গৌরীপুরে দেড় হাজার একর জলাভূমি বেদখল by সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত
এক সময়ের খরস্্েরাতা নদী, খাল ও বিল শুকিয়ে এখন বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।
গ্রামের বাঁকে বাঁকে যে নদী দিয়ে নৌকা চলত তা এখন আর চোখে পড়ে না।
প্রভাবশালীরা
তা জবরদখল করে বসতবাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করেছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের
যোগসাজশে এ উপজেলায় দখলের প্রতিযোগিতায় মেতেছেন প্রভাবশালী মহল।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সর্বত্রই জলাভূমির এমন ভয়াবহ চিত্র। উপজেলার বেশির ভাগ নদী ও খালের জমি ভূমি অফিসের রেকর্ডপত্রে থাকলেও বাস্তবে তার অস্তিত্ব নেই। খাল, বিল ও নদীসহ প্রায় দেড় হাজার একর জলাভূমি বেদখলে চলে গেছে। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন উপজেলার লাখো মানুষ। নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার ফসল। তবুও নিশ্চুপ প্রশাসন।
গৌরীপুর মৌজার মাস্টারপাড়ার খালের অস্তিত্ব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। বালুয়া নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠছে অবৈধ বসতবাড়ি। বালুয়াপাড়া মোড়ের অর্ধেক খাল ভরাট করে এখন বাণিজ্যিক বিপণি ভবন তৈরি করা হয়েছে। সংস্কার ও খননের অভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে সতিশা, দাপুনিয়া, বালুয়া, গোলকপুর খাল। রেলওয়ে স্টেশন হয়ে ভালুকা পর্যন্ত খালের ওপর নির্মিত হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি। সুরিয়া নদীর নাজিরপুরের অর্ধেক অংশ দখল করে নির্মিত হয়েছে পুকুর। কৃষ্ণপুরে নদী এখন খালে রূপ নিয়েছে।
গাগলায় শাহগঞ্জ বাজার ব্রিজের সম্মুখে নদীর মাঝখানে পুকুর তৈরি করে পানি চলাচলের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। মহিশ্বরণ, বাকেরগঞ্জ নদী দখলের চলছে প্রতিযোগিতা। পানি নিষ্কাশনে এসব খাল কোনো কাজে আসছে না। কুমড়ী, ভুটিয়ারকোনা, কিলাতাজপুরে নদী দখল করে চলছে চাষাবাদ।
বাঙ্গুরীহাটির খালটি পলি জমে কৃষকের সর্বনাশায় পরিণত হয়েছে। সহনাটী ইউনিয়ন আর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ভূমিদস্যুরা মাছ শিকারের জন্য বাঁধ দিয়ে মাটি ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে লঙ্কার খাল। দুই ইউনিয়নের ১১ গ্রামের ৯ শ’ একর জমির আবাদি ফসল প্রতি বছর পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে।
ডৌহাখলা ইউনিয়নের সরকারি খাল-নদী নেই। রামগোপালপুর ইউনিয়নের তেরশিরা, বিশ্বনাথপুর খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর চেষ্টায় সামান্য উদ্ধার হলেও বেশির ভাগ খাল এখনো দখলে রয়েছে। গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া, বায়ড়াউড়ায় বেশির ভাগ খাল দখল করে তৈরি হয়েছে পুকুর।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সর্বত্রই জলাভূমির এমন ভয়াবহ চিত্র। উপজেলার বেশির ভাগ নদী ও খালের জমি ভূমি অফিসের রেকর্ডপত্রে থাকলেও বাস্তবে তার অস্তিত্ব নেই। খাল, বিল ও নদীসহ প্রায় দেড় হাজার একর জলাভূমি বেদখলে চলে গেছে। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন উপজেলার লাখো মানুষ। নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার ফসল। তবুও নিশ্চুপ প্রশাসন।
গৌরীপুর মৌজার মাস্টারপাড়ার খালের অস্তিত্ব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। বালুয়া নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠছে অবৈধ বসতবাড়ি। বালুয়াপাড়া মোড়ের অর্ধেক খাল ভরাট করে এখন বাণিজ্যিক বিপণি ভবন তৈরি করা হয়েছে। সংস্কার ও খননের অভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে সতিশা, দাপুনিয়া, বালুয়া, গোলকপুর খাল। রেলওয়ে স্টেশন হয়ে ভালুকা পর্যন্ত খালের ওপর নির্মিত হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি। সুরিয়া নদীর নাজিরপুরের অর্ধেক অংশ দখল করে নির্মিত হয়েছে পুকুর। কৃষ্ণপুরে নদী এখন খালে রূপ নিয়েছে।
গাগলায় শাহগঞ্জ বাজার ব্রিজের সম্মুখে নদীর মাঝখানে পুকুর তৈরি করে পানি চলাচলের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। মহিশ্বরণ, বাকেরগঞ্জ নদী দখলের চলছে প্রতিযোগিতা। পানি নিষ্কাশনে এসব খাল কোনো কাজে আসছে না। কুমড়ী, ভুটিয়ারকোনা, কিলাতাজপুরে নদী দখল করে চলছে চাষাবাদ।
বাঙ্গুরীহাটির খালটি পলি জমে কৃষকের সর্বনাশায় পরিণত হয়েছে। সহনাটী ইউনিয়ন আর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ভূমিদস্যুরা মাছ শিকারের জন্য বাঁধ দিয়ে মাটি ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে লঙ্কার খাল। দুই ইউনিয়নের ১১ গ্রামের ৯ শ’ একর জমির আবাদি ফসল প্রতি বছর পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে।
ডৌহাখলা ইউনিয়নের সরকারি খাল-নদী নেই। রামগোপালপুর ইউনিয়নের তেরশিরা, বিশ্বনাথপুর খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর চেষ্টায় সামান্য উদ্ধার হলেও বেশির ভাগ খাল এখনো দখলে রয়েছে। গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া, বায়ড়াউড়ায় বেশির ভাগ খাল দখল করে তৈরি হয়েছে পুকুর।
No comments