আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
মাসব্যাপী অমর একুশের গ্রন্থমেলার শুরুর
মধ্য দিয়ে শুক্রবার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনটি অতিবাহিত হয়েছে। মহান
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের স্মৃতিজড়িত এ মাসটি গত ৬১ বছরে পরিণত হয়েছে বাঙালী
সংস্কৃতির উৎসবের মাসে।
শুরুতেই এবারও সেই চিরচেনা চিত্র
ফুটে ওঠে। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই যেন পাল্টে গেছে নগরবাসীর
প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা। প্রতিদিনের রুটিনে নতুন করে যোগ হয়েছে অনেক কিছু।
বিকেলে বাংলা একাডেমী অভিমুখে হাজারও মানুষের ভিড়। বইপ্রেমী পাঠকের
পদচারণায় বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছে উৎসবমুখর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ এখন মুখরিত নানা উৎসবের আয়োজনে। শনিবার থেকে ২৮
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ৩টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে
গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সেমিনার। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি চত্বরে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় কবিতা উৎসব। আজ শনিবার এ উৎসবের দ্বিতীয় দিন এবং সমাপনী। দেশী-বিদেশী কবিদের পদচারণায় উৎসব পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এই কবিদেরই চরণধূলি গিয়ে পড়ছে আবার একুশের বইমেলায়। এ উৎসবে আজকেও থাকবে দেশী-বিদেশী কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর এবং সাহিত্য বিষয়ক নানা সেমিনার। আজ উৎসব শেষ হলেও বিদেশী অনেক কবিই দ্রুত নিজ দেশে ফিরছেন না। তাঁরা থাকছেন শুধু বইমেলা উপভোগ করতে। বাঙালীর এই প্রাণের মেলায় শামিল হতে চান তাঁরাও। উপভোগ করতে চান উৎসবের আমেজ। নিয়ে যেতে চান প্রকাশিত নতুন নতুন বই।
একুশে বইমেলারও আজ দ্বিতীয় দিন। সেই চিরচেনা দৃশ্য প্রথম দিন থেকেই। অমর একুশের বইমেলা যে শুরু হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করার আগেই তা বোঝা যায়। প্রাণের উচ্ছ্বলতায় মুখরিত বইমেলাসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি যে এসেছে তা এখানকার পরিবেশেই স্পষ্ট। ভাষা শহীদদের আন্দোলনের সচিত্র ব্যানার ও সেই সময়কার পত্রিকার কাটিং নিয়ে তৈরি বড় একাধিক গেট, তাঁদের (ভাষা শহীদ) প্রতিকৃতির বিশাল ব্যানার আর তাতে ভাষার মর্যাদা নিয়ে লেখা কবি, সাহিত্যিক ও গুণী ব্যক্তিত্বদের বাণী, দোয়েল চত্বর-টিএসসি সড়ক দ্বীপের ডিভাইডারে বসে তরুণ-তরুণীর আড্ডা, পুরো সড়কেই বাদামের খোসা, ঝাল মুড়ির কাগজের টুকরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা, সবই আবার স্মরণ করিয়ে দেয় সেই চেনা দৃশ্যকে। মেলার প্রথম দিনে পাঠক-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও ছিল বেশ ভাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করতে আসেন বেলা তিনটায়। বইমেলা উদ্বোধনের পর পাঠক ও দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। ভাষার মাস এলেই যে বাঙালীর উচ্ছ্বাস বেড়ে যায় তা পাঠক, দর্শনার্থীর উপস্থিতিই বলে দেয়। তবে বইমেলার প্রথম দিনে অধিকাংশ স্টল বসলেও এখনও গুছিয়ে নিতে পারেনি। কিছু স্টল তো তাদের ঝাঁপই এখনও খোলেনি। সন্ধ্যার পরেও অনেককে দেখা গেছে বইপত্র আনতে ও গোছাতে। মেলার প্রথম দিনেই অধিকাংশ স্টল নতুন বই এনেছে। সে যাই হোক, একুশকে নিয়ে সম্প্রতি একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ঘরের অভিভাবক এবং তাদের ছেলেমেয়েদের আগ্রহ ও ঔৎসুক্য অত্যন্ত প্রবল ও ব্যাপক। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়া থেকেই তাদের আগ্রহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা শহরে বাংলা একাডেমীর যে বইমেলা সে বইমেলা রূপ নিয়েছে গণমানুষের জোয়ারের মতো। তারা যে হুজুগে মাতছে তা নয়, যথার্থই তাদের আগ্রহ ও আন্তরিকতা। যারা প্রবীণ, বায়ান্নর সন্তানদের কাছে বিষয়টি খুবই ভাল লাগছে। এটা আগে এতটা লক্ষ্য করা যায়নি। জানা যায়, এবার গ্রন্থমেলায় মোট ২৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৬০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৪৭টি প্রকাশক ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪১৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২৭টি সরকারী প্রতিষ্ঠান ও লিটল ম্যাগাজিনের জন্য লিটল ম্যাগ কর্নার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
ভাষার মাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (অদলীয়) মাসব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ১-১৬ ফেব্রুয়ারি প্রচারপত্র বিলি, ১৩ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন, ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি চত্বরে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় কবিতা উৎসব। আজ শনিবার এ উৎসবের দ্বিতীয় দিন এবং সমাপনী। দেশী-বিদেশী কবিদের পদচারণায় উৎসব পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এই কবিদেরই চরণধূলি গিয়ে পড়ছে আবার একুশের বইমেলায়। এ উৎসবে আজকেও থাকবে দেশী-বিদেশী কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর এবং সাহিত্য বিষয়ক নানা সেমিনার। আজ উৎসব শেষ হলেও বিদেশী অনেক কবিই দ্রুত নিজ দেশে ফিরছেন না। তাঁরা থাকছেন শুধু বইমেলা উপভোগ করতে। বাঙালীর এই প্রাণের মেলায় শামিল হতে চান তাঁরাও। উপভোগ করতে চান উৎসবের আমেজ। নিয়ে যেতে চান প্রকাশিত নতুন নতুন বই।
একুশে বইমেলারও আজ দ্বিতীয় দিন। সেই চিরচেনা দৃশ্য প্রথম দিন থেকেই। অমর একুশের বইমেলা যে শুরু হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করার আগেই তা বোঝা যায়। প্রাণের উচ্ছ্বলতায় মুখরিত বইমেলাসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি যে এসেছে তা এখানকার পরিবেশেই স্পষ্ট। ভাষা শহীদদের আন্দোলনের সচিত্র ব্যানার ও সেই সময়কার পত্রিকার কাটিং নিয়ে তৈরি বড় একাধিক গেট, তাঁদের (ভাষা শহীদ) প্রতিকৃতির বিশাল ব্যানার আর তাতে ভাষার মর্যাদা নিয়ে লেখা কবি, সাহিত্যিক ও গুণী ব্যক্তিত্বদের বাণী, দোয়েল চত্বর-টিএসসি সড়ক দ্বীপের ডিভাইডারে বসে তরুণ-তরুণীর আড্ডা, পুরো সড়কেই বাদামের খোসা, ঝাল মুড়ির কাগজের টুকরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা, সবই আবার স্মরণ করিয়ে দেয় সেই চেনা দৃশ্যকে। মেলার প্রথম দিনে পাঠক-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও ছিল বেশ ভাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করতে আসেন বেলা তিনটায়। বইমেলা উদ্বোধনের পর পাঠক ও দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। ভাষার মাস এলেই যে বাঙালীর উচ্ছ্বাস বেড়ে যায় তা পাঠক, দর্শনার্থীর উপস্থিতিই বলে দেয়। তবে বইমেলার প্রথম দিনে অধিকাংশ স্টল বসলেও এখনও গুছিয়ে নিতে পারেনি। কিছু স্টল তো তাদের ঝাঁপই এখনও খোলেনি। সন্ধ্যার পরেও অনেককে দেখা গেছে বইপত্র আনতে ও গোছাতে। মেলার প্রথম দিনেই অধিকাংশ স্টল নতুন বই এনেছে। সে যাই হোক, একুশকে নিয়ে সম্প্রতি একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ঘরের অভিভাবক এবং তাদের ছেলেমেয়েদের আগ্রহ ও ঔৎসুক্য অত্যন্ত প্রবল ও ব্যাপক। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়া থেকেই তাদের আগ্রহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা শহরে বাংলা একাডেমীর যে বইমেলা সে বইমেলা রূপ নিয়েছে গণমানুষের জোয়ারের মতো। তারা যে হুজুগে মাতছে তা নয়, যথার্থই তাদের আগ্রহ ও আন্তরিকতা। যারা প্রবীণ, বায়ান্নর সন্তানদের কাছে বিষয়টি খুবই ভাল লাগছে। এটা আগে এতটা লক্ষ্য করা যায়নি। জানা যায়, এবার গ্রন্থমেলায় মোট ২৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৬০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৪৭টি প্রকাশক ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪১৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২৭টি সরকারী প্রতিষ্ঠান ও লিটল ম্যাগাজিনের জন্য লিটল ম্যাগ কর্নার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
ভাষার মাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (অদলীয়) মাসব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ১-১৬ ফেব্রুয়ারি প্রচারপত্র বিলি, ১৩ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন, ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
No comments