পবিত্র কোরআনের আলো-হজরত নূহ (আ.)-এর কওমের অবাধ্যতার কাহিনী উপস্থাপন
২৫. ওয়া লাক্বাদ আরছালনা- নূহ্বান ইলা- ক্বাওমিহি ইন্নী লাকুম্ নাযীরুম্ মুবীন। ২৬. আন লা-তা'বুদূ ইল্লাল্লা-হা; ইন্নী আখা-ফু আ'লাইকুম আ'যা-বা ইয়াওমিন আলীম।
২৭. ফাক্বা-লাল মালাউল্লাযীনা কাফারূ মিন্ ক্বাওমিহি মা নারা-কা ইল্লা বাশারাম্ মিছ্লানা- ওয়া মা নারা-কাত্ তাবাআ'কা ইল্লাল্লাযীনা হুম আরা-যিলুনা বা-দিয়ার্ রা'য়ি; ওয়া মা নারা- লাকুম আ'লাইনা মিন্ ফাদ্বলিম্ বাল নাযুন্নুকুম কা-যিবীন।
২৮. ক্বা-লা ইয়া-ক্বাওমি আরাআইতুম ইন্ কুনতু আ'লা- বায়্যিনাতিম্ মির্ রাব্বী ওয়া আ-তা-নী রাহ্মাতাম্ মিন ই'নদিহি ফাউ'ম্মিইয়াত্ আ'লাইকুম; আনুলযিমুকুমূহা- ওয়া আনতুম লাহা- কা-রিহূন। [সুরা : হুদ, আয়াত : ২৫-২৮]
অনুবাদ
২৫. আমি নূহকে তার কওমের কাছে পাঠিয়েছিলাম এই বার্তা দিয়ে যে আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্কবাণী নিয়ে এসেছি।
২৬. (সতর্কবাণীটা এই যে) তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না। (অন্যথায়) আমি আশঙ্কা করছি যে এক কঠিন শাস্তি এসে একদিন তোমাদের পাকড়াও করবে।
২৭. তাঁর সম্প্রদায়ের অবাধ্য লোকেরা_যারা ছিল সম্প্রদায়ের নেতা, তারা বলতে লাগল, আমরা তো আপনাকে আমাদের মতোই মানুষ দেখছি, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। আর আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, আপনার অনুসরণ করছে কেবল সেই সব লোক, যারা আমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বহীন, আর তারাও আপনাকে অনুসরণ করছে অনুমানের ভিত্তিতে। আমরা তো আপনার মধ্যে এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না, যার কারণে আমাদের ওপর আপনার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব থাকতে পারে; আমাদের ধারণা, আপনি ও আপনার অনুসারীরা সবাই মিথ্যাবাদী।
২৮. নূহ বললেন, হে আমার কওমের লোকেরা, তোমরা কি বলতে পারো, বিষয়টা যদি এমন হয়, আমি যদি আমার প্রভুর পক্ষ থেকে আগত আলোকিত পথনির্দেশের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকি এবং তিনি বিশেষভাবে নিজের পক্ষ থেকে এক রহমত, অর্থাৎ নবুয়ত দান করেন, অথচ তোমাদের তা উপলব্ধিতে না আসে, তবে কি আমি তোমাদের ওপর তা জবরদস্তিমূলকভাবে চাপিয়ে দেব? যখন তোমরা তা অপছন্দই করছ?
ব্যাখ্যা
এই আয়াতগুলোতে নবী হজরত নূহ (আ.)-এর কাহিনী উপস্থাপন করা হয়েছে। নূহের কওম বিভ্রান্তি, কুসংস্কার ও অবাধ্যতার অতলে নিপতিত হয়েছিল। হজরত নূহ (আ.) যখন তাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানালেন, তখন তারা নবী নূহ (আ.)-এর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করল। তারা নূহ (আ.)-কে অবজ্ঞা করল ওই বলে যে তিনি তো একজন সাধারণ মানুষ। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে কোনো বিশেষ ধরনের ক্ষমতা দেননি। অর্থাৎ অলৌকিকভাবে প্রাপ্ত ধন-সম্পত্তি আল্লাহর কাছ থেকে এনে মানুষকে দিতে পারেন না, তাঁর সঙ্গে কোনো ফেরেশতা নেই, কোনো ফেরেশতা তাঁর হুকুম তামিল করে না ইত্যাদি। অর্থাৎ এগুলো ছিল তাদের ভুল ধারণা। আসলে নবী হওয়ার জন্য এগুলোর দরকার পড়ে না এবং আল্লাহ তায়ালা নবী পাঠিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষের ভেতর থেকে। তাঁরা সাধারণ মানুষের মতোই হয়ে থাকেন।
হজরত নূহ তাঁর কওমের লোকদের বলেছিলেন, তারা যেন শুধু আল্লাহর ইবাদত করে এবং সত্যের পথে আসে। অন্যথায় তাদের ওপর বিপদ নেমে আসতে পারে_এই সতর্কবাণীই তিনি নিয়ে এসেছেন। ২৮ নম্বর আয়াতে তাঁর সম্প্রদায়ের অবাধ্য নেতাদের বিবেক জাগ্রত করার জন্য যে কথাগুলো বলা হয়েছিল, সেগুলো খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু অবাধ্যরা এগুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নূহের কওমের ওপর ঐতিহাসিক প্রলয় নেমে এসেছিল।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
