পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সুজান রাইসের নিয়োগ অনিশ্চিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এক নম্বর পছন্দ সুজান রাইস বিরোধী রিপাবলিকানদের সঙ্গে বিব্রতকর বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। রিপাবলিকানরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান দূত সুজানের মন্ত্রী হওয়া ঠেকাতে যা কিছু সম্ভব সবই করবেন তাঁরা।
বিতর্কের কারণ গত সেপ্টেম্বরে লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলা প্রসঙ্গে সুজানের মন্তব্য। বিরোধীদের দাবি, সুজান ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। বিরোধ মেটাতে গত মঙ্গলবার রিপাবলিকান সিনেটরদের সঙ্গে বৈঠক করেন সুজান। তবে ভুল তথ্য দেওয়ার কথা মেনে নিলেও বিবাদ মেটেনি।
বেনগাজির ওই হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ যুক্তরাষ্ট্রের চার নাগরিক নিহত হন। হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই সুজান (৪৮) জানান, যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত একটি বিতর্কিত চলচ্চিত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কনস্যুলেটে হামলা চালানো হয়। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলার সঙ্গে আল কায়েদা জড়িত। তখনই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল তোলে রিপাবলিকানরা। তাঁদের দাবি, প্রেসিডেন্ট আগেই আল-কায়েদা নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই পুনর্নির্বাচনের আগে আল-কায়েদাকে এর সঙ্গে জড়িয়ে প্রেসিডেন্টকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাননি সুজান। ওবামার পুনর্নির্বাচনের পথ মসৃণ করতেই আল-কায়েদাকে বাদ দিয়ে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
ক্যাপিটল হিলে অনুষ্ঠিত ৯০ মিনিটের বৈঠকে সুজান তাঁর ভুল স্বীকার করেন। বৈঠক-পরবর্তী এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যই তিনি পরিবেশন করেছিলেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে তাঁর বক্তব্য রিপাবলিকান সিনেটরদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। বৈঠকে জন ম্যাককেইন, ক্যালি আইয়োটে ও লিন্ডসে গ্রাহাম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ম্যাককেইন সাংবাদিকদের জানান, সুজানের বহু জবাবই তাঁদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। বলেন, 'এটা স্পষ্ট, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভুল তথ্য দিয়েছেন। তবে কোন প্রমাণ বা তথ্যের ভিত্তিতে তিনি কাজটি করেছেন তা স্পষ্ট নয়।' গ্রাহাম বলেন, 'মোদ্দাকথা হচ্ছে, বৈঠকের আগের তুলনায় এখন আমার কাছে বিষয়টি আরো গোলমেলে ঠেকছে। আমাদের অনেক কিছুই জানার ছিল।' বৈঠকে সিআইএর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মাইকেল মোরেলও উপস্থিত ছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে সুজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পথে বাধা আসার বিষয়টি অনেকখানি পরিষ্কার। এ প্রসঙ্গে অনেক রিপাবলিকান নেতা ২০০৫ সালে জাতিসংঘের দূত হিসেবে জন বল্টনের নিয়োগ পাওয়ার প্রক্রিয়াটিও স্মরণ করেন। সেবার রিপাবলিকানদের এই প্রার্থীর মনোনয়ন কংগ্রেসে কয়েক মাস আটকে রেখেছিল ডেমোক্র্যাটরা। পরে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে বল্টনের নিয়োগ নিশ্চিত করেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জে কার্নি বলেন, সব প্রশ্নেরই জবাব পেয়েছেন রিপাবলিকানরা। সমস্যা হচ্ছে সুজানকে গ্রহণ করার মানসিকতাই হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
বেনগাজির ওই হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ যুক্তরাষ্ট্রের চার নাগরিক নিহত হন। হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই সুজান (৪৮) জানান, যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত একটি বিতর্কিত চলচ্চিত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কনস্যুলেটে হামলা চালানো হয়। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলার সঙ্গে আল কায়েদা জড়িত। তখনই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল তোলে রিপাবলিকানরা। তাঁদের দাবি, প্রেসিডেন্ট আগেই আল-কায়েদা নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই পুনর্নির্বাচনের আগে আল-কায়েদাকে এর সঙ্গে জড়িয়ে প্রেসিডেন্টকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাননি সুজান। ওবামার পুনর্নির্বাচনের পথ মসৃণ করতেই আল-কায়েদাকে বাদ দিয়ে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
ক্যাপিটল হিলে অনুষ্ঠিত ৯০ মিনিটের বৈঠকে সুজান তাঁর ভুল স্বীকার করেন। বৈঠক-পরবর্তী এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যই তিনি পরিবেশন করেছিলেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে তাঁর বক্তব্য রিপাবলিকান সিনেটরদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। বৈঠকে জন ম্যাককেইন, ক্যালি আইয়োটে ও লিন্ডসে গ্রাহাম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ম্যাককেইন সাংবাদিকদের জানান, সুজানের বহু জবাবই তাঁদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। বলেন, 'এটা স্পষ্ট, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভুল তথ্য দিয়েছেন। তবে কোন প্রমাণ বা তথ্যের ভিত্তিতে তিনি কাজটি করেছেন তা স্পষ্ট নয়।' গ্রাহাম বলেন, 'মোদ্দাকথা হচ্ছে, বৈঠকের আগের তুলনায় এখন আমার কাছে বিষয়টি আরো গোলমেলে ঠেকছে। আমাদের অনেক কিছুই জানার ছিল।' বৈঠকে সিআইএর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মাইকেল মোরেলও উপস্থিত ছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে সুজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পথে বাধা আসার বিষয়টি অনেকখানি পরিষ্কার। এ প্রসঙ্গে অনেক রিপাবলিকান নেতা ২০০৫ সালে জাতিসংঘের দূত হিসেবে জন বল্টনের নিয়োগ পাওয়ার প্রক্রিয়াটিও স্মরণ করেন। সেবার রিপাবলিকানদের এই প্রার্থীর মনোনয়ন কংগ্রেসে কয়েক মাস আটকে রেখেছিল ডেমোক্র্যাটরা। পরে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে বল্টনের নিয়োগ নিশ্চিত করেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জে কার্নি বলেন, সব প্রশ্নেরই জবাব পেয়েছেন রিপাবলিকানরা। সমস্যা হচ্ছে সুজানকে গ্রহণ করার মানসিকতাই হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
No comments