ব্যবসায়ীদের স্বার্থে রফতানি উন্নয়ন তহবিল বৃদ্ধি by আশরাফুল ইসলাম
দেশের রফতানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে এবং
রফতানিকারকদের সক্ষমতা বাড়াতে রফতানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ৬০ কোটি ডলার
থেকে বাড়িয়ে ৮০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হলো।
একই সাথে এ তহবিল থেকে তৈরী পোশাক খাতের সহযোগী শিল্পের কাঁচামাল আমদানির
জন্য একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়ার অনুমোদন
করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে পৃথক দু’টি নির্দেশনা সব
বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, দেশের রফতানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে রফতানি উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়। তখন তহবিলের পরিমাণ ছিল তিন কোটি ডলার। পরে পর্যায়ক্রমে এ তহবিলের পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। গতকাল আরেক ধাপ বাড়িয়ে ৮০ কোটি ডলার করা হয়।
জানা গেছে, অনেক সময় রফতানিকারক পুঁজির অভাবে রফতানিমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে পারেন না। কাঁচামালের অভাবে পণ্য উৎপাদন করতে না পারায় যথাসময়ে পণ্যও সরবরাহ করা যায় না। এতে প্রভাব পড়ে সামগ্রিক রফতানি আয়ের ওপর। রফতানি আয় বাড়াতে ব্যবসায়ীদের পুঁজির জোগান দেয়ার জন্য এ তহবিল গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এ তহবিল বরাদ্দ দেয়া হয়। এ জন্য রফতানিকারকের সর্বোচ্চ সুদ লাইবর রেটের সাথে আড়াই শতাংশ গুনতে হয়।
আড়াই শতাংশের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক পায় এক শতাংশের সাথে লাইবর রেট (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক রেট) ও বাণিজ্যিক ব্যাংক পায় ঋণবিতরণ ব্যয়ের ১ শতাংশ।
রফতানিকারক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে আবার ওই ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ ফেরত দিয়ে থাকেন। রফতানিকারকেরা এ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন বা ছয় মাসের জন্য এ ঋণ সুবিধা পান। কেউ ছয় মাসের মধ্যে ঋণ ফেরত দিতে না পারলে উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আরো ৯০ দিন বা তিন মাস বাড়ানো হয়। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ২৭০ দিনের জন্য এ ঋণ সুবিধা পান রফতানিকারকেরা।
জানা গেছে, যেকোনো রফতানিকারক তাদের কাঁচামাল আমদানির জন্য সহজ শর্তে এ ঋণ নিতে পারেন। তবে ব্যাপকভিত্তিতে কাঁচামাল আমদানির জন্য একমাত্র বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল মালিকেরা এ সুবিধা পেতেন। বর্তমানে টেক্সটাইল খাতের একজন উদ্যোক্তা শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে তুলা আমদানির জন্য সর্বোচ্চ এক কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ সহায়তা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে তৈরী পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল তৈরী পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সহযোগী শিল্প যেমনÑ বোতাম, সুতা ইত্যাদি শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সব ধরনের ব্যবসায়ীর জন্য এ সুবিধা দেয়ার বিধান থাকলেও শুধু প্রচার- প্রচারণার অভাবে সবধরনের ব্যবসায়ী এ সুবিধা গ্রহণ করছেন না। ওই সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ২০০ ব্যবসায়ী এ সুবিধা নিয়েছেন, যার বেশির ভাগই তৈরী পোশাক রফতানিকারক। অথচ দেশে কয়েক হাজার রফতানিকারক আছেন যারা তাদের কাঁচামাল আমদানি করে থাকেন ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে। ওই সূত্র জানায়, এফবিসিসিআই থেকে স্বল্প সুদে বৈদেশিক মুদ্রা ঋণ নেয়ার প্রচারণা চালানো হলে অনেক ব্যবসায়ী এ সুবিধা নিতে পারতেন। এর ফলে ব্যবসায়ীদের রফতানিমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে ব্যাংক থেকে অধিকহারে ঋণ নিতে হতো না। এতে পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ও কমে যেত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, দেশের রফতানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে রফতানি উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়। তখন তহবিলের পরিমাণ ছিল তিন কোটি ডলার। পরে পর্যায়ক্রমে এ তহবিলের পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। গতকাল আরেক ধাপ বাড়িয়ে ৮০ কোটি ডলার করা হয়।
জানা গেছে, অনেক সময় রফতানিকারক পুঁজির অভাবে রফতানিমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে পারেন না। কাঁচামালের অভাবে পণ্য উৎপাদন করতে না পারায় যথাসময়ে পণ্যও সরবরাহ করা যায় না। এতে প্রভাব পড়ে সামগ্রিক রফতানি আয়ের ওপর। রফতানি আয় বাড়াতে ব্যবসায়ীদের পুঁজির জোগান দেয়ার জন্য এ তহবিল গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এ তহবিল বরাদ্দ দেয়া হয়। এ জন্য রফতানিকারকের সর্বোচ্চ সুদ লাইবর রেটের সাথে আড়াই শতাংশ গুনতে হয়।
আড়াই শতাংশের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক পায় এক শতাংশের সাথে লাইবর রেট (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক রেট) ও বাণিজ্যিক ব্যাংক পায় ঋণবিতরণ ব্যয়ের ১ শতাংশ।
রফতানিকারক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে আবার ওই ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ ফেরত দিয়ে থাকেন। রফতানিকারকেরা এ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন বা ছয় মাসের জন্য এ ঋণ সুবিধা পান। কেউ ছয় মাসের মধ্যে ঋণ ফেরত দিতে না পারলে উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আরো ৯০ দিন বা তিন মাস বাড়ানো হয়। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ২৭০ দিনের জন্য এ ঋণ সুবিধা পান রফতানিকারকেরা।
জানা গেছে, যেকোনো রফতানিকারক তাদের কাঁচামাল আমদানির জন্য সহজ শর্তে এ ঋণ নিতে পারেন। তবে ব্যাপকভিত্তিতে কাঁচামাল আমদানির জন্য একমাত্র বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল মালিকেরা এ সুবিধা পেতেন। বর্তমানে টেক্সটাইল খাতের একজন উদ্যোক্তা শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে তুলা আমদানির জন্য সর্বোচ্চ এক কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ সহায়তা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে তৈরী পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল তৈরী পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সহযোগী শিল্প যেমনÑ বোতাম, সুতা ইত্যাদি শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সব ধরনের ব্যবসায়ীর জন্য এ সুবিধা দেয়ার বিধান থাকলেও শুধু প্রচার- প্রচারণার অভাবে সবধরনের ব্যবসায়ী এ সুবিধা গ্রহণ করছেন না। ওই সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ২০০ ব্যবসায়ী এ সুবিধা নিয়েছেন, যার বেশির ভাগই তৈরী পোশাক রফতানিকারক। অথচ দেশে কয়েক হাজার রফতানিকারক আছেন যারা তাদের কাঁচামাল আমদানি করে থাকেন ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে। ওই সূত্র জানায়, এফবিসিসিআই থেকে স্বল্প সুদে বৈদেশিক মুদ্রা ঋণ নেয়ার প্রচারণা চালানো হলে অনেক ব্যবসায়ী এ সুবিধা নিতে পারতেন। এর ফলে ব্যবসায়ীদের রফতানিমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে ব্যাংক থেকে অধিকহারে ঋণ নিতে হতো না। এতে পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ও কমে যেত।
No comments