বর্তমান সরকারের ৪ বছরে খুন হয়েছেন ১৬ হাজার
বর্তমান সরকারের চার বছরে ৫১টি রাজনৈতিক খুনসহ ১৬ হাজার ২৮৫টি খুনের ঘটনা
ঘটেছে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের মেয়াদের শুরু থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর
পর্যন্ত সারা দেশে খুন-গুম, ধর্ষণসহ ৯৮ হাজার ১৮৪টি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে।
তকাল
সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর এ
তথ্য জানান। ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে বিকেলে সংসদের বৈঠক শুরু
হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। বিএনপির সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিগন
চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জানুয়ারি ২০০৯ থেকে
ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত সংঘটিত ১৬ হাজার ২৮৫টি খুনের ঘটনার মধ্যে অরাজনৈতিক
খুন ১৬ হাজার ৭৪ জন, রাজনৈতিক খুন ৫১ জন এবং দাঙ্গায় খুন হয়েছেন ১৬০ জন।
বিএনপির জয়নাল আবদিনের এক প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দীন খান আলমগীর জানান, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০১২ পর্যন্ত সংঘটিত ৯৮ হাজার ১৮৪টি অপরাধের ঘটনার মধ্যে খুনের ঘটনা ১৫ হাজার ৩০৪টি, দস্যুতা চার হাজার ১৬২টি, এডিস নিক্ষেপ ৩৩৯টি, নারী নির্যাতন ৫০ হাজার ৬৬৯টি, গবাদিপশু চুরি তিন হাজার ২৪৩টি, ডাকাতি দুই হাজার ৫০৪টি, দাঙ্গা ৪১৫টি, ধর্ষণ ১২ হ্জাার ৭৫০টি, শিশু নির্যাতন পাঁচ হাজার ৬৩৯টি এবং অপহরণ-গুমের ঘটনা তিন হাজার ১৫৯টি।
অপরাধ দমনে সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এসব অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে। সম্ভাব্য স্পটগুলো চিহ্নিত করত পুলিশি টহল জোরদার হয়েছে। বেশির ভাগ অপরাধী গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা ৩৩ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার ৭৫৬ জন এবং মহিলা এক হাজার ৮১৪ জন। বর্তমানে এই কারাগারগুলোয় আটক বন্দীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ৪০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৬ হাজার ৮২ জন এবং মহিলা দুই হাজার ৩২০ জন। মন্ত্রীর তথ্য মতে দেখা গেছে, দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি বন্দী রয়েছেন।
এ বি এম আশরাফ উদ্দিনের (নিজান) প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে এজাহারভুক্ত মোট আসামির সংখ্যা অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সরকার দলের ফজিলাতুন নেসার প্রশ্নের উত্তরে মহিউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ২০১২ সালে যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপ, নারী অপহরণ, নারী ধর্ষণ করে মৃত্যু বা আহত করা, নারী হত্যা বা আহত করা ইত্যাদি কারণে ১৯ হাজার ৪২২ জন নারী নির্যাতিত হয়েছেন।
শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাব পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনি জানান, বিশ্বের ৪৭টিরও বেশি দেশে চার হাজার ৫৩২ জন বাংলাদেশী নাগরিক আটক রয়েছেন।
মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিফঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বর্তমানে পুলিশের এক হাজার ৮৩১ জন সদস্য কর্মরত রয়েছেন। একই বিষয়ে মোছাম্মৎ ফরিদা আখতারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনি জানান, জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১১২ জন সদস্য মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সশস্ত্রবাহিনীর ৯৭ জন এবং পুলিশের ১৫ জন। শান্তিরক্ষাকার্যক্রমে দায়িত্ব পালনকালে সর্বোচ্চ ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব ৭৭ জনকে (মরণোত্তর) দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পদকে ভূষিত করেছেন।
তালুকদার মো: ইউনুসের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়টি বর্তমান সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। তবে বিষয়টি এককভাবে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল নয় এবং কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিএনপির জয়নাল আবদিনের এক প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দীন খান আলমগীর জানান, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০১২ পর্যন্ত সংঘটিত ৯৮ হাজার ১৮৪টি অপরাধের ঘটনার মধ্যে খুনের ঘটনা ১৫ হাজার ৩০৪টি, দস্যুতা চার হাজার ১৬২টি, এডিস নিক্ষেপ ৩৩৯টি, নারী নির্যাতন ৫০ হাজার ৬৬৯টি, গবাদিপশু চুরি তিন হাজার ২৪৩টি, ডাকাতি দুই হাজার ৫০৪টি, দাঙ্গা ৪১৫টি, ধর্ষণ ১২ হ্জাার ৭৫০টি, শিশু নির্যাতন পাঁচ হাজার ৬৩৯টি এবং অপহরণ-গুমের ঘটনা তিন হাজার ১৫৯টি।
অপরাধ দমনে সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এসব অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে। সম্ভাব্য স্পটগুলো চিহ্নিত করত পুলিশি টহল জোরদার হয়েছে। বেশির ভাগ অপরাধী গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা ৩৩ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার ৭৫৬ জন এবং মহিলা এক হাজার ৮১৪ জন। বর্তমানে এই কারাগারগুলোয় আটক বন্দীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ৪০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৬ হাজার ৮২ জন এবং মহিলা দুই হাজার ৩২০ জন। মন্ত্রীর তথ্য মতে দেখা গেছে, দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি বন্দী রয়েছেন।
এ বি এম আশরাফ উদ্দিনের (নিজান) প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে এজাহারভুক্ত মোট আসামির সংখ্যা অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সরকার দলের ফজিলাতুন নেসার প্রশ্নের উত্তরে মহিউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ২০১২ সালে যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপ, নারী অপহরণ, নারী ধর্ষণ করে মৃত্যু বা আহত করা, নারী হত্যা বা আহত করা ইত্যাদি কারণে ১৯ হাজার ৪২২ জন নারী নির্যাতিত হয়েছেন।
শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাব পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনি জানান, বিশ্বের ৪৭টিরও বেশি দেশে চার হাজার ৫৩২ জন বাংলাদেশী নাগরিক আটক রয়েছেন।
মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিফঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বর্তমানে পুলিশের এক হাজার ৮৩১ জন সদস্য কর্মরত রয়েছেন। একই বিষয়ে মোছাম্মৎ ফরিদা আখতারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনি জানান, জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১১২ জন সদস্য মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সশস্ত্রবাহিনীর ৯৭ জন এবং পুলিশের ১৫ জন। শান্তিরক্ষাকার্যক্রমে দায়িত্ব পালনকালে সর্বোচ্চ ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব ৭৭ জনকে (মরণোত্তর) দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পদকে ভূষিত করেছেন।
তালুকদার মো: ইউনুসের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়টি বর্তমান সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। তবে বিষয়টি এককভাবে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল নয় এবং কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
No comments