শিষ্টাচারবহির্ভুত মন্তব্য পাক হাইকমিশনারের বললেন আইনমন্ত্রী
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে পাকিস্তানী হাইকমিশনারের বক্তব্যকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের শামিল মনে করেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ত্রিপীয় চুক্তিতে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ১৯৫ পাকিসত্মানী নাগরিকের কথা উলেস্নখ আছে। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যারা বাংলাদেশের অভ্যনত্মরে হত্যা, খুন, অগি্নসংযোগ ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের কথা উলেস্নখ করা হয়নি। তাই বাংলাদেশে যে বিচার হবে এটা দেশের অভ্যনত্মরীণ বিষয়। বিষয়টি নিয়ে পাকিসত্মানী হাইকমিশনারের মনত্মব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং বাংলাদেশের অভ্যনত্মরীণ বিষয়ে হসত্মেেপর শামিল। শুক্রবার একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাাতকারে তিনি পাক হাইকমিশনারের মনত্মব্যে তীব্র ােভ এবং যুদ্বাপরাধীদের বিচারে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান। এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার পাকিসত্মানী হাইকমিশনারের বক্তব্যে বিভিন্ন মহলে তীব্র ােভের সৃষ্টি হয়েছে।বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিসত্মানী হাইকমিশনার আশরাফ কোরাইশী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তার দেশের অবস্থানের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা মনে করি ১৯৭৪ সালে ত্রিদেশীয় চুক্তির আওতায় ইসু্যটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমরা আগের অবস্থানেই রয়েছি। তিনি বলেন, এখন সময় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার। এর আগে পাকিসত্মানের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত সালমান ইস্পাহানীও গত বছরের গোড়ার দিকে ঢাকা সফরকালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে তাঁর দেশের অনড় অবস্থানের কথা জানান। গত বছরের জুনে পাকিসত্মানে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ খালিদ অনেকটা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হলে পাকিসত্মানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শীতল হবে। মহাজোট সরকার মতা গ্রহণের পর ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার মহাজোট সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। তবে শুরম্ন থেকেই পাকিসত্মান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপ েকঠোর অবস্থান নেয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আনত্মর্জাতিক ফোরামে তৎপরতা চালাচ্ছে পাকিসত্মান।
No comments