আবার লঞ্চডুবি- নৌপথে চলাচল কি নিরাপদ হবে না?
গত ৮ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনার বুকে নিমজ্জিত লঞ্চ থেকে
১৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি বালুবাহী একটি নৌযানের প্রচণ্ড ধাক্কায়
অর্ধশত যাত্রীসহ ডুবে যায়।
লঞ্চটি
নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর জেলার মতলব যাচ্ছিল। শনিবার সকালে নৌযানটি
মেঘনা-ধলেশ্বরীর মোহনার তীরে উঠিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ এবং
নৌবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা। সে দিন সকাল ১০টায় লঞ্চটির উদ্ধারকার্যক্রম
সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক আবুল বাসার জানিয়েছেন,
‘লঞ্চে আর কোনো লাশ নেই’। নিখোঁজ যাত্রীদের লাশ ভেসে যেতে পারে বলে তার
ধারণা।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক জনপদ। অসংখ্য নদীনালা, খালবিল এ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। গত কয়েক দশকে বিভিন্ন স্থানে প্রচুর অর্থব্যয়ে ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি করে সড়কপথে যাতায়াতের সুযোগ অনেক বাড়ানো হয়েছে। তবে ব্যাপক দুর্ঘটনা ও ব্যয়বাহুল্যের কারণে অনেক যাত্রী এখনো সড়কপথের পরিবর্তে নৌপথে চলাচল করে থাকেন। অপর দিকে, বাংলাদেশের বহু এলাকায় আজো যোগাযোগের একক মাধ্যম হলো নদীপথ। অথচ এ পথেও মাঝে মধ্যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে হতাহত হচ্ছেন বহু লোক। চিরতরে নিখোঁজ হয়েছেন অনেক যাত্রী। সাধারণত দেখা যায়, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, কালবৈশাখীর মতো ঝড়ঝঞ্ঝা এবং বেপরোয়া যান চলাচল নৌপথে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্ঘটনায় পড়ে যেসব নৌযান, সেগুলোর নকশায় বা নির্মাণগত মারাত্মক ত্রুটি এই বিপদে পড়ার একটি বড় কারণ। অপর দিকে বেপরোয়া চালানোর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত নৌযানটি অথবা আঘাতকারী অন্য নৌযানের চালক দায়ী। গত শুক্রবার মেঘনার বুকে নিমজ্জিত লঞ্চটি ডুবে গেছে পেছন থেকে আরেকটি নৌযানের প্রচণ্ড আঘাতে।
আমরা মনে করি, নৌপথে এভাবে ঘনঘন দুর্ঘটনা ঘটা মোটেও স্বাভাবিক নয়, বরং ট্র্যাজেডি। যদি কর্তৃপক্ষ আইন প্রয়োগে কঠোর হয় এবং সেই সাথে নৌযানের মালিক, চালক ও যাত্রীরা হন সচেতন ও দায়িত্ববানÑ তাহলে নৌদুর্ঘটনা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ওপর কারো হাত নেই। তবে বেপরোয়া চালনা কিংবা অতিরিক্ত যাত্রী ও মাল পরিবহন অবশ্যই রোধ করা যায়। বিভিন্ন সময়ের দুর্ঘটনার ব্যাপারে যেসব তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, সেগুলোর রিপোর্ট মোতাবেক কী কী সুপারিশ কার্যকর হয়েছে, কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তার খতিয়ান নিয়ে সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এবারের লঞ্চ দুর্ঘটনাটির বিষয়ে যথাযথ তদন্ত নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করে এর রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। এই লঞ্চডুবির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি নিহত ও নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক জনপদ। অসংখ্য নদীনালা, খালবিল এ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। গত কয়েক দশকে বিভিন্ন স্থানে প্রচুর অর্থব্যয়ে ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি করে সড়কপথে যাতায়াতের সুযোগ অনেক বাড়ানো হয়েছে। তবে ব্যাপক দুর্ঘটনা ও ব্যয়বাহুল্যের কারণে অনেক যাত্রী এখনো সড়কপথের পরিবর্তে নৌপথে চলাচল করে থাকেন। অপর দিকে, বাংলাদেশের বহু এলাকায় আজো যোগাযোগের একক মাধ্যম হলো নদীপথ। অথচ এ পথেও মাঝে মধ্যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে হতাহত হচ্ছেন বহু লোক। চিরতরে নিখোঁজ হয়েছেন অনেক যাত্রী। সাধারণত দেখা যায়, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, কালবৈশাখীর মতো ঝড়ঝঞ্ঝা এবং বেপরোয়া যান চলাচল নৌপথে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্ঘটনায় পড়ে যেসব নৌযান, সেগুলোর নকশায় বা নির্মাণগত মারাত্মক ত্রুটি এই বিপদে পড়ার একটি বড় কারণ। অপর দিকে বেপরোয়া চালানোর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত নৌযানটি অথবা আঘাতকারী অন্য নৌযানের চালক দায়ী। গত শুক্রবার মেঘনার বুকে নিমজ্জিত লঞ্চটি ডুবে গেছে পেছন থেকে আরেকটি নৌযানের প্রচণ্ড আঘাতে।
আমরা মনে করি, নৌপথে এভাবে ঘনঘন দুর্ঘটনা ঘটা মোটেও স্বাভাবিক নয়, বরং ট্র্যাজেডি। যদি কর্তৃপক্ষ আইন প্রয়োগে কঠোর হয় এবং সেই সাথে নৌযানের মালিক, চালক ও যাত্রীরা হন সচেতন ও দায়িত্ববানÑ তাহলে নৌদুর্ঘটনা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ওপর কারো হাত নেই। তবে বেপরোয়া চালনা কিংবা অতিরিক্ত যাত্রী ও মাল পরিবহন অবশ্যই রোধ করা যায়। বিভিন্ন সময়ের দুর্ঘটনার ব্যাপারে যেসব তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, সেগুলোর রিপোর্ট মোতাবেক কী কী সুপারিশ কার্যকর হয়েছে, কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তার খতিয়ান নিয়ে সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এবারের লঞ্চ দুর্ঘটনাটির বিষয়ে যথাযথ তদন্ত নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করে এর রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। এই লঞ্চডুবির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি নিহত ও নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত।
No comments