ওয়াশিংটনে সবচেয়ে শক্তিধর নারী হতে পারেন ন্যান্সি পেলোসি
এর
আগেও তিনি ইতিহাস গড়েছিলেন। এবারও সেই ইতিহাসের পথ ধরে তিনি অগ্রসর হবেন
বলে আশা করা হচ্ছে। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হয়েছিলেন কোনো নারী। তিনি ডেমোক্রেট দলের
ন্যান্সি পেলোসি (৭৮)। ওই পদে তিনি চার বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার আবার
সেই প্রতিনিধি পরিষদ ফিরে পেয়েছে ডেমোক্রেটরা। ফলে এবারও এর স্পিকার হতে
পারেন তিনিই। আর এর মধ্য দিয়ে তিনিই হয়ে উঠতে পারেন ওয়াশিংটনের ‘মোস্ট
পাওয়ারফুল ওম্যান’ বা সবচেয়ে শক্তিধর নারী।
এ খবর দিযেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়েছে, ন্যান্সি পেলোসি যদি এবারও স্পিকার হন তাহলে সবচেয়ে শক্তিধর নারীর মশালটাই শুধু তার হাতে থাকবে এমন নয়। একই সঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সামনে তীব্র এক বিরোধী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। ন্যান্সি পেলোসি এই পদে এলে কেন তাকে সবচেয়ে শক্তিধর নারী হবেন তারও একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। বরা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর হলেন প্রেসিডেন্ট। এর পরেই রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার। বর্তমানে প্রথম দুটি পদে রয়েছেন যথাক্রমে ডনাল্ড ট্রাম্প ও মাইক পেন্স। এর পরের পদটি প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের। সেই পদে যদি ন্যান্সি পেলোসি যান তাহলে নিঃসন্দেহে তিনি হবেন ওয়াশিংটনে সবচেয়ে শক্তিধর নারী। বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের দায়িত্বে আছেন রিপাবলিকান পল রায়ান।
প্রথম দফায় যখন ন্যান্সি পেলোসি স্পিকার ছিলেন তখন ক্ষমতায় রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। তার শেষ দু’বছর তীব্র বিরোধিতা গড়ে তোলেন ন্যান্সি পেলোসি। অর্থাৎ প্রতি পদে পদে তিনি প্রেসিডেন্ট বুশকে ঘায়েল করেছেন। এবার যদি তিনি স্পিকার হন তাহলে ট্রাম্পকেও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এর ফলে রিপাবলিকানরা কোনো আইন প্রয়োগ করতে গেলেই তাতে ন্যান্সি পেলোসি ও ডেমোক্রেট নেতারা বাধার সৃষ্টি করতে পারেন। আটকে দিতে পারেন নতুন প্রস্তাবিত ট্যাক্স কর্তন থেকে শুরু করে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ পর্যন্ত বহুবিধ এজেন্ডা। তার চেয়েও বড় ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারেন ন্যান্সি পেলোসি। তিনি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে চালু করতে পারেন অভিশংসন প্রক্রিয়া। যদি তাই করেন তাহলে ট্রাম্পের টিকে থাকাকে কঠিন করে তুলতে পারেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এমন শক্তিশালী রাজনৈতিক ইচ্ছা প্রয়োগ করার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক উপায়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন। যখন প্রয়োজন হবে তখন তার পাশে দাঁড়াতে পারেন। যখন প্রয়োজনীয় আইন পাসের দরকার হবে তখন তাতে সহায়তা করবেন। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেটদের বিজয় সুনিশ্চিত হওয়ার পর বক্তব্য রেখেছেন ন্যান্সি পেলোসি। তিনি তাতে বলেছেন, আমাদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ আছে। তা সত্ত্বেও ডেমোক্রেট পরিচালিত কংগ্রেস সবাইকে নিয়ে সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। মার্কিন জনগণ শান্তি চায়।
এ খবর দিযেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়েছে, ন্যান্সি পেলোসি যদি এবারও স্পিকার হন তাহলে সবচেয়ে শক্তিধর নারীর মশালটাই শুধু তার হাতে থাকবে এমন নয়। একই সঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সামনে তীব্র এক বিরোধী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। ন্যান্সি পেলোসি এই পদে এলে কেন তাকে সবচেয়ে শক্তিধর নারী হবেন তারও একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। বরা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর হলেন প্রেসিডেন্ট। এর পরেই রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার। বর্তমানে প্রথম দুটি পদে রয়েছেন যথাক্রমে ডনাল্ড ট্রাম্প ও মাইক পেন্স। এর পরের পদটি প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের। সেই পদে যদি ন্যান্সি পেলোসি যান তাহলে নিঃসন্দেহে তিনি হবেন ওয়াশিংটনে সবচেয়ে শক্তিধর নারী। বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের দায়িত্বে আছেন রিপাবলিকান পল রায়ান।
প্রথম দফায় যখন ন্যান্সি পেলোসি স্পিকার ছিলেন তখন ক্ষমতায় রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। তার শেষ দু’বছর তীব্র বিরোধিতা গড়ে তোলেন ন্যান্সি পেলোসি। অর্থাৎ প্রতি পদে পদে তিনি প্রেসিডেন্ট বুশকে ঘায়েল করেছেন। এবার যদি তিনি স্পিকার হন তাহলে ট্রাম্পকেও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এর ফলে রিপাবলিকানরা কোনো আইন প্রয়োগ করতে গেলেই তাতে ন্যান্সি পেলোসি ও ডেমোক্রেট নেতারা বাধার সৃষ্টি করতে পারেন। আটকে দিতে পারেন নতুন প্রস্তাবিত ট্যাক্স কর্তন থেকে শুরু করে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ পর্যন্ত বহুবিধ এজেন্ডা। তার চেয়েও বড় ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারেন ন্যান্সি পেলোসি। তিনি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে চালু করতে পারেন অভিশংসন প্রক্রিয়া। যদি তাই করেন তাহলে ট্রাম্পের টিকে থাকাকে কঠিন করে তুলতে পারেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এমন শক্তিশালী রাজনৈতিক ইচ্ছা প্রয়োগ করার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক উপায়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন। যখন প্রয়োজন হবে তখন তার পাশে দাঁড়াতে পারেন। যখন প্রয়োজনীয় আইন পাসের দরকার হবে তখন তাতে সহায়তা করবেন। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেটদের বিজয় সুনিশ্চিত হওয়ার পর বক্তব্য রেখেছেন ন্যান্সি পেলোসি। তিনি তাতে বলেছেন, আমাদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ আছে। তা সত্ত্বেও ডেমোক্রেট পরিচালিত কংগ্রেস সবাইকে নিয়ে সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। মার্কিন জনগণ শান্তি চায়।
No comments