তাজরীনে আগুন- অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না আহতরা by গোলাম মর্তুজা ও অরূপ রায়
আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন লাগার পর জানালা ভেঙে চারতলা থেকে লাফ দেন সুইং অপারেটর জয়তুন বেগম। নিচে পড়ার সময় তাঁর ডান পায়ের মাংসপেশিতে বাঁশ ঢুকে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে পাশের নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা পেশি সেলাই করে দেন।
চিকিৎসা বাবদ ইতিমধ্যে জয়তুনের খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। এই টাকা তিনি ধার করেছেন দুজন নিকটাত্মীয়র কাছ থেকে। এখন ওষুধ কেনারও টাকা নেই। গতকাল বুধবার তাজরীন ফ্যাশনসের পাশে জয়তুনের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ফোলা ডান পা নিয়ে বিছানায় পড়ে আছেন তিনি। তাঁর স্বামী ভ্যানচালক সুরুজ মিয়াও গত দুই দিন কাজে যেতে পারেননি। দুটি ছেলেমেয়ে নিয়ে পরিবারটির অবস্থা করুণ। জয়তুন বলেন, কারখানার মালিকপক্ষের কাছ থেকে কোনো রকম সহায়তা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার রাতের ওই আগুনে ১১১ জন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কিন্তু আহতদের সঠিক হিসাব নেই। ওই পোশাক কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন বলছেন, আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা দুই শতাধিক। তাঁদের বেশির ভাগই অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। কারখানার মালিকপক্ষ বা মালিকদের সংগঠনের কাছ থেকেও মিলছে না প্রতিশ্রুত সাড়া।
জানা যায়, আহতদের মধ্যে ৫৩ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, ১১ জনকে ভর্তি করা হয় এবং বাকি ২৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া ছয়জনকেই ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থাভাবে তাঁদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে পারেননি। অল্প আঘাত পাওয়া শ্রমিকদের অনেকেই চিকিৎসকের কাছেও যাননি টাকার অভাবে।
পোশাকশ্রমিক মাবিয়া বাঁশ বেয়ে নামতে গিয়ে মারাত্মক চোট পান। চিকিৎসা নেন আশুলিয়ার পপুলার জেনারেল হাসপাতালে। এখন আছেন বাসায়। মাবিয়া বলেন, ‘চিকিৎসার খরচ পাব কি না, জানিই না। চলতি মাসের বেতন পাওয়ার জন্যই ছোটাছুটি করছি।’ সুইং অপারেটর রাজিয়া খাতুন জানালা ভেঙে তিনতলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। তবে তাঁর ডান হাত, পেট ও পা কেটে যায়। কারখানার পাশে থাকা তাঁর বাসার মালামালও পুড়ে গেছে আগুনে। চিকিৎসা দূরে থাক, চাল কেনারও টাকা নেই তাঁর। তিনি বলেন, কর্মকর্তারা সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেননি।
নিশ্চিন্তপুর রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা গেল আরও কয়েকজন আহতকে। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থা নিহত-আহতদের তালিকা করতে এসেছে। তাজরীনের বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও নিহতদের আত্মীয়রা এখানে ভিড় জমান বকেয়া বেতন ও ক্ষতিপূরণের আশায়।
সেখানে রিকশাভ্যানে বসে থাকা তাজরীন ফ্যাশনসের সুইং হেলপার আলীনূর বেগম জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় চারতলায় কাজ করছিলেন তিনি। পরে কার্নিশ দিয়ে তিনতলায় নেমে সেখান থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে তাঁর বাঁ পা ভেঙেছে, মাথা ফেটেছে, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে গেছে। স্থানীয়রা তাঁকে নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে নিলে তাঁকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থাভাবে পঙ্গু হাসপাতালে যাননি। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা করাতে এ পর্যন্ত নয় হাজার টাকা ধার করেছেন তিনি।
আলীনূর বলেন, বকেয়া বেতনের জন্য ‘স্লিপ’ দেওয়া হচ্ছে শুনে তিনি ভ্যান ভাড়া করে এখানে এসেছেন। কিন্তু নগদ কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না। কেউ সাহায্যের জন্যও আসছেন না।
