কথা সামান্যই-সৃজনশীল লেখক ও ফাঁকা ঔচিত্যবোধ by ফজলুল আলম
একজন লেখক কী লিখবেন, তা নির্ধারণ করার কাজে তিনিই যোগ্য ব্যক্তি। সেটা বই আকারে প্রকাশনার জন্য যোগ্য ব্যক্তি হবেন প্রকাশক এবং সেটার সমঝদারিত্বের বা প্রত্যাখ্যান করার ভার পাঠকদের ওপর ন্যস্ত আছে বললে ভুল হবে না।
অবশ্য পাঠক পাঠকই থাকবেন, তাঁদের মাঝামাঝি সমালোচকরাও আছেন; সমালোচকরা যে সব সময় সাহিত্য বা বিষয়ের জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি, সে কথাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। কিছু সমালোচক আছেন যাঁরা বিষয়ে বিজ্ঞ, তবে সৃজনশীল সাহিত্যের (গল্প-উপন্যাস-কল্পকাহিনী ইত্যাদি) সমালোচকের এই গুণ না থাকলেও চলে- তাঁরা সমানে ভালো হয়েছে বা মন্দ হয়েছে বা অনুচিত হয়েছে বলেই যান। তার ওপর আছেন কিছু পত্রপত্রিকার সম্পাদক, তাঁরাও সমালোচক বটে।
একজন লেখকের দেখভাল করার জন্য এতসব আয়োজন।
ফলে সৃজনশীল লেখকের কাজটা যত সহজ মনে হয়, তত সহজ নয়। তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সামাজিক দায়িত্ববোধও। গল্প-কাহিনীতে অসামাজিক কিছু থাকতেই পারে, কিন্তু সেসবকে আশকারা দেওয়া যাবে না। সমাজজীবনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি পুরোপুরি তুলে ধরলে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে পারে। পাশ্চাত্য সাহিত্যে এমন অবস্থা এক সময় ছিল, যখন যৌনতাকে, বিশেষত নরনারীর অসামাজিক যৌন সম্পর্কে বিষয় করে লিখলে তা বাজেয়াপ্ত হয়ে যেত। হেনরি মিলার তো 'ট্রপিক অব ক্যান্সার'-এর জন্য তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশকই পাননি। লেডি চ্যাটার্জিস লাভার ঝড় তুলেছিল মস্তবড়।
অবশ্য মননশীল সাহিত্যের ক্ষেত্রে অবস্থা ভিন্ন। ফ্রয়েড খোলাখুলিভাবে যৌনতা নিয়ে লিখলেন, বক্তৃতা দিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে সেসব ঢুকে গেল। তার পরও ফ্রয়েডিয়ান ব্যাখ্যাকে বাস্তবে নিয়ে আসা সহজ হয়নি- সৃজনশীল সাহিত্যে তো সেসব বিষয় এলেই সমালোচকরা খৰহস্ত হয়ে উঠতেন। নিৎসে, ফুকো প্রমুখ অনেক মননশীল দার্শনিক-গবেষক এ যুগেও ধিকৃত হয়েছেন যৌনতা বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য রেখে। মিশেল ফুকো উন্মাদ সম্পর্কে তাঁর তত্ত্ব হাজির করে বলেন যে মধ্যযুগে কুষ্ঠরোগীদের সমাজবহির্ভূত করে রাখা হতো, আর তাঁর সময়ে মানসিক রোগীদের একইভাবে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা হয়। ফুকোর গবেষণার ফলে জেলখানায় কয়েদিদের ওপর দৈহিক নির্যাতন বন্ধের দাবি ওঠে এবং জনসমক্ষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরণ প্রথা রহিত হয়। অনুরূপভাবে আরো অনেক ঐতিহাসিক অমানবিক প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টা করা হয়। তার পরও অনেক দেশে ও আমাদের এ দেশে কুষ্ঠরোগী, মানসিক রোগী ও কয়েদিদের ওপর বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ হয়নি। এমনকি এসব নিয়ে খোলাখুলি আলোচনাও ভদ্রস্থ স্থানে করা হয় না। নানা বিষয়ের মধ্যে যৌনতাও একটা বিষয়, যা লুকিয়ে রাখতে পারলে সমাজ সঠিক পথে রইবে বলে মনে করেন