দ্রুত আইন করে ফাঁসির রায় ও জামায়াত নিষিদ্ধ করার দাবি মহাজোট এমপিদের
ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার
মামলার রায় এবং শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে গতকাল সংসদে উত্তপ্ত আলোচনা
হয়েছে।
বিকেলে
পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত আলোচনা শুরুর দিকে স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল
আজিম ট্রাইব্যুনাল প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যায়িত করলে এবং এ কারণেই শাহবাগের
আন্দোলন গড়ে উঠেছে মর্মে বক্তব্য রাখলে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা ক্ষুব্ধ
হয়ে হইচই শুরু করেন। আর তখনই তার মাইক বন্ধ করে দেন বৈঠকে সভাপতিত্বকারী
ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী। এর প্রতিবাদে ফজলুল আজিম বৈঠক থেকে ওয়াট আউট
করেন। এ দিকে আলোচনায় অংশ নিয়ে মহাজোটের এমপিরা শাহবাগ আন্দোলনের সাথে
একাত্মতা ঘোষণা করে তাদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে কাদের
মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন সবার ফাঁসির রায় নিশ্চিত
করা এবং জামায়াতসহ ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দ্রুত আইন করার
দাবি জানান। তারা বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য নেতা
ট্রাইব্যুনাল নিয়ে কথা বলায় তাদের তীব্র সমালোচনা করে বলেন,
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার পাশাপাশি তাদেরও বিচার হবে।
দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন ঘোষণা করে ডেপুটি স্পিকার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় যাওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে বার কাউন্সিলের সহসভাপতি খন্দকার মাহবুবের বক্তব্যের সমালোচনাসহ বিচারের বিষয় নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন। এর পর একে একে রাত প্রায় সোয়া ৮টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৩ জন মন্ত্রী-এমপি দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন। তবে বিরোধী দলবিহীন সংসদে একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম ফোর নিয়ে এ প্রসঙ্গে কথা শুরুর সাথে সাথেই সরকার দলীয় সদস্যরা হইচই করে তার বক্তব্য প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে তিনি ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং শাহবাগের আন্দোলন সে জন্যই গড়ে উঠেছে মর্মে কথা বলতে গেলে সরকারি দলের সদস্যরা মারমুখো হয়ে ওঠেন। তখন স্পিকার তার মাইক বন্ধ করে দেন। পরে সরকারি দলের কোনো কোনো সদস্য বিএনপি নেতাদের নাম উল্লেখ করে তুই তোকারি ধরনের শব্দও উচ্চারণ করেন। তবে অন্যান্য সময় এই ধরনের শব্দ একপাঞ্জ করার কথা স্পিকার সাথে সাথেই জানালেও গতকাল এসব শব্দ একপাঞ্জ করার কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
শুরুতে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আজ জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই বিচারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যখন এই ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে তখন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহাবুব হোসেন এই ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিতে বলেছেন। ইতঃপূর্বে জামায়াতও ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিতে বলেছিলেন। খালেদা জিয়া এক সময় বলেছিল গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদী যুদ্ধাপরাধী নয়। তাদের মুক্তি দিতে হবে। তিনি বলেছিলেন জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে এই বিচার হতে হবে। আজ আন্তর্জাতিক মানসম্মত এই ট্রাইব্যুনালে স্বচ্ছতার সাথে বিচার চলছে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে শেখ সেলিম বলেছেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন ওইটা নাকি (শাহবাগের আন্দোলন) সাজানো নাটক। সাজানো নাটক হলে, সাহস থাকলে ওই খানে একবার আয়, তোর টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আরেক জন আছেÑ এম কে আনোয়ার, যাকে সবাই বলে মাথা খারাপ আনোয়ার। ওই মাথা খারাপ আনোয়ার বলেছে এটা সাজানো প্রতিবাদ। প্রতিবাদ কখনো সাজানো হয়? সাজানো নাটক তোমরা জানো, ওটা আওয়ামী লীগ জানেন না। আরেকজন আছে মাহাবুব ওয়ান ইলেভেনের সময় জুতা খেয়েছিল। ও তো রাজাকার ছিল। এই যে কয়টায় কথা বলছেন এদের বায়োডাটা খুঁজে বের করেন।