বিদ্যালয়ের মাঠে ভাঙা বাঁ হাতে প্লাস্টার করা অবস্থায় দেখা গেল সুইং অপারেটর আরিফাকে। তিনিও তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচান। প্রথমে নিজের টাকায় চিকিৎসা করান। তবে গত মঙ্গলবার বিজিএমইএর সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাতে প্লাস্টার করাতে পেরেছেন। তিনিও এসেছেন বকেয়া বেতনের আশায়। আরিফা জানান, তাঁর বোন আলেমাও তাঁর সঙ্গে লাফ দিয়েছিলেন। তাঁর ডান পা ভেঙে হাড় বেরিয়ে পড়েছে। তিনি পঙ্গু হাসপাতালে রয়েছেন। নিজের টাকায়ই চলছে চিকিৎসা।
তিনতলা থেকে এগজস্ট ফ্যান ভেঙে লাফিয়ে পড়ে বাঁ হাত ও কপালে আঘাত পান সুইং অপারেটর খালেদা বেগম। কারখানার অদূরে মাঠে বসে তিনি জানান, তিনি উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে চার দিন পরই বাড়ি চলে এসেছেন।
ধোঁয়ার কারণে মোহসেনাসহ কয়েকজন কর্মী ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। মোহসেনা বলেন, ‘ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। মনে করেছিলাম এই বুঝি শেষ।’ তাঁরা জানান, ফুসফুসে ধোঁয়া ঢোকায় কাশি, নিঃশ্বাসে সমস্যাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, কারখানার গুদামে চীন থেকে আমদানি করা সিনথেটিক কাপড় ও সুতা ছিল। এগুলো পুড়লে গাঢ় ধোঁয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক উপপরিচালক সেলিম নেওয়াজ ভুঁইয়া বলেন, পেট্রোলিয়াম বায়োপ্রোডাক্ট, অ্যাক্রিলিক ও সিনথেটিক পুড়লে গাঢ় ধোঁয়া হয়। এগুলোতে অতিমাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে, যা ফুসফুসে গেলে মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
এ বিষয়ে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আলী হোসেন বলেন, এমন ধরনের ধোঁয়া ফুসফুসে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত (এআরডিএস) তৈরি করে, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হয়। এ জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা, যা ব্যয়বহুল।
আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে বিজিএমএইএর সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, তাজরীন ফ্যাশনসে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের একজন মিরাজকে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসাবাড়িতে যাঁরা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের চিকিৎসার ব্যাপারে চারজন করে চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত মোট ছয়টি দল কাজ করছে। তার পরও কারও কোনো সমস্যা থাকলে তিনি তাঁদের বিজিএমইএ কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
গত শনিবার রাতের ওই আগুনে ১১১ জন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কিন্তু আহতদের সঠিক হিসাব নেই। ওই পোশাক কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন বলছেন, আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা দুই শতাধিক। তাঁদের বেশির ভাগই অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। কারখানার মালিকপক্ষ বা মালিকদের সংগঠনের কাছ থেকেও মিলছে না প্রতিশ্রুত সাড়া।
জানা যায়, আহতদের মধ্যে ৫৩ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, ১১ জনকে ভর্তি করা হয় এবং বাকি ২৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া ছয়জনকেই ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থাভাবে তাঁদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে পারেননি। অল্প আঘাত পাওয়া শ্রমিকদের অনেকেই চিকিৎসকের কাছেও যাননি টাকার অভাবে।
পোশাকশ্রমিক মাবিয়া বাঁশ বেয়ে নামতে গিয়ে মারাত্মক চোট পান। চিকিৎসা নেন আশুলিয়ার পপুলার জেনারেল হাসপাতালে। এখন আছেন বাসায়। মাবিয়া বলেন, ‘চিকিৎসার খরচ পাব কি না, জানিই না। চলতি মাসের বেতন পাওয়ার জন্যই ছোটাছুটি করছি।’ সুইং অপারেটর রাজিয়া খাতুন জানালা ভেঙে তিনতলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। তবে তাঁর ডান হাত, পেট ও পা কেটে যায়। কারখানার পাশে থাকা তাঁর বাসার মালামালও পুড়ে গেছে আগুনে। চিকিৎসা দূরে থাক, চাল কেনারও টাকা নেই তাঁর। তিনি বলেন, কর্মকর্তারা সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেননি।
