জামায়াতের হরতাল-গণতান্ত্রিক আচরণের পরিপন্থী
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল এবং দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে জামায়াতে ইসলামী ৩১ জানুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রামে আধাবেলা এবং সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়।
এ হরতালে জামায়াতের সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের নেতৃত্বদানকারী বিএনপি সমর্থন জানায়। আগের দিন অর্থাৎ হরতাল ঘোষণার দিনই জামায়াত ও এর অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের ডাকা হরতাল 'সফল' করতে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। কয়েকটি জায়গায় তারা পুলিশের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে গাড়িতে অগি্নসংযোগ, ভাঙচুর এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখা গেছে জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের। যথারীতি এ দফায়ও পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে কয়েকজনকে আহত করা হয়েছে। অবশ্য ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ বেশ কিছু কর্মীকে আটক করেছে।
প্রশ্ন হলো, জামায়াত-শিবিরের এই পেশিশক্তি ব্যবহারের চেষ্টা কতটা গ্রহণযোগ্য? জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। তারা রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে না, রাষ্ট্রের সম্পদের ওপর নাশকতা চালাতে পারে না, অথচ সেটাই করে চলেছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নানা দাবি থাকতে পারে। কিন্তু সে দাবি কোনোক্রমেই সংবিধানপরিপন্থী হলে চলবে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল দেশের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিয়ে গঠিত একটি ট্রাইব্যুনাল। এ ক্ষেত্রে জামায়াত-শিবিরের আদালতে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ রয়েছে, এমনকি রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগও রয়েছে। কিন্তু সেসব আইনিব্যবস্থা উপেক্ষা করে গায়ের জোরে ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করতে চাওয়া মোটেই যুক্তিসংগত নয়। জামায়াতের এ ধরনের সংবিধানবিরোধী দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ক্ষুব্ধ ও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো বিশৃঙ্খল হয়ে উঠছে। জামায়াতবিরোধী সরকার সমর্থক একটি অংশও রাস্তায় নেমে আসছে জামায়াত ঠেকাতে। ফলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ভয়ানকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বারবার জামায়াত-শিবির পুলিশের গায়ে হাত তোলার কারণে একদিকে যেমন তারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে, অন্যদিকে দেশের জনগণেরও এ বাহিনীর প্রতি আস্থা কমে যেতে পারে। সুতরাং এ ধরনের হরতালের কর্মসূচি এখনই প্রতিহত করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে জামায়াতসহ বিরোধী জোটের কাছেও আমাদের অনুরোধ, আইন হাতে তুলে নিয়ে নয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতির গণ্ডির মধ্যে থেকেই আন্দোলন করুন, দাবি জানান। এমন পথ বেছে নেওয়া কারো জন্যই শুভ নয়, যা গণতন্ত্র অনুমোদন করে না। সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত একটি ট্রাইব্যুনাল পেশিশক্তি দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টার বিরুদ্ধে সরকারকে কালবিলম্ব না করে আইনগত অধিকতর কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।
প্রশ্ন হলো, জামায়াত-শিবিরের এই পেশিশক্তি ব্যবহারের চেষ্টা কতটা গ্রহণযোগ্য? জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। তারা রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে না, রাষ্ট্রের সম্পদের ওপর নাশকতা চালাতে পারে না, অথচ সেটাই করে চলেছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নানা দাবি থাকতে পারে। কিন্তু সে দাবি কোনোক্রমেই সংবিধানপরিপন্থী হলে চলবে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল দেশের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিয়ে গঠিত একটি ট্রাইব্যুনাল। এ ক্ষেত্রে জামায়াত-শিবিরের আদালতে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ রয়েছে, এমনকি রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগও রয়েছে। কিন্তু সেসব আইনিব্যবস্থা উপেক্ষা করে গায়ের জোরে ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করতে চাওয়া মোটেই যুক্তিসংগত নয়। জামায়াতের এ ধরনের সংবিধানবিরোধী দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ক্ষুব্ধ ও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো বিশৃঙ্খল হয়ে উঠছে। জামায়াতবিরোধী সরকার সমর্থক একটি অংশও রাস্তায় নেমে আসছে জামায়াত ঠেকাতে। ফলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ভয়ানকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বারবার জামায়াত-শিবির পুলিশের গায়ে হাত তোলার কারণে একদিকে যেমন তারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে, অন্যদিকে দেশের জনগণেরও এ বাহিনীর প্রতি আস্থা কমে যেতে পারে। সুতরাং এ ধরনের হরতালের কর্মসূচি এখনই প্রতিহত করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে জামায়াতসহ বিরোধী জোটের কাছেও আমাদের অনুরোধ, আইন হাতে তুলে নিয়ে নয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতির গণ্ডির মধ্যে থেকেই আন্দোলন করুন, দাবি জানান। এমন পথ বেছে নেওয়া কারো জন্যই শুভ নয়, যা গণতন্ত্র অনুমোদন করে না। সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত একটি ট্রাইব্যুনাল পেশিশক্তি দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টার বিরুদ্ধে সরকারকে কালবিলম্ব না করে আইনগত অধিকতর কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।
No comments