আমিরাতে হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি শহর by রেজা মাহমুদ
আমেরিকা-ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ
হচ্ছে, সেই মুহূর্তে জমকালো নতুন শহর গড়ে তুলছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আরব
আমিরাতে বিশ্বের সবচেয়ে দামি শহর নির্মিত হচ্ছে। মুহাম্মদ বিন রশিদ
সিটি নামে এই শহরে থাকছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্যান। লন্ডনের হাইড
পার্কের চেয়েও এটা অনেক বড়। এতে থাকছে এক শ’রও বেশি হোটেল। থাকছে
আকাশচুম্বি ইমারতের সারি। আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবকাশযাপন ও বিনোদন
কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে এই শহরকে। এতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শপিং মল
নির্মাণ করা হচ্ছে যার নাম ‘মল অব দি ওয়ার্ল্ড’।
এ ব্যাপারে আমিরাতের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এমন কিছু করতে হবে যা বলতে গেলে অসম্ভব ব্যাপার। কারণ সাধারণ কিছু করলে তো তুমি অন্যদের মতোই হয়ে থাকবে।’ আরব আমিরাত তাই অসম্ভব কিছুই করছে। তারা নতুন এই শহরে অসংখ্য আকাশচুম্বি ভবন নির্মাণ করছে। আগামী নভেম্বরে উদ্বোধন করা হবে এই অনিন্দ্যসুন্দর শহরটির।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে আরব আমিরাতের এই বিশাল উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যের এই নতুন শহর বিশ্বের নতুন বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আশা করছেন তারা। এ অঞ্চলে অর্থনীতির নতুন যাত্রা শুরু হবে এই বাণিজ্যকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে। ২০০৯ সালের শেষ দিকে আমিরাতের সরকার নিয়ন্ত্রিত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান দুবাই ওয়ার্ল্ডের লোকসানের ফলে আরব বিশ্বে বাণিজ্যের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। এর মাত্র তিন বছরের মাথায় আমিরাতের এই নব-উদ্যোগে আশাবাদী হয়ে উঠছেন আরব বসন্তের অগ্রগামী তরুণেরা।
তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সব সময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য প্রশংসিত। বুর্জ আল খলিফা নামে বিশ্বের দীর্ঘতম ভবনটি তারাই গড়ে তুলেছে। তেলনির্ভর অর্থনীতির পরিবর্তে সিঙ্গাপুরের মতো বাণিজ্যকেন্দ্র ও বিশ্বখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দুবাই, আবুধাবির খ্যাতি এনে দিয়েছেন তারা।
দুবাইয়ে এ বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাণিজ্য, পরিবহন ও পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্যই তাদের এই অর্থনৈতিক অগ্রগতি।
২০১২ সালের প্রথমার্ধে আরব আমিরাতের খাদ্য ও পরিবহন আমদানি ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এই সময়ের মধ্যে দুবাইয়ে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পায় প্রায় ১৪ শতাংশ। একই সাথে বেড়ে যায় হোটেল খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও। এই আয় বৃদ্ধির রেকর্ড ছিল বিশ্বে সর্বোচ্চ, প্রায় ৮০ শতাংশ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আল ইমার একটি ৬৩তলা একটি ভবন নির্মাণ করে। উদ্বোধনের প্রথম দিনই এ ভবনের ৫৪২টি ফ্যাটের সবই বিক্রি হয়ে যায়।
১৯৮৫ সাল থেকে তেল-নির্ভরতার বিকল্প পথে হাঁটা শুরু করে আরব আমিরাত। দেশটি আরব বিশ্বে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে এর মাধ্যমে।
দুবাইয়ের জেবেল আলী ফ্রি জোন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রানজিট পোর্টের অবস্থানে পৌঁছেছে। আর দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। দুবাইয়ের বিনিয়োগ ব্যাংক হেরমের কর্মকর্তা মনিকা মালিক বলেছেন, আরব আমিরাত দুবাইকে মধ্যপ্রাচ্যের নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এর ফলে এখানে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে ছুটে আসছেন আরব বিশ্বের ও বাইরের বিনিয়োগকারীরা। অন্য দিকে আবুধাবি, দুবাইসহ আরব বিশ্বের একটি বড় বিনিয়োগ যাচ্ছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের মতো মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে। এর পেছনেও আরব আমিরাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর ফলে এখন আরবদের তেল থেকে আসা বিশাল রাজস্বের বড় অংশ ইউরোপ-আমেরিকার পরিবর্তে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
দুবাইয়ের এক্সোটিক্স বিনিয়োগ ফার্মের প্রধান আহমাদ আলানানি বলেছেন, আরব আমিরাতের বাণিজ্যকেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা বিপুল সম্পদ বৃদ্ধি করছেন। এটা একটি সেফ হেভেন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের জন্য।