নিশ্চিন্তপুর রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা গেল আরও কয়েকজন আহতকে। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থা নিহত-আহতদের তালিকা করতে এসেছে। তাজরীনের বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও নিহতদের আত্মীয়রা এখানে ভিড় জমান বকেয়া বেতন ও ক্ষতিপূরণের আশায়।
সেখানে রিকশাভ্যানে বসে থাকা তাজরীন ফ্যাশনসের সুইং হেলপার আলীনূর বেগম জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় চারতলায় কাজ করছিলেন তিনি। পরে কার্নিশ দিয়ে তিনতলায় নেমে সেখান থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে তাঁর বাঁ পা ভেঙেছে, মাথা ফেটেছে, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে গেছে। স্থানীয়রা তাঁকে নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে নিলে তাঁকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থাভাবে পঙ্গু হাসপাতালে যাননি। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা করাতে এ পর্যন্ত নয় হাজার টাকা ধার করেছেন তিনি।
আলীনূর বলেন, বকেয়া বেতনের জন্য ‘স্লিপ’ দেওয়া হচ্ছে শুনে তিনি ভ্যান ভাড়া করে এখানে এসেছেন। কিন্তু নগদ কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না। কেউ সাহায্যের জন্যও আসছেন না।
বিদ্যালয়ের মাঠে ভাঙা বাঁ হাতে প্লাস্টার করা অবস্থায় দেখা গেল সুইং অপারেটর আরিফাকে। তিনিও তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচান। প্রথমে নিজের টাকায় চিকিৎসা করান। তবে গত মঙ্গলবার বিজিএমইএর সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাতে প্লাস্টার করাতে পেরেছেন। তিনিও এসেছেন বকেয়া বেতনের আশায়। আরিফা জানান, তাঁর বোন আলেমাও তাঁর সঙ্গে লাফ দিয়েছিলেন। তাঁর ডান পা ভেঙে হাড় বেরিয়ে পড়েছে। তিনি পঙ্গু হাসপাতালে রয়েছেন। নিজের টাকায়ই চলছে চিকিৎসা।
তিনতলা থেকে এগজস্ট ফ্যান ভেঙে লাফিয়ে পড়ে বাঁ হাত ও কপালে আঘাত পান সুইং অপারেটর খালেদা বেগম। কারখানার অদূরে মাঠে বসে তিনি জানান, তিনি উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে চার দিন পরই বাড়ি চলে এসেছেন।
ধোঁয়ার কারণে মোহসেনাসহ কয়েকজন কর্মী ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। মোহসেনা বলেন, ‘ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। মনে করেছিলাম এই বুঝি শেষ।’ তাঁরা জানান, ফুসফুসে ধোঁয়া ঢোকায় কাশি, নিঃশ্বাসে সমস্যাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, কারখানার গুদামে চীন থেকে আমদানি করা সিনথেটিক কাপড় ও সুতা ছিল। এগুলো পুড়লে গাঢ় ধোঁয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক উপপরিচালক সেলিম নেওয়াজ ভুঁইয়া বলেন, পেট্রোলিয়াম বায়োপ্রোডাক্ট, অ্যাক্রিলিক ও সিনথেটিক পুড়লে গাঢ় ধোঁয়া হয়। এগুলোতে অতিমাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে, যা ফুসফুসে গেলে মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
এ বিষয়ে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আলী হোসেন বলেন, এমন ধরনের ধোঁয়া ফুসফুসে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত (এআরডিএস) তৈরি করে, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হয়। এ জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা, যা ব্যয়বহুল।
আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে বিজিএমএইএর সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, তাজরীন ফ্যাশনসে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের একজন মিরাজকে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসাবাড়িতে যাঁরা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের চিকিৎসার ব্যাপারে চারজন করে চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত মোট ছয়টি দল কাজ করছে। তার পরও কারও কোনো সমস্যা থাকলে তিনি তাঁদের বিজিএমইএ কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
No comments