৩ দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বৃদ্ধি
অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। তিন দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে
কেজিপ্রতি ১৫ টাকা। বিক্রি হচ্ছে কোথাও ৫০ থেকে ৬০ টাকা আবার কোথাও ৭০ টাকা
কেজিদরে।
এ কারণে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোয় পেঁয়াজ
বিক্রি অনেকটা বন্ধই হয়ে গেছে। উৎপাদনের ভরা মওসুমে পেঁয়াজের বাজারের এই
অস্থিরতায় ুব্ধ সাধারণ মানুষ। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা
বেড়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠকে ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে
দাম কমবে। কিন্তু বৈঠকের পর উল্টো গত তিন দিনে দাম বেড়েছে কেজিতে ১২ থেকে
১৫ টাকা। ৪০-৪৫ টাকা থেকে বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।
ব্যবসায়ীদের আশ্বাসের পরও দাম বাড়ায় ুব্ধ সাধারণ মানুষ। সঙ্কটকে পুঁজি
করে দেশের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন বলেও
জানায় ট্যারিফ কমিশন।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেয়া তথ্যানুযায়ী এক মাসের ব্যবধানে
ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৬২ শতাংশ এবং দেশী পেঁয়াজের দাম ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে গতকাল প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩৬ থেকে ৪২ টাকায়। খুচরা বাজারে এসে ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৭০ আর দেশী পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত ট্যারিফ কমিশনের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে ২২ লাখ টন। ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টন। আর চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরে উৎপাদনের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ২৪ হাজার টন। স্বাভাবিক কারণেই সাড়ে তিন লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি থেকেই যাবে। কমিশনের মতে, গত বছরের উৎপাদন মওসুম ধরে হিসাব করলে পেঁয়াজের দেশী মজুদ এখন প্রায় শেষ। বাকি দুই মাসের চাহিদার ৯০ শতাংশই পূরণ করতে হবে আমদানি করা পেঁয়াজ দিয়ে। এই আমদানিনির্ভরতাই পেঁয়াজের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির একটি বড় কারণ বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চাল ৪৬-৪৮ টাকা, বিআর (২৮) ৪০-৪৬ টাকা, নাজির ৪৮-৫০ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৩৫-৩৭ টাকা, লাল স্বর্ণা ৩৮ টাকা, হাসকি ৩৭-৩৮ টাকা, লতা ৩৮-৪০ টাকা, পোলাও চাল ১০০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা ৩৫-৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৩৮-৪০, ময়দা ৪২-৪৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল দেশী ১৪৫-১৫০ টাকা, মোটা দানা ৮০-৯০ টাকা, মুগ ডাল ১১০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেল প্রতিলিটার বোতলজাত ১৩৫-১৪০ টাকা ও ৫ লিটার বোতল ৬৫৫ থেকে ৬৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লুজ সয়াবিন তেল ১২০-১৩০ টাকা ও পাম অয়েল ৮৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ৫০-৬৫, আদা ১০০, রসুন ১০০-১৪০, হলুদ ৯০-১৪০, শুকনো মরিচ ১৩০-১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
বাজারে পর্যাপ্ত শীতের সবজি থাকলেও কারণ ছাড়াই সবজির দাম বাড়ছে। বেশ কিছু সবজির দাম এখনো স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে। বাজারে কাঁচা মরিচ ৭০-৮০, বেগুন ৩৫-৪৫, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৩০-৫০, শিম ২৫-৩০, মুলা ২০-৩০, কচুর মুখী ৩২-৩৫, ফুল কপি ও বাঁধাকপি ২৫-৩০, কচুর লতি ৩৬-৪০ পেঁপে-২০, আলু ২০-৩০, শালগম ২০ টাকা এবং লাউ ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০-১৫৫ টাকা, দেশী মুরগি ২৮০-৩২০ টাকা, গরুর গোশত প্রতি কেজি ২৮০-৩০০ টাকা, খাসি ৪০০-৪৫০ টাকা। ইলিশ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ২০০-৩০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ৯০-১৩০, কার্পু ১৫০ থেকে ১৬০, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেয়া তথ্যানুযায়ী এক মাসের ব্যবধানে
ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৬২ শতাংশ এবং দেশী পেঁয়াজের দাম ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে গতকাল প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩৬ থেকে ৪২ টাকায়। খুচরা বাজারে এসে ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৭০ আর দেশী পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত ট্যারিফ কমিশনের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে ২২ লাখ টন। ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টন। আর চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরে উৎপাদনের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ২৪ হাজার টন। স্বাভাবিক কারণেই সাড়ে তিন লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি থেকেই যাবে। কমিশনের মতে, গত বছরের উৎপাদন মওসুম ধরে হিসাব করলে পেঁয়াজের দেশী মজুদ এখন প্রায় শেষ। বাকি দুই মাসের চাহিদার ৯০ শতাংশই পূরণ করতে হবে আমদানি করা পেঁয়াজ দিয়ে। এই আমদানিনির্ভরতাই পেঁয়াজের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির একটি বড় কারণ বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চাল ৪৬-৪৮ টাকা, বিআর (২৮) ৪০-৪৬ টাকা, নাজির ৪৮-৫০ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৩৫-৩৭ টাকা, লাল স্বর্ণা ৩৮ টাকা, হাসকি ৩৭-৩৮ টাকা, লতা ৩৮-৪০ টাকা, পোলাও চাল ১০০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা ৩৫-৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৩৮-৪০, ময়দা ৪২-৪৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল দেশী ১৪৫-১৫০ টাকা, মোটা দানা ৮০-৯০ টাকা, মুগ ডাল ১১০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেল প্রতিলিটার বোতলজাত ১৩৫-১৪০ টাকা ও ৫ লিটার বোতল ৬৫৫ থেকে ৬৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লুজ সয়াবিন তেল ১২০-১৩০ টাকা ও পাম অয়েল ৮৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ৫০-৬৫, আদা ১০০, রসুন ১০০-১৪০, হলুদ ৯০-১৪০, শুকনো মরিচ ১৩০-১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
বাজারে পর্যাপ্ত শীতের সবজি থাকলেও কারণ ছাড়াই সবজির দাম বাড়ছে। বেশ কিছু সবজির দাম এখনো স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে। বাজারে কাঁচা মরিচ ৭০-৮০, বেগুন ৩৫-৪৫, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৩০-৫০, শিম ২৫-৩০, মুলা ২০-৩০, কচুর মুখী ৩২-৩৫, ফুল কপি ও বাঁধাকপি ২৫-৩০, কচুর লতি ৩৬-৪০ পেঁপে-২০, আলু ২০-৩০, শালগম ২০ টাকা এবং লাউ ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০-১৫৫ টাকা, দেশী মুরগি ২৮০-৩২০ টাকা, গরুর গোশত প্রতি কেজি ২৮০-৩০০ টাকা, খাসি ৪০০-৪৫০ টাকা। ইলিশ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ২০০-৩০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ৯০-১৩০, কার্পু ১৫০ থেকে ১৬০, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
No comments