এল ক্লাসিকোর ঝাঁজ কমেনি!
এবারের এল ক্লাসিকোটা অনেক দিক দিয়েই অন্য
রকম হয়েছে। এল ক্লাসিকো এবার জয় দেখেছে দুই দলেরই রক্ষণভাগের। দুই দলের
মধ্যে হাতাহাতি হয়নি। আগের বেশ কয়েকটি দ্বৈরথে যেটি ছিল নিয়মিত ঘটনা।
দেখা যায়নি কোনো লাল কার্ডও। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে
আন্তরিক শুভেচ্ছা বিনিময়ও দেখা গেছে। অনেকেই যখন দুই দলের এমন খেলোয়াড়ি
চেতনার প্রশংসা করছিলেন, তখন অন্য রকম কিছু খবরও এল। ম্যাচে বেশ কবার
ফাউলের শিকার হয়ে খেপে থাকা লিওনেল মেসি নাকি দুর্ব্যবহার করেছেন রিয়াল
মাদ্রিদের কয়েকজনের সঙ্গে। এমন খবরই দিয়েছে মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক
মার্কা। ওদিকে দানি আলভেস এনেছেন আরও গুরুতর অভিযোগ। রিয়াল সমর্থকেরা
বর্ণবাদী গালি দিয়েছে বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে!
ম্যাচ চলার সময় আলভারো আরবেলোয়া মেসিকে ঠাট্টার ছলে বেশ জোরেই চড় মেরেছিলেন। রেফারির চোখ সেটা এড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে মেসি চটে যান। পরে জাবি আলোনসো তাঁকে ‘শান্ত’ করেন আরেকটি আলতো চড় মেরে। এ নিয়ে চটে থাকা মেসি নাকি ম্যাচ শেষে টিম বাসে ওঠার আগে বার্নাব্যুর গাড়ি পার্কিংয়ে গিয়ে ধরেছিলেন আরবেলোয়াকে। স্প্যানিশ ওয়েবসাইট পুন্তো পেলোতার সূত্র উদ্ধৃত করে মার্কা জানিয়েছে, আরবেলোয়ার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেছেন মেসি। এ সময় রিয়াল ডিফেন্ডারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। মেসি আরবেলোয়াকে ‘স্টুপিড’ বলে গালি দিয়েছেন বলে দাবি মার্কার। আরবেলোয়ার স্ত্রী মেসির এমন ব্যবহারে অবাক হয়ে জানতে চান, ‘ওর সমস্যা কী?’
শুধু আরবেলোয়া নয়, মেসি নাকি রিয়ালের সহকারী কোচ আইতর কারাঙ্কার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন। টানেলে কারাঙ্কাকে বলেছেন, ‘তোমার সমস্যা কী? চুপ থাকো। তুমি তো মরিনহোর হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নও।’ টানেলের ব্যাপারটি সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন রিয়াল মিডফিল্ডার হোসে কায়েহন, ‘আমি দেখেছি আইতরের সঙ্গে কী হয়েছে। কারণ, আমি তাঁর পেছনেই ছিলাম।’ তবে এ ব্যাপারে কিছু না জানলেও পার্কিংয়ের ঘটনা নিয়ে বার্সার জর্ডি আলবার দাবি, সে রকম কিছুই ঘটেনি। ‘মেসিকে বিরক্ত মনে হচ্ছে। কিন্তু গাড়ি পার্কিংয়ে তেমন কিছুই ঘটতে দেখিনি।’
এদিকে বার্নাব্যুর দর্শকদের আচরণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দানি আলভেস সেদিন ম্যাচ শেষে টুইট করেছেন, ‘ম্যাচের ফল নিয়ে হতাশ। তার চেয়েও বেশি হতাশ কিছু কিছু জায়গায় আমি যেভাবে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছি, তা নিয়ে। তবে আমি যে রকম দেখতে, তা নিয়ে আমার কোনো হতাশা নেই।’ পরে এক সংবাদ সম্মেলনে আলভেস দাবি করেন, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটায় হেরেই যাচ্ছে সবাই, ‘এই লড়াইয়ে আমরা হারছি। কারণ যতক্ষণ না আপনি বড় ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেবেন, তত দিন এটা থাকবেই।’ বড় ধরনের ব্যবস্থা বলতে কী বোঝাচ্ছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘আমাদের অবশ্যই ক্লাবটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে যে ক্লাবের সমর্থকেরা এমন আচরণ করেন। এবং সেটা এক বা দুই হাজার ইউরোর জরিমানা নয়। বড় ক্লাবের পক্ষে এই জরিমানা কোনো ব্যাপারই না। আমাদের আরও বড় কিছু করতে হবে।’
