সেমিফাইনাল নিশ্চিত ঢাকা-সিলেটের-সম্ভাবনায় চিটাগং ও রাজশাহী
বিপিএলে দুই দলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে
গেছে। আপাতত টেনশনমুক্ত ওই দুই দল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ও সিলেট রয়্যালস।
এর মধ্যে ঢাকা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। সিলেট এবারই উঠল সেমিফাইনালে।
তবে
সেমিতে এদের প্রতিপক্ষ হবে কে? চলবে বাকি দুই স্থানের সেই লড়াই। সাত দলের
এ টুর্নামেন্টে এ ক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে চিটাগং কিংস ও দুরন্ত রাজশাহী। এর
মধ্যে রাজশাহী গতবারও খেলেছিল সেমিতে। কিন্তু চিটাগংয়ের চেষ্টা থাকবে
প্রথমবারের মতো ওই যোগ্যতা অর্জনে। অন্য দলগুলোর মধ্যে গতবারের ফাইনালিস্ট
বরিশালের সম্ভাবনা কিঞ্চিং। সেটা হতে পারে অনেক ‘যদি’ পেরিয়ে। তবে গতবারের
আরেক সেমিফাইনালিস্ট খুলনা ইতোমধ্যে আউট হয়ে গেছে এ লড়াই থেকে। ১০
খেলায় তাদের পয়েন্ট ৬।
এ দিকে ৯ খেলায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ঢাকা। এখনো যে তিন ম্যাচ তাদের বাকি, তাতে জয় না পেলেও সমস্যা নেই মাশরাফি, সাকিব ও আশরাফুলের ঢাকার। তবে নিঃসন্দেহে জয়ের ধারায় তারা থাকবে অভ্যাস ধরে রাখার লক্ষ্যে! সিলেটেরও সমান ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। বাকি দুই ম্যাচ হারলে সমস্যা নেই তাদেরও। মুশফিকরা কিছুটা হলেও রিলাক্স। অথচ বিপিএল শুরুর আগে অধিনায়ক মুশফিকই নিজের দলের শক্তি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। দল ব্যালান্সড হয়নি সেটা বলতেও ছাড়েননি। এর পরও সাফল্যের দিক থেকে অনেক এগিয়ে এবার তারা। টেনশনহীন ওই দুই দলের কাতারে যেতে এখন চেষ্টা চালাবে রাজশাহী ও চিটাগং কিংস। দুই দলই ১০টি করে খেলায় অংশ নিয়ে ১০ পয়েন্ট করে পেয়েছে।
এর মধ্যে মাহমুদুল্লাহর চিটাগংয়ের অবস্থা ভালো হয়নি সেই সূচনা থেকেই। তবুও সেটা মোটামুটি পার করেই এসেছে তারা। বাকি দুই ম্যাচ তাদের দুরন্ত রাজশাহী ও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের সাথে। দু’টি ম্যাচেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে তারা। কারণ সেমিফাইনালের লড়াইয়ে রয়েছে রাজশাহীও। ফলে ওই ম্যাচ অনেকটা রূপ নেবে ফাইনালের আমেজে। তবে চিটাগংয়ের শেষ ম্যাচ ঢাকার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামে মাত্র ৮৮ রানে হেরে সমালোচনার মধ্যে পড়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। হেরেছিল বড় ব্যবধানে। যদিও ওই ম্যাচের ফল প্রয়োজন নেই ঢাকার। কিন্তু প্রতিশোধের তো একটা ব্যাপার থাকবে মাশরাফি ও সাকিবের। কারণ এ দুই ক্রিকেটারই ছিলেন না ওই ম্যাচে। মাশারফির দলে না থাকা নিয়ে রহস্যের গন্ধ ছিল। তবে সাকিব খেলেননি ইনজুরির অজুহাতে। ফলে গুরুত্ব বহন করবে এ ম্যাচটিও। কারণ চ্যাম্পিয়নেরা দুই ম্যাচেই হারবে এ ছাড়াও সেমিফাইনালের আগের ম্যাচটি রিলাক্স খেলে হেরে যাবে সেটা হয়তো হতে দেবেন না মাশরাফিরা। লড়াই হবে জমজমাট। অপর দিকে দুরন্ত রাজশাহীর পরবর্তী দুই ম্যাচের একটি তো চিটাগং কিংসের সাথে। অপরটি তাদের রংপুর রাইডার্সের সাথে। আজই ওই ম্যাচ। সেমির সম্ভাবনায় রয়েছে রংপুরও। কারণ বাকি দুই ম্যাচে জয় পেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চেষ্টা করবেন তারা। সে সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে আজ লড়বে নাসির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাকরা। চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে উত্তেজনাকর জয় পেয়ে স্বপ্নে বিভোর এ দলটিও। ফলে সমান গুরুত্ব থাকবে তামিমের রাজশাহী ও রংপুর রাইডার্সের। ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে স্বপ্ন জিইয়ে থাকা আজহার মাহমুদ, ব্রাড হজের দল বরিশাল বার্নার্সের পরবর্তী তিন ম্যাচ ঢাকা, সিলেট ও রংপুর রাইডার্সের সাথে। সিলেট, ঢাকা হয়তো তাদের ম্যাচে এতটা গুরুত্ব দেবে না। কিন্তু রংপুরের সাথে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা জমজমাট। সব মিলিয়ে বিপিএলের এ পর্যায়ে এসে এমনই এক বিশ্লেষণ দাঁড় করানো যায়। তবে এসব সম্ভাবনা দলগুলো সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে। আর ওই সম্ভব-অসম্ভব উপভোগ করতেই মাঠে উপস্থিত হবেন দর্শকেরা এটা আর বলার কী!