২৮. ক্বা-লা ইয়া-ক্বাওমি আরাআইতুম ইন্ কুনতু আ'লা- বায়্যিনাতিম্ মির্ রাব্বী ওয়া আ-তা-নী রাহ্মাতাম্ মিন ই'নদিহি ফাউ'ম্মিইয়াত্ আ'লাইকুম; আনুলযিমুকুমূহা- ওয়া আনতুম লাহা- কা-রিহূন। [সুরা : হুদ, আয়াত : ২৫-২৮]
অনুবাদ
২৫. আমি নূহকে তার কওমের কাছে পাঠিয়েছিলাম এই বার্তা দিয়ে যে আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্কবাণী নিয়ে এসেছি।
২৬. (সতর্কবাণীটা এই যে) তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না। (অন্যথায়) আমি আশঙ্কা করছি যে এক কঠিন শাস্তি এসে একদিন তোমাদের পাকড়াও করবে।
২৭. তাঁর সম্প্রদায়ের অবাধ্য লোকেরা_যারা ছিল সম্প্রদায়ের নেতা, তারা বলতে লাগল, আমরা তো আপনাকে আমাদের মতোই মানুষ দেখছি, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। আর আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, আপনার অনুসরণ করছে কেবল সেই সব লোক, যারা আমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বহীন, আর তারাও আপনাকে অনুসরণ করছে অনুমানের ভিত্তিতে। আমরা তো আপনার মধ্যে এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না, যার কারণে আমাদের ওপর আপনার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব থাকতে পারে; আমাদের ধারণা, আপনি ও আপনার অনুসারীরা সবাই মিথ্যাবাদী।
২৮. নূহ বললেন, হে আমার কওমের লোকেরা, তোমরা কি বলতে পারো, বিষয়টা যদি এমন হয়, আমি যদি আমার প্রভুর পক্ষ থেকে আগত আলোকিত পথনির্দেশের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকি এবং তিনি বিশেষভাবে নিজের পক্ষ থেকে এক রহমত, অর্থাৎ নবুয়ত দান করেন, অথচ তোমাদের তা উপলব্ধিতে না আসে, তবে কি আমি তোমাদের ওপর তা জবরদস্তিমূলকভাবে চাপিয়ে দেব? যখন তোমরা তা অপছন্দই করছ?
ব্যাখ্যা
এই আয়াতগুলোতে নবী হজরত নূহ (আ.)-এর কাহিনী উপস্থাপন করা হয়েছে। নূহের কওম বিভ্রান্তি, কুসংস্কার ও অবাধ্যতার অতলে নিপতিত হয়েছিল। হজরত নূহ (আ.) যখন তাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানালেন, তখন তারা নবী নূহ (আ.)-এর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করল। তারা নূহ (আ.)-কে অবজ্ঞা করল ওই বলে যে তিনি তো একজন সাধারণ মানুষ। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে কোনো বিশেষ ধরনের ক্ষমতা দেননি। অর্থাৎ অলৌকিকভাবে প্রাপ্ত ধন-সম্পত্তি আল্লাহর কাছ থেকে এনে মানুষকে দিতে পারেন না, তাঁর সঙ্গে কোনো ফেরেশতা নেই, কোনো ফেরেশতা তাঁর হুকুম তামিল করে না ইত্যাদি। অর্থাৎ এগুলো ছিল তাদের ভুল ধারণা। আসলে নবী হওয়ার জন্য এগুলোর দরকার পড়ে না এবং আল্লাহ তায়ালা নবী পাঠিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষের ভেতর থেকে। তাঁরা সাধারণ মানুষের মতোই হয়ে থাকেন।
হজরত নূহ তাঁর কওমের লোকদের বলেছিলেন, তারা যেন শুধু আল্লাহর ইবাদত করে এবং সত্যের পথে আসে। অন্যথায় তাদের ওপর বিপদ নেমে আসতে পারে_এই সতর্কবাণীই তিনি নিয়ে এসেছেন। ২৮ নম্বর আয়াতে তাঁর সম্প্রদায়ের অবাধ্য নেতাদের বিবেক জাগ্রত করার জন্য যে কথাগুলো বলা হয়েছিল, সেগুলো খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু অবাধ্যরা এগুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নূহের কওমের ওপর ঐতিহাসিক প্রলয় নেমে এসেছিল।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments