সদস্যপদ বাঁচাতেই বিরোধী দল সংসদে এসেছিল- মহাজোট এমপিদের অভিযোগ
সংসদ সদস্যপদ রৰার জন্য বিরোধী দল সংসদে এসেছিল বলে অভিযোগ করেছেন মহাজোটের সদস্যরা। রাজনৈতিক সিদ্ধানত্ম নিয়েই বিনাইসু্যতে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছে দাবি করে তাঁরা বলেন,
বিরোধী দল সংসদে ফাইল ছুড়ে যে আচরণ করল, তাতে স্পীকারের পাশাপাশি সকল সংসদ সদস্যের নিরাপত্তার কথাও ভাবতে হবে। বৃহস্পতিবার বিরোধী দল সংসদ থেকে ওয়াকআউটের পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে মহাজোটের সংসদ সদস্যরা এ অভিযোগ করেন। তবে স্পীকার আবারও বিরোধী দলকে সংসদে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন_ সংসদে আসুন, কথা বলুন। সংখ্যায় যাই হোক, সরকার ও বিরোধী দল সমানভাবে কথা বলার সুযোগ পাবে। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু করা হলে সেৰেত্রে আমি অপারগ।রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা শেষে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের মতো অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাংলাদেশে কম হয়েছে। সারাবিশ্বের মানুষ প্রশংসা করেছেন। মনের মধ্যে পরাজয়ের গস্নানি থেকেই কারসাজির নির্বাচন বলে বিভ্রানত্ম ছড়াতে চাইছেন। জনগণ মনে করে সংসদে গিয়ে সদস্যপদ রৰা করে হয়ত সংসদে আর থাকবে না। তাঁরা ফিরে না আসলে জনগণের ধারণাই প্রমাণিত হবে। সংসদে না আসলে তাঁদের আসন শূন্য হতো। শহীদ জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় তীব ৰোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, হাইকোর্ট রায় দিয়েছে জেনারেল জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক নন। ২৭ মার্চের আগে জিয়াকে কেউ চিনত না। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক এটা ঐতিহাসিক সত্য, জিয়া কখনও জীবদ্দশায় বলেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, এ সরকার যদি অনির্বাচিত হয় তবে সংসদের সামনের সারির জন্য বিরোধী দল এত কিচিরমিচির করলেন কেন? সংসদ সদস্যপদ রৰার জন্যই-বা তাঁরা কেন সংসদে আসলেন? বিরোধী দলের এমন দ্বিচারিতা, মিথ্যাচার, রাজনৈতিক প্রলাপ ও বিকার দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। সংসদ বর্জন করে দিনটিকে কলঙ্কিত করার জন্য বিরোধী দলের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করব না, তবে বিবেচনার ভার জনগণের ওপরই ছেড়ে দিলাম।
জাসদের কার্যকরী সদস্য মঈনউদ্দিন বাদল ফোর নিয়ে বলেন, যেভাবে ফাইল ছুড়ে মারা হলো, তাতে জাতীয় পার্টির একজন সদস্য মাথা না সরালে বড় দুর্ঘটনা ঘটত। এমন আচরণ প্রমাণ করে তাঁরা ভবিষ্যতে সংসদে নানা ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করবে। নির্বাচনে ২৭৩ আসনে জিতে আমরা কোন অপরাধ করিনি। বিরোধী দলের দু'জন জিতলে গণতন্ত্রের কিছু হতো না। স্পীকারের নিজের নিরাপত্তার দিকেও সতর্ক থাকা উচিত। আমরা এমপিরাও নিরাপত্তা চাই।
এ্যাডভোকেট ফজলে রাবি্ব মিয়া বলেন, কাগজপত্র ছুড়ে ফেলার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে তাঁরা পরিকল্পিতভাবেই এ ওয়াকআউট করেছে। ফোন্ডার ও কাগজপত্র ছুড়ে মেরে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সংসদ বর্জন করেছে। সংসদকে তাঁরা কার্যকর করতে চায় না তা তাঁদের আচরণের মাধ্যমেই বহিপর্্রকাশ ঘটিয়েছে।
No comments