এরপর জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, তরুণ প্রজন্মের উৎসাহে সারা দেশ জেগে উঠেছে। এই আন্দোলন কোনো দলের নয়, এটা দেশের কোটি কোটি জনতার আন্দোলন। এরপর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম বলেন, ছয় দিন ধরে অবস্থান নিয়ে আমাদের তারুণ্যের অভিযানে অভিনন্দন জানাই। এই প্রজন্ম চত্বরে সত্যিকার অর্থে জনতার আন্দোলন হচ্ছে। এই আন্দোলনকে নিয়ে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের উৎসাহ দেখানোর কোন কারণ নেই। আজিমের এই বক্তব্যের সাথে সাথে তার প্রতিবাদ জানিয়ে হাউজে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। এ সময় ফজলুল আজিম সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বসেন, সিট ডাউন, লেট মি ফিনিস। কিন্তু এতে চিৎকার চেঁচামেচি আরো বেড়ে গেলে তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মাননীয় স্পিকার উইল ইউ অ্যালাউ মি টু স্পিক। জবাবে স্পিকার বলেন, আপনি শেষ করুন না হলে বন্ধ হয়ে যাবে। পরে আজিম চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে কথা বলতে থাকেন। সরকারি দলের সদস্যদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, চিৎকার করলে হবে না। চিৎকার করলে ওখানে যান। ওইখানে গিয়ে চিল্লান। আজিমের বক্তব্য শেষ না হওয়ার আগেই স্পিকার তার মাইক অফ করে দিয়ে সরকার দলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পিকে ফোর দেন। কিন্তু ফজলুল আজিম না বসে মাইক ছাড়াই কথা বলতে থাকেন। তখন স্পিকার বলে উঠেন, মাননীয় সংসদ সদস্য আপনার মাইক অফ করা হয়েছে প্লিজ বসুন। ফজলুল আজিম প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সমগ্র জাতির অনুভূতির বিপক্ষে যারা দাঁড়িয়েছে তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আব্দুল মান্নান বলেন, স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিমের বক্তব্য প্রমাণ করে কিছু মানুষ আছে তারা ঐক্যবদ্ধ জাতির সাথে একমত নয়।
অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, বাঙালি মানুষ হয়েছে, রবীন্দ্রনাথের উক্তি ভুল প্রমাণ করেছে। স্বাধীন দেশে ফাঁসির দাবি নাগরিক দাবি। সব রাজাকারের ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে।
খান টিপু সুলতান ফজলুল আজিমের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, একজন স্বতন্ত্র সদস্য ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন।
মইন উদ্দিন খান বাদল বলেন, দেশে ১৯৭১ আবার জন্ম নিয়েছে। নবপ্রজন্মের যোদ্ধারা যুদ্ধ করছে। আমাদের সন্তানেরা যে আগুন জ্বালিয়েছে তাতে নিজেদের শুদ্ধ করার এখন সময়।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ’৭১-এর পুনর্জন্ম হয়েছে। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের স্লেøাগান সংসদ থেকেও উঠছে। পার্লামেন্ট থেকে প্রতিনিধি গিয়ে সংহতি প্রকাশ করা দরকার।
আব্দুল মতিন খসরু বলেন, যে রায় হয়েছে সেই রায়ে আসামি যদি আপিল করতে পারে তাহলে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করতে পারবে না কেন। উনার বিরুদ্ধে খুনের রায় প্রমাাণিত হয়েছে। উনি গণহত্যার সাথে জড়িত। গণ হত্যার রায় মৃত্যুদণ্ড।
ডা: দীপু মনি বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা এখনো বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণেই নতুন প্রজন্ম আজ জেগে উঠেছে। বিচারের জন্য যে স্লোগান উঠেছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলেই হবে না। যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় প্রশয় দেয়, লালন পালন করে এবং রাজনীতি করার অধিকার দেয় তাদেরও বিচার করতে হবে।
চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ পয়েন্ট অব অর্ডারের আলোচনাকে মত হিসেবে গ্রহণ করার জন্য স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, শাহবাগের আন্দোলনে আমি আনন্দিত। কারণ সারা দেশকে শাহবাগে রূপান্তর করেছে। আজকে বাংলার ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে উঠেছে। তারা বলছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হওয়া না পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমরা বলতাম দেশ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মায়ের কোলে ফিরে যাবো না। আমি এই তরুণদের অভিবাদন জানাই।
দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন ঘোষণা করে ডেপুটি স্পিকার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় যাওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে বার কাউন্সিলের সহসভাপতি খন্দকার মাহবুবের বক্তব্যের সমালোচনাসহ বিচারের বিষয় নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন। এর পর একে একে রাত প্রায় সোয়া ৮টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৩ জন মন্ত্রী-এমপি দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন। তবে বিরোধী দলবিহীন সংসদে একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম ফোর নিয়ে এ প্রসঙ্গে কথা শুরুর সাথে সাথেই সরকার দলীয় সদস্যরা হইচই করে তার বক্তব্য প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে তিনি ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং শাহবাগের আন্দোলন সে জন্যই গড়ে উঠেছে মর্মে কথা বলতে গেলে সরকারি দলের সদস্যরা মারমুখো হয়ে ওঠেন। তখন স্পিকার তার মাইক বন্ধ করে দেন। পরে সরকারি দলের কোনো কোনো সদস্য বিএনপি নেতাদের নাম উল্লেখ করে তুই তোকারি ধরনের শব্দও উচ্চারণ করেন। তবে অন্যান্য সময় এই ধরনের শব্দ একপাঞ্জ করার কথা স্পিকার সাথে সাথেই জানালেও গতকাল এসব শব্দ একপাঞ্জ করার কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
শুরুতে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আজ জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই বিচারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যখন এই ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে তখন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহাবুব হোসেন এই ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিতে বলেছেন। ইতঃপূর্বে জামায়াতও ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিতে বলেছিলেন। খালেদা জিয়া এক সময় বলেছিল গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদী যুদ্ধাপরাধী নয়। তাদের মুক্তি দিতে হবে। তিনি বলেছিলেন জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে এই বিচার হতে হবে। আজ আন্তর্জাতিক মানসম্মত এই ট্রাইব্যুনালে স্বচ্ছতার সাথে বিচার চলছে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে শেখ সেলিম বলেছেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন ওইটা নাকি (শাহবাগের আন্দোলন) সাজানো নাটক। সাজানো নাটক হলে, সাহস থাকলে ওই খানে একবার আয়, তোর টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আরেক জন আছেÑ এম কে আনোয়ার, যাকে সবাই বলে মাথা খারাপ আনোয়ার। ওই মাথা খারাপ আনোয়ার বলেছে এটা সাজানো প্রতিবাদ। প্রতিবাদ কখনো সাজানো হয়? সাজানো নাটক তোমরা জানো, ওটা আওয়ামী লীগ জানেন না। আরেকজন আছে মাহাবুব ওয়ান ইলেভেনের সময় জুতা খেয়েছিল। ও তো রাজাকার ছিল। এই যে কয়টায় কথা বলছেন এদের বায়োডাটা খুঁজে বের করেন।
এরপর জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, তরুণ প্রজন্মের উৎসাহে সারা দেশ জেগে উঠেছে। এই আন্দোলন কোনো দলের নয়, এটা দেশের কোটি কোটি জনতার আন্দোলন। এরপর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম বলেন, ছয় দিন ধরে অবস্থান নিয়ে আমাদের তারুণ্যের অভিযানে অভিনন্দন জানাই। এই প্রজন্ম চত্বরে সত্যিকার অর্থে জনতার আন্দোলন হচ্ছে। এই আন্দোলনকে নিয়ে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের উৎসাহ দেখানোর কোন কারণ নেই। আজিমের এই বক্তব্যের সাথে সাথে তার প্রতিবাদ জানিয়ে হাউজে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। এ সময় ফজলুল আজিম সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বসেন, সিট ডাউন, লেট মি ফিনিস। কিন্তু এতে চিৎকার চেঁচামেচি আরো বেড়ে গেলে তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মাননীয় স্পিকার উইল ইউ অ্যালাউ মি টু স্পিক। জবাবে স্পিকার বলেন, আপনি শেষ করুন না হলে বন্ধ হয়ে যাবে। পরে আজিম চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে কথা বলতে থাকেন। সরকারি দলের সদস্যদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, চিৎকার করলে হবে না। চিৎকার করলে ওখানে যান। ওইখানে গিয়ে চিল্লান। আজিমের বক্তব্য শেষ না হওয়ার আগেই স্পিকার তার মাইক অফ করে দিয়ে সরকার দলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পিকে ফোর দেন। কিন্তু ফজলুল আজিম না বসে মাইক ছাড়াই কথা বলতে থাকেন। তখন স্পিকার বলে উঠেন, মাননীয় সংসদ সদস্য আপনার মাইক অফ করা হয়েছে প্লিজ বসুন। ফজলুল আজিম প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সমগ্র জাতির অনুভূতির বিপক্ষে যারা দাঁড়িয়েছে তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আব্দুল মান্নান বলেন, স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিমের বক্তব্য প্রমাণ করে কিছু মানুষ আছে তারা ঐক্যবদ্ধ জাতির সাথে একমত নয়।
অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, বাঙালি মানুষ হয়েছে, রবীন্দ্রনাথের উক্তি ভুল প্রমাণ করেছে। স্বাধীন দেশে ফাঁসির দাবি নাগরিক দাবি। সব রাজাকারের ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে।
খান টিপু সুলতান ফজলুল আজিমের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, একজন স্বতন্ত্র সদস্য ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন।
মইন উদ্দিন খান বাদল বলেন, দেশে ১৯৭১ আবার জন্ম নিয়েছে। নবপ্রজন্মের যোদ্ধারা যুদ্ধ করছে। আমাদের সন্তানেরা যে আগুন জ্বালিয়েছে তাতে নিজেদের শুদ্ধ করার এখন সময়।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ’৭১-এর পুনর্জন্ম হয়েছে। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের স্লেøাগান সংসদ থেকেও উঠছে। পার্লামেন্ট থেকে প্রতিনিধি গিয়ে সংহতি প্রকাশ করা দরকার।
আব্দুল মতিন খসরু বলেন, যে রায় হয়েছে সেই রায়ে আসামি যদি আপিল করতে পারে তাহলে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করতে পারবে না কেন। উনার বিরুদ্ধে খুনের রায় প্রমাাণিত হয়েছে। উনি গণহত্যার সাথে জড়িত। গণ হত্যার রায় মৃত্যুদণ্ড।
ডা: দীপু মনি বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা এখনো বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণেই নতুন প্রজন্ম আজ জেগে উঠেছে। বিচারের জন্য যে স্লোগান উঠেছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলেই হবে না। যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় প্রশয় দেয়, লালন পালন করে এবং রাজনীতি করার অধিকার দেয় তাদেরও বিচার করতে হবে।
চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ পয়েন্ট অব অর্ডারের আলোচনাকে মত হিসেবে গ্রহণ করার জন্য স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, শাহবাগের আন্দোলনে আমি আনন্দিত। কারণ সারা দেশকে শাহবাগে রূপান্তর করেছে। আজকে বাংলার ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে উঠেছে। তারা বলছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হওয়া না পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমরা বলতাম দেশ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মায়ের কোলে ফিরে যাবো না। আমি এই তরুণদের অভিবাদন জানাই।
No comments