সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির বিধানঃ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন হচ্ছে
সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির বিধান রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত আইনে বাদি, বিবাদি ও সংুব্ধ
ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন।
আইন সংশোধন করে বাদি-বিবাদির
মধ্যে সমতা আনার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশোধিত
আইনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। সংশোধনীটি মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমোদনের
পর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাবটি সংসদে
উপস্থাপন করা হবে। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ গতকাল তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণের মতামত বা প্রত্যাশা ও অভিপ্রায় অনুযায়ী আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সরকারের পাশাপাশি যেকোনো সংুব্ধ ব্যক্তি রায়ের বা দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
তিনি বলেন, নতুন সংশোধনী অনুযায়ী আগের মতোই ৩০ দিনের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপ, আসামিপ ও সংুব্ধ ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন। আপিল করার পর পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে কোনো গ্রহণযোগ্য কারণে যদি ৪৫ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি না করা যায়, তা হলে আরো ১৫ দিন সময় পাবেন আপিল বিভাগ। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে।
বর্তমান আইনটি প্রণয়নের সময় বিষয়টি বিবেচনায় না আসার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর আগেও এ আইনে দুইবার সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় সংুব্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন এমন বিধান রাখা হয়েছে। আইনের যে ধারায় বিচার করে সাজা দেয়া হয়, সেখানে পরিবর্তন এনে আপিল করা বা দণ্ড পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। দণ্ড পাওয়া কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে কেউ আপিল করলেও তা কার্যকর হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কার্যকর হবে। আইন পাসের আগে কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সে ক্ষেত্রেও এ আইন কার্যকর হবে।
আইন পরিবর্তন করলে বিতর্ক উঠবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে সবাই (উভয় পক্ষ) সমান সুযোগ পাবে। সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রাখা হচ্ছে। সুবিচার পাননি বলে কেউ মনে করলে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের আগে বিশিষ্ট আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। বৈঠকে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, আইন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপরে আইনজীবীদের সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণের মতামত বা প্রত্যাশা ও অভিপ্রায় অনুযায়ী আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সরকারের পাশাপাশি যেকোনো সংুব্ধ ব্যক্তি রায়ের বা দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
তিনি বলেন, নতুন সংশোধনী অনুযায়ী আগের মতোই ৩০ দিনের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপ, আসামিপ ও সংুব্ধ ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন। আপিল করার পর পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে কোনো গ্রহণযোগ্য কারণে যদি ৪৫ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি না করা যায়, তা হলে আরো ১৫ দিন সময় পাবেন আপিল বিভাগ। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে।
বর্তমান আইনটি প্রণয়নের সময় বিষয়টি বিবেচনায় না আসার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর আগেও এ আইনে দুইবার সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় সংুব্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন এমন বিধান রাখা হয়েছে। আইনের যে ধারায় বিচার করে সাজা দেয়া হয়, সেখানে পরিবর্তন এনে আপিল করা বা দণ্ড পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। দণ্ড পাওয়া কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে কেউ আপিল করলেও তা কার্যকর হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কার্যকর হবে। আইন পাসের আগে কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সে ক্ষেত্রেও এ আইন কার্যকর হবে।
আইন পরিবর্তন করলে বিতর্ক উঠবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে সবাই (উভয় পক্ষ) সমান সুযোগ পাবে। সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রাখা হচ্ছে। সুবিচার পাননি বলে কেউ মনে করলে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের আগে বিশিষ্ট আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। বৈঠকে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, আইন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপরে আইনজীবীদের সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
No comments