রায়ে মানুষের আকাক্সা বিবেচনায় নিনঃ ট্রাইব্যুনালের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
দেশের মানুষের আকাক্সা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে রায় দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল
সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে এক অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এই অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি।
বিচারের রায় দেবে ট্রাইব্যুনাল। আইন দেখেই তারা চলবে। তারপরও তাদের অনুরোধ
করব, মানুষের আকাক্সা সেটাও তারা যেন বিবেচনায় নেন। সেটাই তাদের কাছে
আবেদন জানাচ্ছিÑ এই মহান সংসদ থেকে দেশের মানুষ কী চায়।
বিকেল সাড়ে ৪টার পর শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলা পয়েন্ট অব অর্ডারের দীর্ঘ আলোচনার শেষ বক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শাহবাগ আন্দোলনের তরুণদের অভিনন্দন জানান, তাদের শপথবাক্যের প্রতিটি বাক্যের সাথে একমত পোষণ করেন এবং সেগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তিনি একটা সময় নির্দিষ্ট করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া প্রয়োজনে আইন সংশোধনের কথাও বলেন। এ সময় স্পিকার আবদুল হামিদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।
এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর স্পিকার শাহবাগের আন্দোলনের সাথে সংসদের পক্ষ থেকে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, নতুন প্রজন্মকে অভিনন্দন, শুভাশিস জানাই। প্রাণভরে তাদেরকে দোয়া করি। স্বাধীনতার পরপর যুদ্ধাপরাধীরা হত্যা করেছে, মা-বোনদের ধরে নিয়ে হানাদার বাাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। ক্যাম্পে রেখে তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে। গণহত্যা চালিয়েছে।
স্বাধীনতার পর ৭২ অর্ডিনেন্স জারি করে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়। এর আগে অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যায়। যে বিচারের কাজ জাতির পিতা শুরু করে গিয়েছিলেন সে বিচার বন্ধ হয় ’৭৫-এ জাতির জনককে হত্যা ও ৪ নেতাকে হত্যার পর। তারপর সব বন্দীকে মুক্তি করে দেয়া হয়। যারা দেশ ছেড়ে গিয়েছিল তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। যাদের নাগরিকত্বব বাতিল করা হয়েছিল তাদের সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। সংবিধানে যুদ্ধাপরাধীদের ভোটাধিকার ছিল না, রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলÑ তাদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়, অধিকার দেয়া হয। লাখো শহীদের রক্তেভেজা পতাকা উড়িয়ে তারা চলত। মনে হতো পরাজিত শক্তি ক্ষমতায়। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী তারা পরাজিত। ’৭৫-এর পর এ দেশে ফিরতে পারিনি। ’৮১-তে ফিরে আসি। যুদ্ধাপরাধীদের কথা বলা, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় আসার কথা বলতে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। বারবার মুত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। তারপরও চেষ্টা করেছি হারিয়ে যাওয়া গৌরব ইতিহাস পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।
পারভেজ মোশারফকে বলেছিলাম ক্ষমা করতে পারি ভুলে যেতে পারি না। আমরা ভুলব কিভাবে। সারা বিশ্বে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে। খুঁজে খুঁজে বিচার হচ্ছে। ৩৫ বছর দিনের পর দিন সংগ্রাম করতে হয়েছে। কখনো পিছপা হয়নি। জাতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেন জানতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ না হলে এই ইতিহাস জানতে পারত না। নির্বাচনী ইশতিহারে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব বলেছি। আমরা জিয়ার অর্ডিন্যান্স সংশোধন করে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছি।
এখন শুকরিয়া আদায় করে জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা ভোট দিয়েছেন বলে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছি। এবার এসে কার্যকর করেছি। সংবিধান সংশোধন করে স্বাধীনতার চেতনা প্রতিষ্ঠা করেছি। যে জায়গায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, যেখানে পাকিস্তানিরা সারেন্ডার করেছিল তার কাছে তরুণ প্রজন্ম স্কয়ার। আমি তরুণ প্রজন্ম স্কয়ার নাম দেয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি। শাহবাগ নাম থাকলে পাকিস্তানি গন্ধ থেকে যায়। আর কোনো দিন আমাদের দেশে রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না। আর এ দেশের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। তাদের জাগরণে ছড়িয়ে গেছে এত দিনের সংগ্রাম, এত দিনের পথচলা সব সার্থক। তরুণরা এগিয়ে নিয়ে যাবে। অভিনন্দন জানাই।