অনেকে। আকার-ইঙ্গিতে বিষয়টা অবশ্য প্রকট। সামাজিক শিষ্টাচারে বিবাহ যে নরনারীর মধ্যে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের সনদ তা বলার প্রয়োজন হয় না। যেসব সামাজিক রীতিনীতি বিশ্বে প্রচলিত সেসবের মধ্যে বিবাহ ও বিবাহের মাধ্যমে যৌনতা উপভোগ করে সন্তুষ্ট থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অথচ পুরুষ-নারী উভয়ের সন্তুষ্টিবিধান নিয়ে আলোচনা সমাজনিষিদ্ধ। কিন্তু এই বিষয়টা যে মানবজীবনের একটি স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ তা অনেকেই স্বীকার করতে রাজি নন। দৈহিক ও মানসিক কামনা-বাসনার অবদমনের ফলাফলে সমাজে বলবান পুরুষরা একের বেশি নারীসঙ্গ পেতে ও নারীদের পেষণ করতে অগ্রসর হয়। প্রথমটির জন্য যৌনকর্মী নারীদের স্থান সমাজে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়টির বহিঃপ্রকাশ হয় ধর্ষণের মতো কর্মকাণ্ডে। এ ছাড়া সমাজে সমকামী ও 'হিজড়া' বা উভলিঙ্গ (হার্মাফ্রোডাইট) ব্যক্তিদের কথা উচ্চারিত হওয়াও বিব্রতকর। এখানে সৃজনশীল ও মননশীল সাহিত্যের মধ্যে একটা যোগসূত্র স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সৃজনশীল সাহিত্য যে শুধুই 'প্রেমকাহিনী' হতে হবে, তা আমরা মানি না। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তো সরাসরি বলে দিয়েছিলেন এই সাহিত্য যেন শুধু 'মধ্যবিত্ত ব্যক্তির তরল ও পানসে দুঃখবেদনার পাঁচালি' কিংবা 'ন্যাকা ন্যাকা ছবি' ও 'ছিঁচকাঁদুনে গল্প-উপন্যাসে' ভরে না যায় তা দেখার দায়িত্ব লেখকদেরই। অথচ সমাজরক্ষার জন্য ওই ধরনের সৃজনশীল রচনায় বঙ্গসাহিত্য ভরে গেছে।
এমন নয় যে আমাদের সৃজনশীল লেখকরা মননশীল দার্শনিক ও বাস্তব জগতে কী লেখালেখি হচ্ছে ও সেখানে মানবতার মৌলিক প্রবৃত্তিকে অবদমিত করে না রাখার যে বিশ্লেষণ দাঁড় করানো হয়েছে, সেসব জানেন না। বিকৃত মানসিকতার কয়েকটি (এক্সট্রা) চরিত্র নিয়ে এসে তাঁরা সেগুলোকে মনস্তত্ত্ব বলে চালাতে চান। তাঁরা কি সব জেনেও প্রকাশক ও সমাজের যেসব 'তরল ওসব নিয়ে পানসে' ইচ্ছা পূরণের কাহিনী লিখলে 'গড়পড়তা সাফল্যের নিরাপদ ও সুনিশ্চিতের পথ ধরতে' পারার আশায় লিখে যান (দুটো উদ্ধৃতিই ইলিয়াসের)? আমার কিন্তু মনে হয়, অধিকাংশ প্রকাশিত লেখক মননশীল জগতের দর্শন ও গবেষণার খোঁজ রাখেন না। অবশ্য লেখককে আক্রমণ করে খুব একটা কিছু পাওয়া যাবে না। কারণ তাঁর পক্ষে বাস্তবে সমাজের কাঁথার তলায় লুকিয়ে রাখা ঘটনাবলি লেখার সাহস নেই, তাঁরও তো সমাজে স্ত্রী-পুত্র-পরিবার নিয়ে বাস করতে হয়- তাঁর পক্ষে কামনা-বাসনার ও সর্বগ্রাসী যৌনতার অবদমনের ফলে সামাজিক ক্ষতির বিষয়ে কাহিনী দাঁড় করানো সম্ভব নয়। সমাজের ঔচিত্যবোধ তাঁর ওপরও বর্তে। ফলে ক্ষুধা-তৃষ্ণা-দারিদ্র্য একটু-আধটু লিখে বাস্তব ও বিপ্লবী হওয়ার চেষ্টা করে পুরস্কার পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু সমাজের আলোচনাচক্র-বহির্ভূত বিষয়, যেমন যৌনতা বা অপরাধীর দৃষ্টিতে তার অপরাধ, বা যাকে সমাজ অনৈতিক বলে সংজ্ঞায়িত করেছে সেসব নিয়ে সৃজনশীল রচনা লেখা নিরাপদ নয়। প্রকাশক-সম্পাদকের প্রয়োজন গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজ-নিরীক্ষা নয়, তাঁদের প্রয়োজন বিক্রয়যোগ্য পাণ্ডুলিপি।
