সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নৈরাজ্য প্রতিবাদে কাল দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ
রাজনৈতিক প্রতিহিংসাচরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়
দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর প থেকে আগামীকাল
মঙ্গলবার দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিােভ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলের ভারপ্রাপ্ত
সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান গতকাল এক বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে
তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাচরিতার্থ করার হীনউদ্দেশ্যে সরকারের
পৃষ্ঠপোষকতা ও ছত্রছায়ায় দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টার তীব্র
নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাচরিতার্থ করার জন্য
সরকার গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যেই
সরকার পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।
ট্রাইব্যুনালকে নিজেদের ইচ্ছামতো নিজস্ব ছকে চলতে বাধ্য করার জন্য চাপ
সৃষ্টি করতে সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের
ইচ্ছানুযায়ী ট্রাইব্যুনালকে রায় দিতে বাধ্য করার জন্য ঢাকা মহানগরীর
শাহবাগ ও দেশের অন্যান্য স্থানে তাদের নিজেদের দলের লোকদের সমবেত করে
উসকানিমূলক অশ্লীল বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী
ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার
ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রমকে সরকারের নিজস্ব ছকে পরিচালনার উদ্দেশ্যে সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেয়ার ঘোষণা দিয়ে আসছেন। কয়েক দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিসরে গিয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের দিনণ নির্দিষ্ট করে বক্তব্য দিয়ে এসেছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, বিচারের নামে সরকার একটি প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করছে। প্রতিহিংসাচরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে সরকারের মন্ত্রীরা এখন আইন পরিবর্তনের কথাও বলতে শুরু করেছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে, সরকার বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিপকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই ন্যায়বিচার না পাওয়ার যে আশঙ্কা ব্যক্ত করে আসছেন তা আজ সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, কয়েক দিন আগে হরতাল চলাকালে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা বগুড়ায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন নেতাকর্মী ও চট্টগ্রামে চারজনকে হত্যা করেছে। চট্টগ্রামে ইসলামী ছাত্রশিবিরের একজন কর্মীকে পুলিশ দুই চোখ তুলে ফেলে হত্যা করেছে। এর চেয়ে নৃশংসতা ও বর্বরতা আর কী হতে পারে?
ইতোমধ্যেই দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনবিদরা এ ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিয়ে জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি করেছেন। কোনো কোনো আইনবিদ ও মানবাধিকার সংস্থার প থেকে বিরাজমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকার তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাচরিতার্থ করার জন্য যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা দেশের জনগণ বাস্তবায়ন করতে দেবে না।
তিনি ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেয়া, সরকারের জুলুম-নির্যাতন বন্ধ, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীর মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিধান সংবিধানে পুনর্বহাল করা ও জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর প থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিােভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত এ কর্মসূচি সফল করার জন্য তিনি দলের সব শাখার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান এবং দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রমকে সরকারের নিজস্ব ছকে পরিচালনার উদ্দেশ্যে সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেয়ার ঘোষণা দিয়ে আসছেন। কয়েক দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিসরে গিয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের দিনণ নির্দিষ্ট করে বক্তব্য দিয়ে এসেছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, বিচারের নামে সরকার একটি প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করছে। প্রতিহিংসাচরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে সরকারের মন্ত্রীরা এখন আইন পরিবর্তনের কথাও বলতে শুরু করেছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে, সরকার বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিপকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই ন্যায়বিচার না পাওয়ার যে আশঙ্কা ব্যক্ত করে আসছেন তা আজ সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, কয়েক দিন আগে হরতাল চলাকালে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা বগুড়ায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন নেতাকর্মী ও চট্টগ্রামে চারজনকে হত্যা করেছে। চট্টগ্রামে ইসলামী ছাত্রশিবিরের একজন কর্মীকে পুলিশ দুই চোখ তুলে ফেলে হত্যা করেছে। এর চেয়ে নৃশংসতা ও বর্বরতা আর কী হতে পারে?
ইতোমধ্যেই দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনবিদরা এ ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিয়ে জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি করেছেন। কোনো কোনো আইনবিদ ও মানবাধিকার সংস্থার প থেকে বিরাজমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকার তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাচরিতার্থ করার জন্য যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা দেশের জনগণ বাস্তবায়ন করতে দেবে না।
তিনি ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেয়া, সরকারের জুলুম-নির্যাতন বন্ধ, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীর মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিধান সংবিধানে পুনর্বহাল করা ও জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর প থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিােভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত এ কর্মসূচি সফল করার জন্য তিনি দলের সব শাখার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান এবং দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
No comments