আমি তাদেরকে আশস্ত করতে চাই। তারা স্মারকলিপি দিয়েছে। তারা যে শপথ গ্রহণ করেছে প্রতিটি বাক্য যুক্তিসঙ্গত। তাদের সমর্থন জানাই। তার সাথে একমত। বাস্তবায়নে যা যা করার দরকার আমরা করব। এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে আইনগত যদি কোন দুর্বলতা থাকে সংশোধন করতে হলে করব। বিচার যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেই পরিবেশ সবাইকে সৃষ্টি করতে হবে। সুষ্ঠুভাবে রায় যাতে হয় এবং রায় কার্যকর হয় সবার সহযোগিতা চাই। আমরা সেটা করব। তরুণ প্রজন্মের স্মারকলিপির সাথে সব সদস্য একাত্মতা ঘোষণা করব। তাদেরকে বলব চলমান গণজাগরণ সৃষ্টি করে যে জাগরণ জাগিয়েছে, অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। জীবন দিয়ে হলেও এই বিচারের কাজ চালিয়ে যাবো। যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না। বাংলার মাটিতে বিচার হবে।
এ পর্যায়ে স্পিকার শাহবাগের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করার ঘোষণা দেন।
স্পিকার বলেন, যে গণজাগরণ চলছে সংসদের অভিব্যক্তির প্রেক্ষিতে মহান সংসদ একাত্মতা প্রকাশ করছে। তবে তিনি বলেন, কৌশলগত ভুল হয়ে গেছে। নোটিশের মাধ্যমে হলে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। পয়েন্ট অব অর্ডারে হয়েছে। তাই একাত্মতা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করা যাচ্ছে না। প্রয়োজন হলে নোটিশ দিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হতে পারে। সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সাাৎ
বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গতকাল বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাই সাাৎ করেছেন।
বৈঠককালে তারা দুই দেশের মধ্যকার ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুস্বার এবং ভারতের প্রতিশ্র“ত ‘লাইন অব ক্রেডিট’ (এলওসি) তথা এক বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে ২০ কোটি ডলার অর্থ ছাড় করাসহ দ্বিপীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেসসচিব বিজন লাল দেব এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, সে দেশের পার্লামেন্টের নিম্নক লোকসভার চলতি অধিবেশনেই ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুস্বারের সব প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি লোকসভার চলতি অধিবেশনেই চুক্তিটি অনুস্বার হবে।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিয়েও কথা বলেন রঞ্জন মাথাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বাংলাদেশ অধীর অপোয় আছে।
এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার পর শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলা পয়েন্ট অব অর্ডারের দীর্ঘ আলোচনার শেষ বক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শাহবাগ আন্দোলনের তরুণদের অভিনন্দন জানান, তাদের শপথবাক্যের প্রতিটি বাক্যের সাথে একমত পোষণ করেন এবং সেগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তিনি একটা সময় নির্দিষ্ট করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া প্রয়োজনে আইন সংশোধনের কথাও বলেন। এ সময় স্পিকার আবদুল হামিদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।
এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর স্পিকার শাহবাগের আন্দোলনের সাথে সংসদের পক্ষ থেকে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, নতুন প্রজন্মকে অভিনন্দন, শুভাশিস জানাই। প্রাণভরে তাদেরকে দোয়া করি। স্বাধীনতার পরপর যুদ্ধাপরাধীরা হত্যা করেছে, মা-বোনদের ধরে নিয়ে হানাদার বাাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। ক্যাম্পে রেখে তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে। গণহত্যা চালিয়েছে।
স্বাধীনতার পর ৭২ অর্ডিনেন্স জারি করে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়। এর আগে অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যায়। যে বিচারের কাজ জাতির পিতা শুরু করে গিয়েছিলেন সে বিচার বন্ধ হয় ’৭৫-এ জাতির জনককে হত্যা ও ৪ নেতাকে হত্যার পর। তারপর সব বন্দীকে মুক্তি করে দেয়া হয়। যারা দেশ ছেড়ে গিয়েছিল তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। যাদের নাগরিকত্বব বাতিল করা হয়েছিল তাদের সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। সংবিধানে যুদ্ধাপরাধীদের ভোটাধিকার ছিল না, রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলÑ তাদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়, অধিকার দেয়া হয। লাখো শহীদের রক্তেভেজা পতাকা উড়িয়ে তারা চলত। মনে হতো পরাজিত শক্তি ক্ষমতায়। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী তারা পরাজিত। ’৭৫-এর পর এ দেশে ফিরতে পারিনি। ’৮১-তে ফিরে আসি। যুদ্ধাপরাধীদের কথা বলা, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় আসার কথা বলতে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। বারবার মুত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। তারপরও চেষ্টা করেছি হারিয়ে যাওয়া গৌরব ইতিহাস পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।
পারভেজ মোশারফকে বলেছিলাম ক্ষমা করতে পারি ভুলে যেতে পারি না। আমরা ভুলব কিভাবে। সারা বিশ্বে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে। খুঁজে খুঁজে বিচার হচ্ছে। ৩৫ বছর দিনের পর দিন সংগ্রাম করতে হয়েছে। কখনো পিছপা হয়নি। জাতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেন জানতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ না হলে এই ইতিহাস জানতে পারত না। নির্বাচনী ইশতিহারে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব বলেছি। আমরা জিয়ার অর্ডিন্যান্স সংশোধন করে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছি।
এখন শুকরিয়া আদায় করে জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা ভোট দিয়েছেন বলে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছি। এবার এসে কার্যকর করেছি। সংবিধান সংশোধন করে স্বাধীনতার চেতনা প্রতিষ্ঠা করেছি। যে জায়গায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, যেখানে পাকিস্তানিরা সারেন্ডার করেছিল তার কাছে তরুণ প্রজন্ম স্কয়ার। আমি তরুণ প্রজন্ম স্কয়ার নাম দেয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি। শাহবাগ নাম থাকলে পাকিস্তানি গন্ধ থেকে যায়। আর কোনো দিন আমাদের দেশে রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না। আর এ দেশের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। তাদের জাগরণে ছড়িয়ে গেছে এত দিনের সংগ্রাম, এত দিনের পথচলা সব সার্থক। তরুণরা এগিয়ে নিয়ে যাবে। অভিনন্দন জানাই।
আমি তাদেরকে আশস্ত করতে চাই। তারা স্মারকলিপি দিয়েছে। তারা যে শপথ গ্রহণ করেছে প্রতিটি বাক্য যুক্তিসঙ্গত। তাদের সমর্থন জানাই। তার সাথে একমত। বাস্তবায়নে যা যা করার দরকার আমরা করব। এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে আইনগত যদি কোন দুর্বলতা থাকে সংশোধন করতে হলে করব। বিচার যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেই পরিবেশ সবাইকে সৃষ্টি করতে হবে। সুষ্ঠুভাবে রায় যাতে হয় এবং রায় কার্যকর হয় সবার সহযোগিতা চাই। আমরা সেটা করব। তরুণ প্রজন্মের স্মারকলিপির সাথে সব সদস্য একাত্মতা ঘোষণা করব। তাদেরকে বলব চলমান গণজাগরণ সৃষ্টি করে যে জাগরণ জাগিয়েছে, অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। জীবন দিয়ে হলেও এই বিচারের কাজ চালিয়ে যাবো। যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না। বাংলার মাটিতে বিচার হবে।
এ পর্যায়ে স্পিকার শাহবাগের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করার ঘোষণা দেন।
স্পিকার বলেন, যে গণজাগরণ চলছে সংসদের অভিব্যক্তির প্রেক্ষিতে মহান সংসদ একাত্মতা প্রকাশ করছে। তবে তিনি বলেন, কৌশলগত ভুল হয়ে গেছে। নোটিশের মাধ্যমে হলে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। পয়েন্ট অব অর্ডারে হয়েছে। তাই একাত্মতা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করা যাচ্ছে না। প্রয়োজন হলে নোটিশ দিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হতে পারে। সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সাাৎ
বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গতকাল বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাই সাাৎ করেছেন।
বৈঠককালে তারা দুই দেশের মধ্যকার ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুস্বার এবং ভারতের প্রতিশ্র“ত ‘লাইন অব ক্রেডিট’ (এলওসি) তথা এক বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে ২০ কোটি ডলার অর্থ ছাড় করাসহ দ্বিপীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেসসচিব বিজন লাল দেব এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, সে দেশের পার্লামেন্টের নিম্নক লোকসভার চলতি অধিবেশনেই ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুস্বারের সব প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি লোকসভার চলতি অধিবেশনেই চুক্তিটি অনুস্বার হবে।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিয়েও কথা বলেন রঞ্জন মাথাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বাংলাদেশ অধীর অপোয় আছে।
এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ উপস্থিত ছিলেন।
No comments