এক বছরে মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে ১০ হাজার যাত্রীকে ফেরত by মনির হোসেন
দীর্ঘ দিন ধরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী জনশক্তি রফতানি বন্ধ। আর এ সুযোগ
কাজে লাগিয়ে দালালেরা দুই দেশের ইমিগ্রেশন ম্যানেজ করে প্রতিদিন একাধিক
ফাইটে ‘ট্যুরিস্ট’ ভিসায় শত শত লোককে মালয়েশিয়ায় পাচার করে দিচ্ছে।
তবে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি থাকায় ফিরতি ফাইটেই
সন্দেহজনক বেশির ভাগ যাত্রীকে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। ইমিগ্রেশনের পরিসংখ্যান
অনুযায়ী গত এক বছরে ‘ট্যুরিস্ট’ নামধারী অন্তত ১০ হাজার যাত্রীকে
মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী ব্যক্তি ও তাদের এজেন্টদের চিহ্নিত করতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত টাস্কফোর্স কর্মকর্তাদের মনিটরিংয়ের কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তারা নীরবতা পালন করছেন বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার কারণে এ চক্রের তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফকিরাপুল, বিজয়নগর, আরামবাগ, গুলশান বনানী এলাকায় নামসর্বস্ব ট্র্যাভেল এজেন্সি ও কিছু রিক্রুটিং এজেন্সির মনোনীত দালালেরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বছরের পর পর ট্যুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় আদম পাচার করছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়া বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী যাত্রীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোয় এখন দালাল চক্র কখনো ঢাকা-কুয়ালালামপুর সরাসির, আবার কখনো ঢাকা-কাঠমাণ্ডু, ঢাকা-ইন্দোনেশিয়া, ঢাকা- সিঙ্গাপুর, ঢাকা-থাইল্যান্ড হয়ে সড়কপথে মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে। ইদানীং ঢাকা-ব্রুনাই ও ঢাকা-দিল্লিø সর্বশেষ ঢাকা-চেন্নাই রুট ব্যবহার করে আদম পাচারের চেষ্টা চলছে। তার পরও দেশটির ইমিগ্রেশন কঠোর হওয়ায় প্রতিদিন পাড়ি জমানো যাত্রীদের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ ৬০ জনকে ফিরতি ফাইটে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গত এক বছরের ফেরত আসার পরিসংখ্যান দিয়ে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে তিন হাজার ৫০০ ট্যুরিস্টকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। একইভাবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ফাইটে তিন হাজার ৩০০ আর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে পাড়ি দেয়া প্রায় চার হাজার যাত্রীকে একইভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, দালালেরা দুই দেশের ইমেগ্রশন কন্ট্রাক্ট করে। কখনো আড়াই লাখ আবার কখনো তিন লাখ টাকা নিয়ে গ্রামের সহজ সরল লোকগুলো মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে। চক্রের সদস্যরা তাদের যাত্রীদের যদি প্রথমবার ফেরত পাঠায় তাহলে দ্বিতীয়বার আবার পাঠায়। সেবারও ফেরত পাঠালে তৃতীবারের মতো পাঠায়। তখন যদি ফেরত আসে সেই ক্ষেত্রে দুই পক্ষ টিকিটের দাম ভাগাভাগি করে নেয়। যার কারণে ফেরত আসা যাত্রীদের কাছ থেকে দালালচক্রের কোনো তথ্য আদায় করা সম্ভব হয় না। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গতকাল পর্যন্ত মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে নেমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৬০ যাত্রী ইমিগ্রেশনের হাতে আটক হয়ে একটি ক্যাম্পে বন্দী রয়েছেন। তাদের সবাইকে ফিরতি ফাইটে দেশে ফেরত পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কারণে এখন সাধারণ যারা ট্যুরিস্ট হিসেবে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন; তার মধ্যে ৯০ শতাংশ দেশটির বিমানবন্দরে নেমে জেরার মুখে পড়ছেন। প্রত্যেকের পাসপোর্ট চেক করা ছাড়াও চোখের মণি স্ক্যানিং ও হাতের টিপ নেয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতের যেসব যাত্রীকে মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে ফিরতি ফাইটে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাদের সবার পাসপোর্ট ইমিগ্রেশনে জমা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের যাত্রীদের বেলায় ইমিগ্রেশনকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। ফলে ফেরত আসা যাত্রীদের খবর ইমিগ্রেশন জানতেই পারছে না। এতে মালয়েশিয়া থেকে কী পরিমাণ যাত্রী ফেরত আসছেন তা ইমিগ্রেশনের তালিকায় থাকছে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের কিছু কর্মকর্তা নামধারী ট্র্যাভেল ও রিক্রুটিং এজেন্সির দালালদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে এসব যাত্রীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এখন মালয়েশিয়া পাড়ি দিয়ে ফকির হচ্ছেন। বিষয়টি সরকারের নজরে দেয়া উচিত।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের ওসি (এএসপি) আশরাফুর রহমানের সাথে গত রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে যাদের ফেরত পাঠানো হয়; এ জন্য কোনো কারণ বলা হয় না। বিমানবন্দরে পর্যটক হয়রানি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা প্রবাসী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেখার বিষয়। আমাদের দায়িত্ব কাগজ ঠিক থাকলে আমরা যাওয়ার কিয়ারেন্স দিই। বিমানবন্দরে টাস্কফোর্স সদস্যরা কখনো অভিযান পরিচালনা করেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, তারা এখানে আসেন না।