আরব অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন মুহাম্মদ আল রশিদ সিটির উদ্বোধনের পর বিশ্বের অন্যতম শপিং কেন্দ্র হিসেবে দ্রুত পরিচিত হয়ে উঠবে। এ ধরনের উদ্যোগ বিশ্বের ধনীদের শপিং কেন্দ্রের নতুন দিগন্ত হিসেবে আরব বিশ্বকেই স্থান করে দেবে বলে আশা করছেন তারা।
এ ব্যাপারে আমিরাতের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এমন কিছু করতে হবে যা বলতে গেলে অসম্ভব ব্যাপার। কারণ সাধারণ কিছু করলে তো তুমি অন্যদের মতোই হয়ে থাকবে।’ আরব আমিরাত তাই অসম্ভব কিছুই করছে। তারা নতুন এই শহরে অসংখ্য আকাশচুম্বি ভবন নির্মাণ করছে। আগামী নভেম্বরে উদ্বোধন করা হবে এই অনিন্দ্যসুন্দর শহরটির।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে আরব আমিরাতের এই বিশাল উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যের এই নতুন শহর বিশ্বের নতুন বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আশা করছেন তারা। এ অঞ্চলে অর্থনীতির নতুন যাত্রা শুরু হবে এই বাণিজ্যকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে। ২০০৯ সালের শেষ দিকে আমিরাতের সরকার নিয়ন্ত্রিত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান দুবাই ওয়ার্ল্ডের লোকসানের ফলে আরব বিশ্বে বাণিজ্যের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। এর মাত্র তিন বছরের মাথায় আমিরাতের এই নব-উদ্যোগে আশাবাদী হয়ে উঠছেন আরব বসন্তের অগ্রগামী তরুণেরা।
তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সব সময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য প্রশংসিত। বুর্জ আল খলিফা নামে বিশ্বের দীর্ঘতম ভবনটি তারাই গড়ে তুলেছে। তেলনির্ভর অর্থনীতির পরিবর্তে সিঙ্গাপুরের মতো বাণিজ্যকেন্দ্র ও বিশ্বখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দুবাই, আবুধাবির খ্যাতি এনে দিয়েছেন তারা।
দুবাইয়ে এ বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাণিজ্য, পরিবহন ও পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্যই তাদের এই অর্থনৈতিক অগ্রগতি।
২০১২ সালের প্রথমার্ধে আরব আমিরাতের খাদ্য ও পরিবহন আমদানি ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এই সময়ের মধ্যে দুবাইয়ে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পায় প্রায় ১৪ শতাংশ। একই সাথে বেড়ে যায় হোটেল খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও। এই আয় বৃদ্ধির রেকর্ড ছিল বিশ্বে সর্বোচ্চ, প্রায় ৮০ শতাংশ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আল ইমার একটি ৬৩তলা একটি ভবন নির্মাণ করে। উদ্বোধনের প্রথম দিনই এ ভবনের ৫৪২টি ফ্যাটের সবই বিক্রি হয়ে যায়।
১৯৮৫ সাল থেকে তেল-নির্ভরতার বিকল্প পথে হাঁটা শুরু করে আরব আমিরাত। দেশটি আরব বিশ্বে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে এর মাধ্যমে।
দুবাইয়ের জেবেল আলী ফ্রি জোন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রানজিট পোর্টের অবস্থানে পৌঁছেছে। আর দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। দুবাইয়ের বিনিয়োগ ব্যাংক হেরমের কর্মকর্তা মনিকা মালিক বলেছেন, আরব আমিরাত দুবাইকে মধ্যপ্রাচ্যের নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এর ফলে এখানে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে ছুটে আসছেন আরব বিশ্বের ও বাইরের বিনিয়োগকারীরা। অন্য দিকে আবুধাবি, দুবাইসহ আরব বিশ্বের একটি বড় বিনিয়োগ যাচ্ছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের মতো মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে। এর পেছনেও আরব আমিরাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর ফলে এখন আরবদের তেল থেকে আসা বিশাল রাজস্বের বড় অংশ ইউরোপ-আমেরিকার পরিবর্তে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
দুবাইয়ের এক্সোটিক্স বিনিয়োগ ফার্মের প্রধান আহমাদ আলানানি বলেছেন, আরব আমিরাতের বাণিজ্যকেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা বিপুল সম্পদ বৃদ্ধি করছেন। এটা একটি সেফ হেভেন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের জন্য।
আরব অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন মুহাম্মদ আল রশিদ সিটির উদ্বোধনের পর বিশ্বের অন্যতম শপিং কেন্দ্র হিসেবে দ্রুত পরিচিত হয়ে উঠবে। এ ধরনের উদ্যোগ বিশ্বের ধনীদের শপিং কেন্দ্রের নতুন দিগন্ত হিসেবে আরব বিশ্বকেই স্থান করে দেবে বলে আশা করছেন তারা।
No comments