বিদ্যুৎবিহীন প্রাকৃতিক আলু সংরণাগার উদ্ভাবন by সাদাকাত আলী খান
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার এক কৃষিবিদ বিদ্যুৎ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে আলুসহ
সকল প্রকার কাঁচামাল হিমায়িত রাখার উন্নত পদ্ধতি উদ্ভাবনে সফলতা অর্জন
করেছেন।
ফলে এলাকার কৃষকেরা এখন তাদের উৎপাদিত আলুসহ কাঁচা সবজি ছয় মাস পর্যন্ত স্বল্প খরচে প্রাকৃতিকভাবে সংরণ করছেন
জানা গেছে, উপজেলার ৪ নম্বর পাল্টাপুর ইউনিয়নের মৃত ডা: সমসের আলীর ছেলে
তৌহিদুল ইসলাম বকুল বীরগঞ্জ শহরে নিজস্ব সাড়ে তিন শতক জায়গায় ১১০ টন
ধারণ মতাসম্পন্ন প্রাকৃতিক আলু সংরণাগার নির্মাণ করেছেন। যাতে ব্যয় হয়েছে
সাত লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। প্রাকৃতিকভাবে আলু, সবজি ও ফলসহ যেকোনো
কাঁচামাল সংরণাগার বাংলাদেশে কোথাও এ পর্যন্ত স্থাপন করা না হলেও ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের মেদেনিপুরে মাত্র ১০ টন ধারণমতা সম্পন্ন প্রাকৃতিক আলু
সংরণাগার নির্মাণ হলেও তা কার্যকর হয়নি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ১১০-২০০
টন ধারণমতাসম্পন্ন প্রাকৃতিক আলু সংরণাগার বাণিজ্যিকভাবে নির্মাণ করা সম্ভব
বলে জানান নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবক তৌহিদুল ইসলাম বকুল। শনিবার তিনি এক সংবাদ
সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিমার্ক কনসালটিং
লিমিটেডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ইফতেখারুল ইসলাম, সিনিয়র বিজনেস কনসালটেন্ট
ড. গোলাম রব্বানী, গবেষক মাহমুদুল ইসলাম প্রমুখ।
তিনি আরো জানান, ২০১১ সালে নভেম্বর মাসে তিনি প্রাকৃতিক সংরণ অবকাঠামো তৈরির পর কিছু সবজি পরীামূলকভাবে সেখানে রাখেন। ২০১২ সালের ফেব্র“য়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রফতানির উদ্দেশ্যে উন্নত পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে আলু সংরণ শুরু করা হয়। ১১০ টন পর্যন্ত বিভিন্ন জাতের আলু সংরণ করা যায় এতে। আলুর জাতগুলোর মধ্যে ডায়মন্ড, গ্রেনোলা, লেডিরোস্টা, এস্টাসিকস্ ও দেশী। পরে দেখা যায় পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ সফল। তাই প্রতি মওসুমে কৃষকেরা এখানে এক নাগারে ছয় মাস পর্যন্ত আলুসহ বিভিন্ন সবজি অত অবস্থায় সংরতি রাখতে পারবেন। তিনি জানান, বিদ্যুৎচালিত কোল্ড স্টোরেজের বিকল্প হিসেবে এই প্রাকৃতিক সংরণনাগার কার্যকরি হিসেবে পরিণত হয়েছে। বীরগঞ্জ প্রাকৃতিক আলু সংরণাগারটি কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীদের উপকারী এবং সময়োপযোগী হিসেবে গড়ে ওঠায় এতে উদ্ভাবক বকুল সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
স্থানীয় আলুচাষি হবিবর, শফিকুল ইসলাম, পুরেন চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন কৃষক জানান, ইতঃপূর্বে কোল্ডস্টোরেজের আলু সংরণের জন্য প্রতি কেজি আলুর পেছনে ব্যয় হয় পাঁচ- ছয় টাকা। এতে প্রায় মওসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে আলু পচে গেলে তিপূরণ না পাওয়ায় আমরা তিগ্রস্ত হতাম। অথচ প্রাকৃতিকভাবে আলু সংরণাগারে আলু সংরণের জন্য প্রতি কেজিতে এক টাকা খরচ হয়। হিমাগারে ব্যয় হয় ৫ টাকা। অতএব কেজিতে ৪ টাকা কৃষকের সাশ্রয় হয়। এতে কৃষকেরা লাভবান হবেন। এখানে আলুসহ সব ধরনের সবজি পচে যাওয়ার কথা কেউ বলেনি।
তিনি আরো জানান, ২০১১ সালে নভেম্বর মাসে তিনি প্রাকৃতিক সংরণ অবকাঠামো তৈরির পর কিছু সবজি পরীামূলকভাবে সেখানে রাখেন। ২০১২ সালের ফেব্র“য়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রফতানির উদ্দেশ্যে উন্নত পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে আলু সংরণ শুরু করা হয়। ১১০ টন পর্যন্ত বিভিন্ন জাতের আলু সংরণ করা যায় এতে। আলুর জাতগুলোর মধ্যে ডায়মন্ড, গ্রেনোলা, লেডিরোস্টা, এস্টাসিকস্ ও দেশী। পরে দেখা যায় পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ সফল। তাই প্রতি মওসুমে কৃষকেরা এখানে এক নাগারে ছয় মাস পর্যন্ত আলুসহ বিভিন্ন সবজি অত অবস্থায় সংরতি রাখতে পারবেন। তিনি জানান, বিদ্যুৎচালিত কোল্ড স্টোরেজের বিকল্প হিসেবে এই প্রাকৃতিক সংরণনাগার কার্যকরি হিসেবে পরিণত হয়েছে। বীরগঞ্জ প্রাকৃতিক আলু সংরণাগারটি কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীদের উপকারী এবং সময়োপযোগী হিসেবে গড়ে ওঠায় এতে উদ্ভাবক বকুল সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
স্থানীয় আলুচাষি হবিবর, শফিকুল ইসলাম, পুরেন চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন কৃষক জানান, ইতঃপূর্বে কোল্ডস্টোরেজের আলু সংরণের জন্য প্রতি কেজি আলুর পেছনে ব্যয় হয় পাঁচ- ছয় টাকা। এতে প্রায় মওসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে আলু পচে গেলে তিপূরণ না পাওয়ায় আমরা তিগ্রস্ত হতাম। অথচ প্রাকৃতিকভাবে আলু সংরণাগারে আলু সংরণের জন্য প্রতি কেজিতে এক টাকা খরচ হয়। হিমাগারে ব্যয় হয় ৫ টাকা। অতএব কেজিতে ৪ টাকা কৃষকের সাশ্রয় হয়। এতে কৃষকেরা লাভবান হবেন। এখানে আলুসহ সব ধরনের সবজি পচে যাওয়ার কথা কেউ বলেনি।
No comments