রেকর্ডের পথে ডে-লিউয়িস
ইতিহাস গড়ার পথে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত হলিউড অভিনেতা ডে লিউয়িস। অস্কারের
ইতিহাসে তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার খেতাব জেতার পথে রয়েছেন তিনি।
স্টিভেন
স্পিলবার্গের লিংকন ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয়ের জন্য ৫৫ বছর বয়সী মার্কিন
অভিনেতা ডে লিউয়িস নতুন ইতিহাসে কিংবদন্তির তালিকায় নাম উঠানে এখন
সময়ের ব্যাপার মাত্র। সিনেমাটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে মার্কিন গৃহযুদ্ধের
বিষয় নিয়ে।প্রেসিডেন্ট অ্যাব্রাহাম লিংকনের ভূমিকায় অভিনয় করে চলতি
মওসুমে প্রায় সব পুরস্কার পকেটে পুরেছেন ড্যানিয়েল ডে-লিউয়িস। ব্রিটিশ
বাফটা অ্যাওয়াডসেও তিনিই থাকছেন সবার শীর্ষে। ডে-লিউয়িস প্রথমবার সেরা
অভিনেতার অস্কার জিতেছিলেন ১৯৯০ সালে, মাই লেফট ফুট ছবিতে প্রতিবন্ধী আইরিশ
শিল্পী ক্রিস্টি ব্রাউনের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য। ২০০৮ সালে তিনি
দ্বিতীয়বার ওই একই খেতাব জেতেন ‘দেয়ার উইল বি ব্লাড’ ছবিতে তেল
অনুসন্ধানকারী ড্যানিয়েল প্লেনভিউয়ের ভূমিকায় অভিনয় করে। ডে-লিউয়িসের এ
সাফল্যের একটা কারণ হতে পারে, ছবি বাছাইয়ে সতর্কতা। বিগত ২০ বছরে মাত্র
১০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন এই ব্যতিক্রমী অভিনেতা। ডে-লিউয়িসের অস্কার
ইতিহাস সৃষ্টির পথে এবার বাদ সাধতে পারেন ‘লে মিজেরাবেল’ ছবির হিউ
জ্যাকম্যান; ‘সিলভার লাইনিংস প্লেবুক’ ছবিতে ব্র্যাডলে কুপার; দ্য মাস্টার
ছবিতে জোয়াকিন ফিনিক্স ও ফাইট ছবিতে ডেনজেল ওয়াশিংটন। কিন্তু
রয়টার্স-ইপসোস জরিপে স্পষ্ট এগিয়ে আছেন ড্যানিয়েল ডে-লিউয়িস। তবে সেটা
খানিকটা মার্কিন জনমানসে লিংকন যে আজো কতটা জায়গাজুড়ে আছেন, তার প্রতিফলন
হতে পারে মজার কথা, ডে-লিউয়িস কিন্তু জন্মসূত্রে ব্রিটিশ। সেরা অভিনেতার
খেতাবটা ডে-লিউয়িসই পাবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কাজেই যা কিছু
জল্পনা-কল্পনা, তা চলেছে বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর বা সেরা
পার্শ্ব-অভিনেতাকে কেন্দ্র করে। এখানে যে পাঁচজন মাঠে রয়েছেন তারা হলেন,
‘‘আর্গো” ছবির অ্যালান আর্কিন, ‘‘সিলভার লাইনিংস প্লেবুক”-এ বাবার ভূমিকায়
রবার্ট ডে নিরো; ‘‘দ্য মাস্টার” ছবিতে ফিলিপ সিমুর হফম্যান; ‘‘লিংকন”
ছবিতে টমি লি জোন্স এবং ‘‘জ্যাঙ্গো আনচেন্ড” ছবিতে ক্রিস্টফ ওয়াল্জ।
No comments