের এই ফলাফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিছুটা চাপে পড়েছেন। সিনেট ও হাউসে রিপাবলিকানদের একক কর্তৃত্বের অবসান হয়েছে। এতে করে ২০২০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত মিলছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের ভোটের ফলাফলে মূলত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দূরত্বের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিজাত শ্রেণির সঙ্গে বাকিদের পার্থক্য রয়েছে। বেশিরভাগ রক্ষণশীল শ্বেতাঙ্গের কাছেই ট্রাম্প খুবই জনপ্রিয়।
ভোটের ফলাফল রিপাবলিকানদের জন্য সাফল্য ও ব্যর্থতার হলেও ট্রাম্প মধ্যবর্তী নির্বাচনে সাফল্যই উদযাপন করতে চান। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আজকের রাতে আমরা দারুণ সাফল্য পেয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ।’
ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এখন যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ডেমোক্র্যাটিক কমিটির প্রধানদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে ট্রাম্পকে। তাদের বিরোধিতার মুখেও পড়তে হতে পারে তাকে। রিপাবলিকানদের কাছ থেকে এমন বাধা কখনোই পাননি ট্রাম্প।
ডেমোক্র্যাটদের প্রতিনিধি পরিষদের নেতা ন্যান্সি পেলোসি এর আগে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় আবারও দায়িত্বে ফিরবেন তিনি। ডেমোক্র্যাট এই নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, সাংবিধানিক ক্ষমতা ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, আজকের ফল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের চেয়েও বড় কিছু। এটা সাংবিধানিক ক্ষমতা ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার রায়।
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের সময় প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। ট্রাম্পের শাসনামলে নিম্নকক্ষে অভিবাসন আইন, ওবামাকেয়ার প্রত্যাহার ও সামাজিক কর্মসূচি ব্যয় কমানোর মতো রক্ষণশীল প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে। যদিও এসব প্রস্তাবের অনেকগুলোই সিনেটে বাতিল হয়েছে। কিন্তু এখন প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় তারা নিজেদের কর্মসূচি বিষয়ক বিল উত্থাপন করতে পারবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ডেমোক্র্যাটদের তালিকায় প্রথমেই থাকবে সরকারের নৈতিক ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ন্যান্সি পেলোসি।
এখন ট্রাম্পকে কোনও আইন পাস করাতে হলে দলীয় বৃত্ত অতিক্রম করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ গত কয়েক মাস ধরে তিনি ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন।
ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো ডেমোক্র্যাটরা এখন ট্রাম্প প্রশাসনকে নজরদারিতে রাখার উদ্যোগ নিতে পারবে। এখন হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন ডেমোক্র্যাট অ্যাডাম স্কিফ। এই কমিটিউ ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। স্কিফ ঘোষণা দিয়েছেন, ট্রাম্পের বৈদেশিক অর্থ লেনদেনের বিষয় গভীরভাবে পর্যালোচনা করবেন। এমনকি ট্রাম্পের আয়কর প্রদানের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা ও প্রকাশ করা হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কয়েকজন কর্মকর্তাও নজরদারির আওতায় আসতে পারেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রায়ান জিংকে থাকবেন এই তালিকার সর্বাগ্রে।
পরিষদে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় ট্রাম্পকে অভিশংসনের বিষয়টিও রয়েছে আলোচনায়। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় নিম্নকক্ষে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস করানো সহজ হবে নীল শিবিরের। স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে এবং তাতে ট্রাম্পের যোগসাজশের বিষয়টি উঠে আসলে অভিশংসনের প্রস্তাব নিশ্চিতভাবেই আনবেন ডেমোক্র্যাটরা।
হাউসে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় চ্যালেঞ্জ থাকলেও সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংহত হওয়া ট্রাম্পের জন্য স্বস্তিদায়ক।
জয় নিশ্চিতের কিছুক্ষণ পরই ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। ট্রাম্পের ব্যবসায়িক বিষয়াবলী খতিয়ে দেখা, বিশেষ করে তার কর রিটার্ন নিয়েও কাজ করার কথা জানায় তারা।
পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির প্রধান হতে যাওয়া ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি জ্যারর্ড ন্যাডলার বলেন, ‘ট্রাম্প বুঝতে পারবেন যে তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন।
No comments