অবশ্য শুধু রিয়াল মাদ্রিদেই নয়, স্পেনে তাঁর ১০ বছরের অভিজ্ঞতায় আরও অনেক স্টেডিয়ামেই নাকি বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন আলভেস। এএফপি, রয়টার্স।
ম্যাচ চলার সময় আলভারো আরবেলোয়া মেসিকে ঠাট্টার ছলে বেশ জোরেই চড় মেরেছিলেন। রেফারির চোখ সেটা এড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে মেসি চটে যান। পরে জাবি আলোনসো তাঁকে ‘শান্ত’ করেন আরেকটি আলতো চড় মেরে। এ নিয়ে চটে থাকা মেসি নাকি ম্যাচ শেষে টিম বাসে ওঠার আগে বার্নাব্যুর গাড়ি পার্কিংয়ে গিয়ে ধরেছিলেন আরবেলোয়াকে। স্প্যানিশ ওয়েবসাইট পুন্তো পেলোতার সূত্র উদ্ধৃত করে মার্কা জানিয়েছে, আরবেলোয়ার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেছেন মেসি। এ সময় রিয়াল ডিফেন্ডারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। মেসি আরবেলোয়াকে ‘স্টুপিড’ বলে গালি দিয়েছেন বলে দাবি মার্কার। আরবেলোয়ার স্ত্রী মেসির এমন ব্যবহারে অবাক হয়ে জানতে চান, ‘ওর সমস্যা কী?’
শুধু আরবেলোয়া নয়, মেসি নাকি রিয়ালের সহকারী কোচ আইতর কারাঙ্কার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন। টানেলে কারাঙ্কাকে বলেছেন, ‘তোমার সমস্যা কী? চুপ থাকো। তুমি তো মরিনহোর হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নও।’ টানেলের ব্যাপারটি সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন রিয়াল মিডফিল্ডার হোসে কায়েহন, ‘আমি দেখেছি আইতরের সঙ্গে কী হয়েছে। কারণ, আমি তাঁর পেছনেই ছিলাম।’ তবে এ ব্যাপারে কিছু না জানলেও পার্কিংয়ের ঘটনা নিয়ে বার্সার জর্ডি আলবার দাবি, সে রকম কিছুই ঘটেনি। ‘মেসিকে বিরক্ত মনে হচ্ছে। কিন্তু গাড়ি পার্কিংয়ে তেমন কিছুই ঘটতে দেখিনি।’
এদিকে বার্নাব্যুর দর্শকদের আচরণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দানি আলভেস সেদিন ম্যাচ শেষে টুইট করেছেন, ‘ম্যাচের ফল নিয়ে হতাশ। তার চেয়েও বেশি হতাশ কিছু কিছু জায়গায় আমি যেভাবে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছি, তা নিয়ে। তবে আমি যে রকম দেখতে, তা নিয়ে আমার কোনো হতাশা নেই।’ পরে এক সংবাদ সম্মেলনে আলভেস দাবি করেন, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটায় হেরেই যাচ্ছে সবাই, ‘এই লড়াইয়ে আমরা হারছি। কারণ যতক্ষণ না আপনি বড় ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেবেন, তত দিন এটা থাকবেই।’ বড় ধরনের ব্যবস্থা বলতে কী বোঝাচ্ছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘আমাদের অবশ্যই ক্লাবটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে যে ক্লাবের সমর্থকেরা এমন আচরণ করেন। এবং সেটা এক বা দুই হাজার ইউরোর জরিমানা নয়। বড় ক্লাবের পক্ষে এই জরিমানা কোনো ব্যাপারই না। আমাদের আরও বড় কিছু করতে হবে।’
অবশ্য শুধু রিয়াল মাদ্রিদেই নয়, স্পেনে তাঁর ১০ বছরের অভিজ্ঞতায় আরও অনেক স্টেডিয়ামেই নাকি বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন আলভেস। এএফপি, রয়টার্স।
No comments