তবে এ কথাও সত্য, বঙ্গের কয়েকজন লেখক এসব ফাঁকা ঔচিত্যবোধ থেকে অতীতে বের হয়ে এসেছেন; এটাও প্রমাণিত যে তাঁদের বইয়ের বিক্রি ও পাঠকসংখ্যা কম নয়। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে আরো অনেকে আসবেন- তাদের আগাম স্বাগত জানাই।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক
একজন লেখকের দেখভাল করার জন্য এতসব আয়োজন।
ফলে সৃজনশীল লেখকের কাজটা যত সহজ মনে হয়, তত সহজ নয়। তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সামাজিক দায়িত্ববোধও। গল্প-কাহিনীতে অসামাজিক কিছু থাকতেই পারে, কিন্তু সেসবকে আশকারা দেওয়া যাবে না। সমাজজীবনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি পুরোপুরি তুলে ধরলে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে পারে। পাশ্চাত্য সাহিত্যে এমন অবস্থা এক সময় ছিল, যখন যৌনতাকে, বিশেষত নরনারীর অসামাজিক যৌন সম্পর্কে বিষয় করে লিখলে তা বাজেয়াপ্ত হয়ে যেত। হেনরি মিলার তো 'ট্রপিক অব ক্যান্সার'-এর জন্য তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশকই পাননি। লেডি চ্যাটার্জিস লাভার ঝড় তুলেছিল মস্তবড়।
অবশ্য মননশীল সাহিত্যের ক্ষেত্রে অবস্থা ভিন্ন। ফ্রয়েড খোলাখুলিভাবে যৌনতা নিয়ে লিখলেন, বক্তৃতা দিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে সেসব ঢুকে গেল। তার পরও ফ্রয়েডিয়ান ব্যাখ্যাকে বাস্তবে নিয়ে আসা সহজ হয়নি- সৃজনশীল সাহিত্যে তো সেসব বিষয় এলেই সমালোচকরা খৰহস্ত হয়ে উঠতেন। নিৎসে, ফুকো প্রমুখ অনেক মননশীল দার্শনিক-গবেষক এ যুগেও ধিকৃত হয়েছেন যৌনতা বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য রেখে। মিশেল ফুকো উন্মাদ সম্পর্কে তাঁর তত্ত্ব হাজির করে বলেন যে মধ্যযুগে কুষ্ঠরোগীদের সমাজবহির্ভূত করে রাখা হতো, আর তাঁর সময়ে মানসিক রোগীদের একইভাবে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা হয়। ফুকোর গবেষণার ফলে জেলখানায় কয়েদিদের ওপর দৈহিক নির্যাতন বন্ধের দাবি ওঠে এবং জনসমক্ষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরণ প্রথা রহিত হয়। অনুরূপভাবে আরো অনেক ঐতিহাসিক অমানবিক প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টা করা হয়। তার পরও অনেক দেশে ও আমাদের এ দেশে কুষ্ঠরোগী, মানসিক রোগী ও কয়েদিদের ওপর বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ হয়নি। এমনকি এসব নিয়ে খোলাখুলি আলোচনাও ভদ্রস্থ স্থানে করা হয় না। নানা বিষয়ের মধ্যে যৌনতাও একটা বিষয়, যা লুকিয়ে রাখতে পারলে সমাজ সঠিক পথে রইবে বলে মনে করেন অনেকে। আকার-ইঙ্গিতে বিষয়টা অবশ্য প্রকট। সামাজিক শিষ্টাচারে বিবাহ যে নরনারীর মধ্যে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের সনদ তা বলার প্রয়োজন হয় না। যেসব সামাজিক রীতিনীতি বিশ্বে প্রচলিত সেসবের মধ্যে বিবাহ ও বিবাহের মাধ্যমে যৌনতা উপভোগ করে সন্তুষ্ট থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অথচ পুরুষ-নারী উভয়ের সন্তুষ্টিবিধান নিয়ে আলোচনা