সিনজেনটার এমিস্টার টপ ব্যবহার করে কাঁদছেন হাজার হাজার পেঁয়াজচাষি by ওয়াজেদুল হক
কৃষকের কাছে ব্যাপক পরিচিত নাম ‘কৃষিতে সিনজেনটা’। সেই সিনজেনটা কোম্পানির
‘এমিস্টার টপ’ ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে কাঁদছেন হাজার হাজার পেঁয়াজচাষি।
এই
ছত্রাকনাশক স্প্রে করায় মাঠের পর মাঠ পেঁয়াজগাছের মাথা পুড়ে গেছে। ফলে
কমপে ৫০০ টন ফলন কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। এতে প্রায় কোটি টাকা
লোকসান গুনতে হবে তাদের।
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার প্রধান অর্থকরী ফসল সুখ সাগর পেঁয়াজ। এবারো এ উপজেলায় প্রায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছেন কৃষকেরা। বিগত বছরগুলোতে বায়ারের ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে আসছিলেন পেঁয়াজচাষিরা। এ বছর সিনজেনটা কোম্পানির বিক্রয় কর্মীরা মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের পেঁয়াজে এমিস্টার টপ ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করেন। অন্য ছত্রাকনাশকের চেয়ে এটি ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে বলেও জানান তারা। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ উপজেলার প্রায় ৬০ ভাগ কৃষক তাদের পরামর্শ মতো এমিস্টার টপ স্প্রে করে পেঁয়াজের জমিতে। কিন্তু ফল হয় বিপরীত। কৃষকেরা ল করে দেখে যারাই এ ছত্রাকনাশক ব্যবহার করেছে তাদের জমির পেঁয়াজগাছের মাথা পুড়ে যাচ্ছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্রয় কর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। অনেক খুুঁজেও তাদের আর দেখা পাননি কৃষকেরা।
শিবপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আরজান আলী জানান, সিনজেনটার বিক্রয় কর্মী তাকে এমিস্টার টপ ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করে বলেন, এটি ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন। তি হলে কোম্পানি তিপূরণ দেবে। কিন্তু ফল পেয়েছেন বিপরীত। তার চার বিঘা জমির পেঁয়াজগাছের মাথা পুড়ে গেছে। যে পেঁয়াজের ফলন পাওয়ার আশা ছিল বিঘাপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ মণ, সেখানে এখন ফলন হবে ৮০ থেকে ১০০ মণ। ফলে তাকে মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হবে। এ উপজেলার শিবপুর, ভবানন্দপুর, বিশ্বনাথপুর, আনন্দবাস, নাজিরাকোনা গ্রামের চাষিদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে একই ধরনের অভিযোগ।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ শেখ আমিনুল হক জানান, জেলায় এবার এক হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। যার মধ্যে মুজিবনগর উপজেলায় চাষ হয়েছে প্রায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে। কোনো ছত্রাকনাশক ব্যবহারের ফলে পেঁয়াজের মাথা পোড়েনি। এ বছর তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে যাওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে চাষিদের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ছত্রাকনাশকটি পরীা করে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
কৃষি কর্মকর্তার এমন বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করে শিবপুর গ্রামের কৃষক এনামুল হক জানান, আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারণে ফসল রোগাক্রান্ত হলেই তো ছত্রাকনাশক বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই ছত্রাকনাশক কাজ না করে যদি ফসলের তি করে তাহলে নিশ্চয় সেটি গুণগত মান সম্মত নয়। চাষিদের ১০০ মিলি এমিস্টার টপ কিনতে হচ্ছে ২৬৫ টাকায়। আগে সপ্তাহে এক দিন স্প্রে করা লাগতো। আর এখন সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন স্প্রে করতে হচ্ছে। এক বিঘা পেঁয়াজ চাষ করতে আগে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হতো। এবার চড়া মূল্যের এই ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি ছত্রাকনাশকের কৌটা দেখিয়ে বলেন, এটির ব্যবহার বিধিতে বলা হয়েছে শুধু ধানের ব্লাস্ট ও খোলপচা রোগে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু কিভাবে এটি পেঁয়াজে ব্যবহার করতে বলল তা বুঝে আসছে না। আসাদুল হক জানান, মুজিবনগর উপজেলার ৬০ ভাগ চাষিই তির শিকার হয়েছে। তিগ্রস্ত জমির পরিমাণ হবে কমপে তিন হাজার বিঘা। পেঁয়াজগাছের মাথা পুড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের গুটি ছোট হয়ে যাবে। এতে প্রায় অর্ধেক ফলন কমে যাবে। বল্লভপুর গ্রামের খুচরা ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন জানান, তিনি নিজেই সার-বিষের ব্যবসায় করেন। এবার সিনজেনটার এমিস্টার টপ ব্যবহার করে তার চার বিঘা জমির পেঁয়াজ পুড়ে গেছে। পরে বায়ারের রোবরাল ও ফলিকুর ব্যবহার করে কিছুটা উপকার পেয়েছেন। শিবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিষয়টি কোম্পানিকে অবহিত করা হয়েছে। তবে তারা কোনো খোঁজখবর নেয়নি।