এ দিকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী ব্যক্তি ও তাদের এজেন্টদের চিহ্নিত করতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত টাস্কফোর্স কর্মকর্তাদের মনিটরিংয়ের কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তারা নীরবতা পালন করছেন বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার কারণে এ চক্রের তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফকিরাপুল, বিজয়নগর, আরামবাগ, গুলশান বনানী এলাকায় নামসর্বস্ব ট্র্যাভেল এজেন্সি ও কিছু রিক্রুটিং এজেন্সির মনোনীত দালালেরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বছরের পর পর ট্যুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় আদম পাচার করছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়া বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী যাত্রীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোয় এখন দালাল চক্র কখনো ঢাকা-কুয়ালালামপুর সরাসির, আবার কখনো ঢাকা-কাঠমাণ্ডু, ঢাকা-ইন্দোনেশিয়া, ঢাকা- সিঙ্গাপুর, ঢাকা-থাইল্যান্ড হয়ে সড়কপথে মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে। ইদানীং ঢাকা-ব্রুনাই ও ঢাকা-দিল্লিø সর্বশেষ ঢাকা-চেন্নাই রুট ব্যবহার করে আদম পাচারের চেষ্টা চলছে। তার পরও দেশটির ইমিগ্রেশন কঠোর হওয়ায় প্রতিদিন পাড়ি জমানো যাত্রীদের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ ৬০ জনকে ফিরতি ফাইটে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গত এক বছরের ফেরত আসার পরিসংখ্যান দিয়ে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে তিন হাজার ৫০০ ট্যুরিস্টকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। একইভাবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ফাইটে তিন হাজার ৩০০ আর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে পাড়ি দেয়া প্রায় চার হাজার যাত্রীকে একইভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, দালালেরা দুই দেশের ইমেগ্রশন কন্ট্রাক্ট করে। কখনো আড়াই লাখ আবার কখনো তিন লাখ টাকা নিয়ে গ্রামের সহজ সরল লোকগুলো মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে। চক্রের সদস্যরা তাদের যাত্রীদের যদি প্রথমবার ফেরত পাঠায় তাহলে দ্বিতীয়বার আবার পাঠায়। সেবারও ফেরত পাঠালে তৃতীবারের মতো পাঠায়। তখন যদি ফেরত আসে সেই ক্ষেত্রে দুই পক্ষ টিকিটের দাম ভাগাভাগি করে নেয়। যার কারণে ফেরত আসা যাত্রীদের কাছ থেকে দালালচক্রের কোনো তথ্য আদায় করা সম্ভব হয় না। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গতকাল পর্যন্ত মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে নেমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৬০ যাত্রী ইমিগ্রেশনের হাতে আটক হয়ে একটি ক্যাম্পে বন্দী রয়েছেন। তাদের সবাইকে ফিরতি ফাইটে দেশে ফেরত পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কারণে এখন সাধারণ যারা ট্যুরিস্ট হিসেবে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন; তার মধ্যে ৯০ শতাংশ দেশটির বিমানবন্দরে নেমে জেরার মুখে পড়ছেন। প্রত্যেকের পাসপোর্ট চেক করা ছাড়াও চোখের মণি স্ক্যানিং ও হাতের টিপ নেয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতের যেসব যাত্রীকে মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে ফিরতি ফাইটে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাদের সবার পাসপোর্ট ইমিগ্রেশনে জমা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের যাত্রীদের বেলায় ইমিগ্রেশনকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। ফলে ফেরত আসা যাত্রীদের খবর ইমিগ্রেশন জানতেই পারছে না। এতে মালয়েশিয়া থেকে কী পরিমাণ যাত্রী ফেরত আসছেন তা ইমিগ্রেশনের তালিকায় থাকছে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের কিছু কর্মকর্তা নামধারী ট্র্যাভেল ও রিক্রুটিং এজেন্সির দালালদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে এসব যাত্রীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এখন মালয়েশিয়া পাড়ি দিয়ে ফকির হচ্ছেন। বিষয়টি সরকারের নজরে দেয়া উচিত।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের ওসি (এএসপি) আশরাফুর রহমানের সাথে গত রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে যাদের ফেরত পাঠানো হয়; এ জন্য কোনো কারণ বলা হয় না। বিমানবন্দরে পর্যটক হয়রানি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা প্রবাসী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেখার বিষয়। আমাদের দায়িত্ব কাগজ ঠিক থাকলে আমরা যাওয়ার কিয়ারেন্স দিই। বিমানবন্দরে টাস্কফোর্স সদস্যরা কখনো অভিযান পরিচালনা করেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, তারা এখানে আসেন না।
No comments