লাখ লাখ মা বোন কন্যা একটি দিন আসুন প্রজন্ম চত্বরে- নারী নির্যাতক কাদের মোল্লা সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান
যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায়
সুপ্রীমকোর্টে বিবেচনা করে তাকে ফাঁসি দিতে হবে। নতুন প্রজন্মের এ রায় এখন
গোটাজাতির রায়। অন্যদিকে যে কোন মুহূর্তে আরেক যুদ্ধাপরাধীর রায় ঘোষণা করতে
পারে ট্রাইব্যুনাল। এই যুদ্ধাপরাধী দেলওয়ার হোসেন সাঈদী বা দেইল্লা
রাজাকার।
কসাই কাদের মোল্লা ও সাঈদী বা দেইল্লা রাজাকার
দু’জনই মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী সব ধরনের অপরাধ করে। এবং দুজনই
সরাসরি নারী ধর্ষণকারী। সাঈদী নিজে ঘরামির স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। অন্যদিকে
কাদের মোল্লা ১১ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করে। এছাড়া সাঈদী ও
কাদের মোল্লা দুইজনই বাঙালী নারীদের অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গিয়ে
পাকিস্তান আর্মিকে ভোগের জন্য দিত। এবং তাদের অনেককেই পরে হত্যা করা হতো।
পিরোজপুরের ভগীরথী এমনি এক শিকার সাঈদীর। ধর্ষণের পরে তাকে আর্মি জিপের
পেছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে হত্যা করা হয়েছিল।
এই সাঈদীর মামলার রায় যে কোন সময়ে। ইতোমধ্যে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে তরুণ প্রজন্ম ঘোষণা দিয়েছে তারা ওই রায়ের দিন লাখ লাখ মানুষ নিয়ে ট্রাইব্যুনালের সামনেসহ চারপাশে অবস্থান করবে। কসাই কাদের মোল্লা ও দেইল্লা রাজাকার সাঈদীর মতো সকল যুদ্ধাপরাধীই নারীর ইজ্জত লুণ্ঠনকারী। তাদের গুরু গোলাম আযমের নির্দেশেও সেদিন বাঙালী নারীদের পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হতো। এমনকি গোলাম আযমের অনুচররা সেদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে যুবতী কন্যা ও বধূদের খোঁজ নিত এবং পরে পাকিস্তানী আর্মি নিয়ে এসে তাদের তুলে নিয়ে যেত। স্বাধীনতার পরে একটি হিসেবে দেখা গিয়েছিল এভাবে তাদের কারণে আমাদের সাড়ে চার লাখ মা-বোনকে ইজ্জত দিতে হয়। বর্তমানে ঐতিহাসিক মুনতাসীর মামুনের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখের বেশি।
সেদিন এভাবে যারা আমাদের মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছিল ও লুণ্ঠনে সহায়তা করেছিল আজ তাদের বিচার হচ্ছে। মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠনকারীরা যাতে ফাঁসির দড়িতে ঝোলে এ জন্য তাই আজ এ দেশের নতুন প্রজন্মের মেয়েদেরও মনে হয় রাজপথে নেমে আসার সময় হয়েছে। ইতোমধ্যে দেখা গেছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার মেয়ে সেখানে যোগ দিয়েছে এবং তারা দিন রাত সেখানে অবস্থান নিচ্ছে। তবে তার পরে পঞ্চম দিনে যেমন রাজধানীর স্কুল-কলেজ থেকে সকল ছাত্ররা ইউনিফর্ম পরে এসে প্রজন্ম স্কোয়ারে যোগ দিয়েছিল। তেমনি এই নারী ধর্ষণকারী সাঈদীর ফাঁসির দাবিতে অবিলম্বে রাজধানীর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অন্তত একদিনের জন্য চলে আসা উচিত প্রজন্ম স্কোয়ারে। শুধু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা নয়, সকল অফিস, আদালত, নারী সংগঠন ও এনজিও থেকেও নারীদের সাঈদীর রায়ের আগে তার ফাঁসির দাবিতে একটি দিনের জন্য চলে আসা উচিত প্রজন্ম স্কোয়ারে। কবে আসবেন, কখন আসবেন সেটা ঠিক করবে প্রজন্ম চত্বরের ওই তরুণরা। কিন্তু বিশ্ববাসীকে জানানো প্রয়োজন যারা আমার মা-বোনের ইজ্জত লুঠেছিল, যারা আমার মা বোনকে লালসা মেটানোর বস্তু মনে করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলÑ এ দেশের নারীরা আমরা তাদের ফাঁসি চাই। অন্য কোন রায় চাই না। সাঈদীকে ফাঁসি দিতেই হবে।