একই গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, বিক্রয় কর্মীরা সব পালিয়ে গেছেন। তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সিনজেনটার ডিলার মিরাজুল হক লিটন জানান, কৃষকেরা বেশি ফলনের আশায় অতিরিক্ত মাত্রায় ছত্রাকনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করে। যার ফলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার প্রধান অর্থকরী ফসল সুখ সাগর পেঁয়াজ। এবারো এ উপজেলায় প্রায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছেন কৃষকেরা। বিগত বছরগুলোতে বায়ারের ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে আসছিলেন পেঁয়াজচাষিরা। এ বছর সিনজেনটা কোম্পানির বিক্রয় কর্মীরা মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের পেঁয়াজে এমিস্টার টপ ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করেন। অন্য ছত্রাকনাশকের চেয়ে এটি ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে বলেও জানান তারা। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ উপজেলার প্রায় ৬০ ভাগ কৃষক তাদের পরামর্শ মতো এমিস্টার টপ স্প্রে করে পেঁয়াজের জমিতে। কিন্তু ফল হয় বিপরীত। কৃষকেরা ল করে দেখে যারাই এ ছত্রাকনাশক ব্যবহার করেছে তাদের জমির পেঁয়াজগাছের মাথা পুড়ে যাচ্ছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্রয় কর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। অনেক খুুঁজেও তাদের আর দেখা পাননি কৃষকেরা।
শিবপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আরজান আলী জানান, সিনজেনটার বিক্রয় কর্মী তাকে এমিস্টার টপ ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করে বলেন, এটি ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন। তি হলে কোম্পানি তিপূরণ দেবে। কিন্তু ফল পেয়েছেন বিপরীত। তার চার বিঘা জমির পেঁয়াজগাছের মাথা পুড়ে গেছে। যে পেঁয়াজের ফলন পাওয়ার আশা ছিল বিঘাপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ মণ, সেখানে এখন ফলন হবে ৮০ থেকে ১০০ মণ। ফলে তাকে মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হবে। এ উপজেলার শিবপুর, ভবানন্দপুর, বিশ্বনাথপুর, আনন্দবাস, নাজিরাকোনা গ্রামের চাষিদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে একই ধরনের অভিযোগ।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ শেখ আমিনুল হক জানান, জেলায় এবার এক হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। যার মধ্যে মুজিবনগর উপজেলায় চাষ হয়েছে প্রায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে। কোনো ছত্রাকনাশক ব্যবহারের ফলে পেঁয়াজের মাথা পোড়েনি। এ বছর তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে যাওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে চাষিদের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ছত্রাকনাশকটি পরীা করে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
কৃষি কর্মকর্তার এমন বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করে শিবপুর গ্রামের কৃষক এনামুল হক জানান, আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারণে ফসল রোগাক্রান্ত হলেই তো ছত্রাকনাশক বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই ছত্রাকনাশক কাজ না করে যদি ফসলের তি করে তাহলে নিশ্চয় সেটি গুণগত মান সম্মত নয়। চাষিদের ১০০ মিলি এমিস্টার টপ কিনতে হচ্ছে ২৬৫ টাকায়। আগে সপ্তাহে এক দিন স্প্রে করা লাগতো। আর এখন সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন স্প্রে করতে হচ্ছে। এক বিঘা পেঁয়াজ চাষ করতে আগে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হতো। এবার চড়া মূল্যের এই ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি ছত্রাকনাশকের কৌটা দেখিয়ে বলেন, এটির ব্যবহার বিধিতে বলা হয়েছে শুধু ধানের ব্লাস্ট ও খোলপচা রোগে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু কিভাবে এটি পেঁয়াজে ব্যবহার করতে বলল তা বুঝে আসছে না। আসাদুল হক জানান, মুজিবনগর উপজেলার ৬০ ভাগ চাষিই তির শিকার হয়েছে। তিগ্রস্ত জমির পরিমাণ হবে কমপে তিন হাজার বিঘা। পেঁয়াজগাছের মাথা পুড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের গুটি ছোট হয়ে যাবে। এতে প্রায় অর্ধেক ফলন কমে যাবে। বল্লভপুর গ্রামের খুচরা ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন জানান, তিনি নিজেই সার-বিষের ব্যবসায় করেন। এবার সিনজেনটার এমিস্টার টপ ব্যবহার করে তার চার বিঘা জমির পেঁয়াজ পুড়ে গেছে। পরে বায়ারের রোবরাল ও ফলিকুর ব্যবহার করে কিছুটা উপকার পেয়েছেন। শিবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিষয়টি কোম্পানিকে অবহিত করা হয়েছে। তবে তারা কোনো খোঁজখবর নেয়নি।
একই গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, বিক্রয় কর্মীরা সব পালিয়ে গেছেন। তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সিনজেনটার ডিলার মিরাজুল হক লিটন জানান, কৃষকেরা বেশি ফলনের আশায় অতিরিক্ত মাত্রায় ছত্রাকনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করে। যার ফলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
No comments