শিক্ষাঙ্গনে গোলাগুলির মহড়া চলছেই- ছাত্রদলই বা কম কিসে?
যশোরের এমএম কলেজে গত মঙ্গলবার ভরদুপুরে যাঁরা পরস্পরের মধ্যে মারামারি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, বোমাবাজি-গোলাগুলি করে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন, তাঁরা কবে কোন কালে শিক্ষার্থী ছিলেন কে জানে, তবে তাঁরা সবাই যে একই ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী, তা যশোরবাসী জানেন, সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসীও জেনে গেলেন।
ছাত্রসংগঠনটির নাম জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল—দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ছাত্র শাখা হিসেবে পরিচিত, কাজ করে দলটির অগ্রবর্তী বাহিনীর মতো।
দেখা যায়, নিজেদের মধ্যে মারামারি এমনকি খুনোখুনিতেও মেতে ওঠেন সাধারণত ক্ষমতাসীন দল ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। কারণ, ক্ষমতা ও আধিপত্যের সঙ্গে যে হালুয়া-রুটির যোগ থাকে, তাঁরা তার ভাগাভাগি মসৃণভাবে করতে পারেন না। তাই তো নিজের দলের ‘সহযোদ্ধাদের’ খুন করে হলেও আধিপত্য রক্ষার বেপরোয়া তৎপরতা আমরা বিস্তর দেখে আসছি। বর্তমান সরকারের আমলেই ছাত্রলীগ-যুবলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সহিংস বহিঃপ্রকাশে খোদ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন একবার।
কিন্তু ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কেন নিজেদের ‘সহযোদ্ধাদের’ বুক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছেন? ক্ষমতার হালুয়া-রুটি নিয়ে কাড়াকাড়ির কোনো সুযোগ তো এখন তাঁদের নেই! এ রকম প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া গেছে: সেদিনই বিকেলে যশোর জেলা ছাত্রদলের নেতারা সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছেন, এমএম কলেজে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে ক্যাম্পাসের ‘আধিপত্য’ নিয়ে। একটি পক্ষের নেতাদের ছাত্রত্বের দিন গত হয়েছে বহু আগেই; কিন্তু ক্ষমতা-কর্তৃত্ব-আধিপত্য কে ছেড়ে দিতে চায়? না, এমএম কলেজের ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য কিছুতেই ছাড়তে রাজি নন ছাত্রদলের একটি অংশের নেতারা। কিন্তু তা কী করে হবে, সময় ও নদীর স্রোত কি কারও জন্য থেমে থাকে? সুতরাং নতুন নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বেধে গেল তাঁদের লড়াই! খবরটি প্রচারের পর কেউ কেউ বলছেন, সামনে বিএনপি ক্ষমতায় যাচ্ছে ভেবে ছাত্রদলের এই নেতা-কর্মীরা এখন থেকেই শুরু করেছেন গোলাগুলির ‘রিহার্সেল’!
সবই বোঝা গেল; নতুন কিছুই ঘটেনি, যা বোঝা কঠিন। তবু বিস্ময়ের সঙ্গে প্রশ্ন ওঠে: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় কেন? নিদেনপক্ষে পিস্তলসুদ্ধ যে যুবকের ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলো, তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বাধা কোথায়?
দেখা যায়, নিজেদের মধ্যে মারামারি এমনকি খুনোখুনিতেও মেতে ওঠেন সাধারণত ক্ষমতাসীন দল ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। কারণ, ক্ষমতা ও আধিপত্যের সঙ্গে যে হালুয়া-রুটির যোগ থাকে, তাঁরা তার ভাগাভাগি মসৃণভাবে করতে পারেন না। তাই তো নিজের দলের ‘সহযোদ্ধাদের’ খুন করে হলেও আধিপত্য রক্ষার বেপরোয়া তৎপরতা আমরা বিস্তর দেখে আসছি। বর্তমান সরকারের আমলেই ছাত্রলীগ-যুবলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সহিংস বহিঃপ্রকাশে খোদ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন একবার।
কিন্তু ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কেন নিজেদের ‘সহযোদ্ধাদের’ বুক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছেন? ক্ষমতার হালুয়া-রুটি নিয়ে কাড়াকাড়ির কোনো সুযোগ তো এখন তাঁদের নেই! এ রকম প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া গেছে: সেদিনই বিকেলে যশোর জেলা ছাত্রদলের নেতারা সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছেন, এমএম কলেজে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে ক্যাম্পাসের ‘আধিপত্য’ নিয়ে। একটি পক্ষের নেতাদের ছাত্রত্বের দিন গত হয়েছে বহু আগেই; কিন্তু ক্ষমতা-কর্তৃত্ব-আধিপত্য কে ছেড়ে দিতে চায়? না, এমএম কলেজের ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য কিছুতেই ছাড়তে রাজি নন ছাত্রদলের একটি অংশের নেতারা। কিন্তু তা কী করে হবে, সময় ও নদীর স্রোত কি কারও জন্য থেমে থাকে? সুতরাং নতুন নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বেধে গেল তাঁদের লড়াই! খবরটি প্রচারের পর কেউ কেউ বলছেন, সামনে বিএনপি ক্ষমতায় যাচ্ছে ভেবে ছাত্রদলের এই নেতা-কর্মীরা এখন থেকেই শুরু করেছেন গোলাগুলির ‘রিহার্সেল’!
সবই বোঝা গেল; নতুন কিছুই ঘটেনি, যা বোঝা কঠিন। তবু বিস্ময়ের সঙ্গে প্রশ্ন ওঠে: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় কেন? নিদেনপক্ষে পিস্তলসুদ্ধ যে যুবকের ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলো, তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বাধা কোথায়?
No comments