পয়েন্ট টেবিল
দল ম্যাচ জয় পরা পয়েন্ট
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ৯ ৭ ২ ১৪
সিলেট রয়্যালস ১০ ৭ ৩ ১৪
চিটাগং কিংস ১০ ৫ ৫ ১০
দুরন্ত রাজশাহী ১০ ৫ ৫ ১০
রংপুর রাইডার্স ১০ ৪ ৬ ৮
বরিশাল বার্নার্স ৯ ৩ ৬ ৬
খুলনা রয়েল ১০ ৩ ৭ ৬
এ দিকে ৯ খেলায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ঢাকা। এখনো যে তিন ম্যাচ তাদের বাকি, তাতে জয় না পেলেও সমস্যা নেই মাশরাফি, সাকিব ও আশরাফুলের ঢাকার। তবে নিঃসন্দেহে জয়ের ধারায় তারা থাকবে অভ্যাস ধরে রাখার লক্ষ্যে! সিলেটেরও সমান ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। বাকি দুই ম্যাচ হারলে সমস্যা নেই তাদেরও। মুশফিকরা কিছুটা হলেও রিলাক্স। অথচ বিপিএল শুরুর আগে অধিনায়ক মুশফিকই নিজের দলের শক্তি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। দল ব্যালান্সড হয়নি সেটা বলতেও ছাড়েননি। এর পরও সাফল্যের দিক থেকে অনেক এগিয়ে এবার তারা। টেনশনহীন ওই দুই দলের কাতারে যেতে এখন চেষ্টা চালাবে রাজশাহী ও চিটাগং কিংস। দুই দলই ১০টি করে খেলায় অংশ নিয়ে ১০ পয়েন্ট করে পেয়েছে।
এর মধ্যে মাহমুদুল্লাহর চিটাগংয়ের অবস্থা ভালো হয়নি সেই সূচনা থেকেই। তবুও সেটা মোটামুটি পার করেই এসেছে তারা। বাকি দুই ম্যাচ তাদের দুরন্ত রাজশাহী ও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের সাথে। দু’টি ম্যাচেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে তারা। কারণ সেমিফাইনালের লড়াইয়ে রয়েছে রাজশাহীও। ফলে ওই ম্যাচ অনেকটা রূপ নেবে ফাইনালের আমেজে। তবে চিটাগংয়ের শেষ ম্যাচ ঢাকার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামে মাত্র ৮৮ রানে হেরে সমালোচনার মধ্যে পড়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। হেরেছিল বড় ব্যবধানে। যদিও ওই ম্যাচের ফল প্রয়োজন নেই ঢাকার। কিন্তু প্রতিশোধের তো একটা ব্যাপার থাকবে মাশরাফি ও সাকিবের। কারণ এ দুই ক্রিকেটারই ছিলেন না ওই ম্যাচে। মাশারফির দলে না থাকা নিয়ে রহস্যের গন্ধ ছিল। তবে সাকিব খেলেননি ইনজুরির অজুহাতে। ফলে গুরুত্ব বহন করবে এ ম্যাচটিও। কারণ চ্যাম্পিয়নেরা দুই ম্যাচেই হারবে এ ছাড়াও সেমিফাইনালের আগের ম্যাচটি রিলাক্স খেলে হেরে যাবে সেটা হয়তো হতে দেবেন না মাশরাফিরা। লড়াই হবে জমজমাট। অপর দিকে দুরন্ত রাজশাহীর পরবর্তী দুই ম্যাচের একটি তো চিটাগং কিংসের সাথে। অপরটি তাদের রংপুর রাইডার্সের সাথে। আজই ওই ম্যাচ। সেমির সম্ভাবনায় রয়েছে রংপুরও। কারণ বাকি দুই ম্যাচে জয় পেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চেষ্টা করবেন তারা। সে সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে আজ লড়বে নাসির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাকরা। চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে উত্তেজনাকর জয় পেয়ে স্বপ্নে বিভোর এ দলটিও। ফলে সমান গুরুত্ব থাকবে তামিমের রাজশাহী ও রংপুর রাইডার্সের। ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে স্বপ্ন জিইয়ে থাকা আজহার মাহমুদ, ব্রাড হজের দল বরিশাল বার্নার্সের পরবর্তী তিন ম্যাচ ঢাকা, সিলেট ও রংপুর রাইডার্সের সাথে। সিলেট, ঢাকা হয়তো তাদের ম্যাচে এতটা গুরুত্ব দেবে না। কিন্তু রংপুরের সাথে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা জমজমাট। সব মিলিয়ে বিপিএলের এ পর্যায়ে এসে এমনই এক বিশ্লেষণ দাঁড় করানো যায়। তবে এসব সম্ভাবনা দলগুলো সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে। আর ওই সম্ভব-অসম্ভব উপভোগ করতেই মাঠে উপস্থিত হবেন দর্শকেরা এটা আর বলার কী!
পয়েন্ট টেবিল
দল ম্যাচ জয় পরা পয়েন্ট
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ৯ ৭ ২ ১৪
সিলেট রয়্যালস ১০ ৭ ৩ ১৪
চিটাগং কিংস ১০ ৫ ৫ ১০
দুরন্ত রাজশাহী ১০ ৫ ৫ ১০
রংপুর রাইডার্স ১০ ৪ ৬ ৮
বরিশাল বার্নার্স ৯ ৩ ৬ ৬
খুলনা রয়েল ১০ ৩ ৭ ৬
No comments