পাশাপাশি এই টেকনোলজি প্রজন্ম পারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটাবিশ্বের নারীর অধিকারের জন্য যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কাছে আবেদন জানাতে। তাঁরাও যেন ওই দিন সংহতি জানায় এই দাবিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। সারা পৃথিবীতে লাখ লাখ নারী আছেন, যাঁরা নারীর প্রতি এই সহিংসতার, নারীর আব্রু লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাদেরও জানিয়ে দেয়া দরকার, কী ভাবে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের নেতারা সেদিন সংঘবদ্ধভাবে এ দেশের নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছিল। তাদের কাছেও তাই তরুণ প্রজন্মকে সমর্থন চাইতে হবে তাদের দাবির প্রতি। এবং এটা নিশ্চিত তারা সানন্দে শুধু নয়, তাদের নৈতিকতা ও আদর্শের কারণেই পাশে এসে দাঁড়াবে এই নারীর ইজ্জত লুণ্ঠনকারীদের ফাঁসির দাবিতে।
জামায়াতে ইসলামী এতদিন এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে লবিং করেছে দেশে-বিদেশে। আজ প্রবাসে যে বাঙালীরা আছেন, তাঁদের এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সময় এসেছে তাদের সত্য কথাটা, সত্য দাবিটা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেয়া। একাত্তরে আমেরিকা, চীনের মতো বড় শক্তি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে লবিং করেও কিন্তু হেরে গিয়েছিল। তারা তাদের নিজ নিজ দেশেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পারেনি। বরং জনমত ছিল আমাদের পক্ষে। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ন্যায় ও সত্যের যুদ্ধ। আজও তরুণ প্রজন্ম নেমেছে ন্যায় ও সত্যের যুদ্ধে, তাই বিশ্বজনমত তাদের পক্ষে আসবেই। ওই সাইবার প্রচার করতে হবে তরুণ প্রজন্মকে। অন্যদিকে বিদেশে অবস্থানরত বাঙালীদের ’৭১-এর মতো সব ভুলে বিশ্বের গণহত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যে সকল সংগঠন কাজ করছে তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এই বার্তা। আর এই বার্তা পৌঁছে দিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে যদি একটি দিনের জন্য লাখ লাখ মা-বোন ও কন্যা নেমে আসে প্রজন্ম স্কোয়ারে। বিশ্ববাসীর কাছে এ বার্তার পরে জামায়াতীদের ওই বিলিয়ন ডলারের লবিস্ট ঝড়ের মুখে শুকনো পাতার মতো উড়ে যাবে। তাই এখন সময় হয়েছে সকল মা-বোন ও কন্যার সিদ্ধান্ত নেবার। তাদের যে মা-বোনেরা প্রজন্ম স্কোয়ারে ফাঁসির দাবি নিয়ে আছে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো।
এই সাঈদীর মামলার রায় যে কোন সময়ে। ইতোমধ্যে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে তরুণ প্রজন্ম ঘোষণা দিয়েছে তারা ওই রায়ের দিন লাখ লাখ মানুষ নিয়ে ট্রাইব্যুনালের সামনেসহ চারপাশে অবস্থান করবে। কসাই কাদের মোল্লা ও দেইল্লা রাজাকার সাঈদীর মতো সকল যুদ্ধাপরাধীই নারীর ইজ্জত লুণ্ঠনকারী। তাদের গুরু গোলাম আযমের নির্দেশেও সেদিন বাঙালী নারীদের পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হতো। এমনকি গোলাম আযমের অনুচররা সেদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে যুবতী কন্যা ও বধূদের খোঁজ নিত এবং পরে পাকিস্তানী আর্মি নিয়ে এসে তাদের তুলে নিয়ে যেত। স্বাধীনতার পরে একটি হিসেবে দেখা গিয়েছিল এভাবে তাদের কারণে আমাদের সাড়ে চার লাখ মা-বোনকে ইজ্জত দিতে হয়। বর্তমানে ঐতিহাসিক মুনতাসীর মামুনের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখের বেশি।