সমাজনিষিদ্ধ। কিন্তু এই বিষয়টা যে মানবজীবনের একটি স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ তা অনেকেই স্বীকার করতে রাজি নন। দৈহিক ও মানসিক কামনা-বাসনার অবদমনের ফলাফলে সমাজে বলবান পুরুষরা একের বেশি নারীসঙ্গ পেতে ও নারীদের পেষণ করতে অগ্রসর হয়। প্রথমটির জন্য যৌনকর্মী নারীদের স্থান সমাজে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়টির বহিঃপ্রকাশ হয় ধর্ষণের মতো কর্মকাণ্ডে। এ ছাড়া সমাজে সমকামী ও 'হিজড়া' বা উভলিঙ্গ (হার্মাফ্রোডাইট) ব্যক্তিদের কথা উচ্চারিত হওয়াও বিব্রতকর। এখানে সৃজনশীল ও মননশীল সাহিত্যের মধ্যে একটা যোগসূত্র স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সৃজনশীল সাহিত্য যে শুধুই 'প্রেমকাহিনী' হতে হবে, তা আমরা মানি না। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তো সরাসরি বলে দিয়েছিলেন এই সাহিত্য যেন শুধু 'মধ্যবিত্ত ব্যক্তির তরল ও পানসে দুঃখবেদনার পাঁচালি' কিংবা 'ন্যাকা ন্যাকা ছবি' ও 'ছিঁচকাঁদুনে গল্প-উপন্যাসে' ভরে না যায় তা দেখার দায়িত্ব লেখকদেরই। অথচ সমাজরক্ষার জন্য ওই ধরনের সৃজনশীল রচনায় বঙ্গসাহিত্য ভরে গেছে।
এমন নয় যে আমাদের সৃজনশীল লেখকরা মননশীল দার্শনিক ও বাস্তব জগতে কী লেখালেখি হচ্ছে ও সেখানে মানবতার মৌলিক প্রবৃত্তিকে অবদমিত করে না রাখার যে বিশ্লেষণ দাঁড় করানো হয়েছে, সেসব জানেন না। বিকৃত মানসিকতার কয়েকটি (এক্সট্রা) চরিত্র নিয়ে এসে তাঁরা সেগুলোকে মনস্তত্ত্ব বলে চালাতে চান। তাঁরা কি সব জেনেও প্রকাশক ও সমাজের যেসব 'তরল ওসব নিয়ে পানসে' ইচ্ছা পূরণের কাহিনী লিখলে 'গড়পড়তা সাফল্যের নিরাপদ ও সুনিশ্চিতের পথ ধরতে' পারার আশায় লিখে যান (দুটো উদ্ধৃতিই ইলিয়াসের)? আমার কিন্তু মনে হয়, অধিকাংশ প্রকাশিত লেখক মননশীল জগতের দর্শন ও গবেষণার খোঁজ রাখেন না। অবশ্য লেখককে আক্রমণ করে খুব একটা কিছু পাওয়া যাবে না। কারণ তাঁর পক্ষে বাস্তবে সমাজের কাঁথার তলায় লুকিয়ে রাখা ঘটনাবলি লেখার সাহস নেই, তাঁরও তো সমাজে স্ত্রী-পুত্র-পরিবার নিয়ে বাস করতে হয়- তাঁর পক্ষে কামনা-বাসনার ও সর্বগ্রাসী যৌনতার অবদমনের ফলে সামাজিক ক্ষতির বিষয়ে কাহিনী দাঁড় করানো সম্ভব নয়। সমাজের ঔচিত্যবোধ তাঁর ওপরও বর্তে। ফলে ক্ষুধা-তৃষ্ণা-দারিদ্র্য একটু-আধটু লিখে বাস্তব ও বিপ্লবী হওয়ার চেষ্টা করে পুরস্কার পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু সমাজের আলোচনাচক্র-বহির্ভূত বিষয়, যেমন যৌনতা বা অপরাধীর দৃষ্টিতে তার অপরাধ, বা যাকে সমাজ অনৈতিক বলে সংজ্ঞায়িত করেছে সেসব নিয়ে সৃজনশীল রচনা লেখা নিরাপদ নয়। প্রকাশক-সম্পাদকের প্রয়োজন গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজ-নিরীক্ষা নয়, তাঁদের প্রয়োজন বিক্রয়যোগ্য পাণ্ডুলিপি।
তবে এ কথাও সত্য, বঙ্গের কয়েকজন লেখক এসব ফাঁকা ঔচিত্যবোধ থেকে অতীতে বের হয়ে এসেছেন; এটাও প্রমাণিত যে তাঁদের বইয়ের বিক্রি ও পাঠকসংখ্যা কম নয়। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে আরো অনেকে আসবেন- তাদের আগাম স্বাগত জানাই।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক
No comments