রাজশাহী জামায়াতের টেস্ট কেস, পেছনে নীলনকশা by শংকর কুমার দে
রাজশাহীর নৃশংস তা-বলীলা জামায়াত_শিবিরের টেস্ট কেস। সুপরিকল্পিত নীল নকশার অংশ হিসেবে রাজশাহীসহ সারাদেশে চোরাগুপ্তা হামলা, গুপ্তহত্যা, খুন, হত্যাকা-, রগ কাটাসহ নানা ধরনের নাশকতা চালাতে মাঠে নেমেছে তারা।
রাজশাহীর ঘটনার উৎস অনেক গভীরে। নেপথ্য থেকে তাদের উস্কানি দিচ্ছে দেশী-বিদেশী প্রভাবশালী মহল। জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ও তদনত্মে এমন তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। সরকার ৫ম সংশোধনী পাস করার পর জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে ইসলামী দলগুলো ও তাদের দেশী-বিদেশী মিত্রদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া রাজশাহীর ঘটনা। সরকার রাজশাহীর ঘটনা কিভাবে মোকাবেলা করে তা দেখে পরবর্তী পদৰেপ গ্রহণ করবে তারা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরম্ন হওয়ার আগেই সরকারের বিরম্নদ্ধে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে জামায়াত-শিবির।জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী রাজশাহী সফর করে আসার পরের দিনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃশংস হত্যাকা-, হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়াসহ সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালানোর ঘটনাটি নীল নকশার অংশ বলে নিশ্চিত গোয়েন্দারা। ছাত্র শিবিরের প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেছে, জামায়াত-শিবিরের বিরম্নদ্ধে গ্রেফতার-নির্যাতন বন্ধ করা না হলে তারা দেশেকে অচল করে দেবে। সরকারের বিরম্নদ্ধে হুমকি দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার ঘটনাকে টেস্ট কেস হিসেবে দেখছে জামায়াত_শিবির।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নক হোসেনকে নৃশংসভাবে খুন ও ছাত্রলীগ কর্মীদের হাত-পায়ের রগ কাটার পর থেকে জামায়াত_শিবিরের সন্ত্রাসের তা-বলীলা থেমে নেই। চোরাগুপ্তা হত্যাকা-ের শিকারে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী মহিউদ্দিন। জামায়াত_শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডারদের হাতেই মহিউদ্দিন গুপ্তহত্যার শিকারে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী মহিউদ্দিনের চোরাগুপ্তা হত্যাকা-ের পর খোদ রাজধানী ঢাকার মানিকদিতে গুলি করে খুন করা হয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ফারম্নক হোসেনকে। ফারম্নক খুনের ঘটনাটিও জামায়াত_শিবিরের চোরাগুপ্তা হত্যাকা-ের ঘটনা কিনা তা তদনত্ম করে দেখা হচ্ছে। সারাদেশে গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত_শিবির ক্যাডাররা।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সারাদেশে জামায়াত_শিবির গুপ্তহত্যা ও খুনের ঘটনার জন্য হিটলিস্ট তৈরি করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃশংস খুন ও হাত-পায়ের রগ কাটার ঘটনার পর সারাদেশে চিরম্ননি অভিযান চলছে। চিরম্ননি তলস্নাশিতে জামায়াত-শিবিরের কাছ থেকে একটি হিটলিস্ট পাওয়া গেছে। হিটলিস্টের ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মীর নাম রয়েছে। ঢাকায় গ্রেফতারকৃত শিবির ক্যাডারদের কাছ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হিটলিস্টের তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের শিবিরের হিটলিস্ট খুঁজে বের করার তদনত্ম চলছে। হিটলিস্ট অনুযায়ী জামায়াত-শিবির কিলিং মিশনে মাঠে নেমেছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গোয়েন্দা সংস্থার এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসী তা-বলীলাকে মোকাবেলার জন্য সারাদেশে জামায়াত-শিবিরবিরোধী যে চিরম্ননি অভিযান চালানো হচ্ছে তার সাফল্য -ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করছে জামায়াত_শিবিরের রাজনীতি। জামায়াত_শিবির মরণ কামড় দিতে পারে। তাদের সঙ্গে আছে উগ্র মৌলবাদী মতাদর্শের অন্য ইসলামী দলগুলো। তাদের প্রত্যৰ ও পরোৰভাবে সহযোগিতা করছে রাজনৈতিক অঙ্গনের দীর্ঘদিনের মিত্ররা। সরকার ৫ম সংশোধনী পাস করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরম্ন করলে জামায়াত_শিবিরের অসত্মিত্ব নিয়ে টান দেবে। তাই তারা সরকারের বিরম্নদ্ধে মরণ কামড় দিয়েই মাঠে নেমেছে। দেশী_বিদেশী প্রভাবশালী শক্তির মদদে মাঠে নেমেছে জামায়াত_শিবির। জামায়াত_শিবিরকে কারা কিভাবে মদদ দিয়ে মাঠে নামিয়েছে সে বিষয়ে তদনত্ম চলছে।
No comments