সেদিন এভাবে যারা আমাদের মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছিল ও লুণ্ঠনে সহায়তা করেছিল আজ তাদের বিচার হচ্ছে। মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠনকারীরা যাতে ফাঁসির দড়িতে ঝোলে এ জন্য তাই আজ এ দেশের নতুন প্রজন্মের মেয়েদেরও মনে হয় রাজপথে নেমে আসার সময় হয়েছে। ইতোমধ্যে দেখা গেছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার মেয়ে সেখানে যোগ দিয়েছে এবং তারা দিন রাত সেখানে অবস্থান নিচ্ছে। তবে তার পরে পঞ্চম দিনে যেমন রাজধানীর স্কুল-কলেজ থেকে সকল ছাত্ররা ইউনিফর্ম পরে এসে প্রজন্ম স্কোয়ারে যোগ দিয়েছিল। তেমনি এই নারী ধর্ষণকারী সাঈদীর ফাঁসির দাবিতে অবিলম্বে রাজধানীর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অন্তত একদিনের জন্য চলে আসা উচিত প্রজন্ম স্কোয়ারে। শুধু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা নয়, সকল অফিস, আদালত, নারী সংগঠন ও এনজিও থেকেও নারীদের সাঈদীর রায়ের আগে তার ফাঁসির দাবিতে একটি দিনের জন্য চলে আসা উচিত প্রজন্ম স্কোয়ারে। কবে আসবেন, কখন আসবেন সেটা ঠিক করবে প্রজন্ম চত্বরের ওই তরুণরা। কিন্তু বিশ্ববাসীকে জানানো প্রয়োজন যারা আমার মা-বোনের ইজ্জত লুঠেছিল, যারা আমার মা বোনকে লালসা মেটানোর বস্তু মনে করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলÑ এ দেশের নারীরা আমরা তাদের ফাঁসি চাই। অন্য কোন রায় চাই না। সাঈদীকে ফাঁসি দিতেই হবে।
পাশাপাশি এই টেকনোলজি প্রজন্ম পারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটাবিশ্বের নারীর অধিকারের জন্য যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কাছে আবেদন জানাতে। তাঁরাও যেন ওই দিন সংহতি জানায় এই দাবিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। সারা পৃথিবীতে লাখ লাখ নারী আছেন, যাঁরা নারীর প্রতি এই সহিংসতার, নারীর আব্রু লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাদেরও জানিয়ে দেয়া দরকার, কী ভাবে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের নেতারা সেদিন সংঘবদ্ধভাবে এ দেশের নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছিল। তাদের কাছেও তাই তরুণ প্রজন্মকে সমর্থন চাইতে হবে তাদের দাবির প্রতি। এবং এটা নিশ্চিত তারা সানন্দে শুধু নয়, তাদের নৈতিকতা ও আদর্শের কারণেই পাশে এসে দাঁড়াবে এই নারীর ইজ্জত লুণ্ঠনকারীদের ফাঁসির দাবিতে।
জামায়াতে ইসলামী এতদিন এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে লবিং করেছে দেশে-বিদেশে। আজ প্রবাসে যে বাঙালীরা আছেন, তাঁদের এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সময় এসেছে তাদের সত্য কথাটা, সত্য দাবিটা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেয়া। একাত্তরে আমেরিকা, চীনের মতো বড় শক্তি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে লবিং করেও কিন্তু হেরে গিয়েছিল। তারা তাদের নিজ নিজ দেশেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পারেনি। বরং জনমত ছিল আমাদের পক্ষে। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ন্যায় ও সত্যের যুদ্ধ। আজও তরুণ প্রজন্ম নেমেছে ন্যায় ও সত্যের যুদ্ধে, তাই বিশ্বজনমত তাদের পক্ষে আসবেই। ওই সাইবার প্রচার করতে হবে তরুণ প্রজন্মকে। অন্যদিকে বিদেশে অবস্থানরত বাঙালীদের ’৭১-এর মতো সব ভুলে বিশ্বের গণহত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যে সকল সংগঠন কাজ করছে তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এই বার্তা। আর এই বার্তা পৌঁছে দিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে যদি একটি দিনের জন্য লাখ লাখ মা-বোন ও কন্যা নেমে আসে প্রজন্ম স্কোয়ারে। বিশ্ববাসীর কাছে এ বার্তার পরে জামায়াতীদের ওই বিলিয়ন ডলারের লবিস্ট ঝড়ের মুখে শুকনো পাতার মতো উড়ে যাবে। তাই এখন সময় হয়েছে সকল মা-বোন ও কন্যার সিদ্ধান্ত নেবার। তাদের যে মা-বোনেরা প্রজন্ম স্কোয়ারে ফাঁসির দাবি নিয়ে আছে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো।
No comments