জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব!- মরছে উপকূলের বাইন-কেওড়াগাছ by আব্দুল কুদ্দুস
কক্সবাজার শহরের প্রধান নদী বাঁকখালীর দুই তীরসহ মহেশখালী উপকূলে সৃজিত প্যারাবনের কয়েক হাজার বাইন ও কেওড়াগাছ মরে গেছে। আরও কয়েক লাখ গাছে মড়ক দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এ জন্য জয়বায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন।
তাঁরা বলছেন, এভাবে গাছ মরে যাওয়ায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
গতকাল বুধবার সকালে বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছটা, নাজিরারটেক, খুরুশকুল ও মহেশখালীর গোরকঘাটা ঘুরে দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৫ ফুট উঁচু প্যারাবনের বাইন ও কেওড়াগাছ লালবর্ণ ধারণ করে মরে যাচ্ছে। বনের ভেতর মরে যাওয়া শুকনো গাছ ও গাছের ডালপালা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য কেটে নিচ্ছে লোকজন।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, তিনিও প্যারাবনের বিপুলসংখ্যক বাইন ও কেওড়াগাছ মরে যেতে দেখেছেন। কারণ হিসেবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন। তিনি বলেন, সমুদ্রের পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। গাছ মরে যাওয়ার কারণ এবং প্যারাবনের অন্যান্য সবুজ গাছ রক্ষার ব্যাপারে অনুসন্ধান ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
গাছ মরে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপকূলীয় বন বিভাগ কক্সবাজারের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) এনামুল হক বলেন, বাঁকখালী নদীসহ মহেশখালী উপকূলে বন বিভাগের সৃজিত প্রায় ১৪ হাজার একর জমিতে প্যারাবন রয়েছে। এই প্যারাবনে প্রায় ২৫ কোটি গাছ সৃজন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে তিন থেকে চার হাজার একর প্যারাবনের কয়েক লাখ গাছ মড়কের কবলে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে, নাকি অন্য কোনো কারণে এই গাছ মরে যাচ্ছে, তার অনুসন্ধানে বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো দরকার। তিনি আরও বলেন, কিছু প্যারাবনের গাছ পোকার আক্রমণে ওপরের দিক থেকে মরে নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। এসব পোকা দমনের উপায়ও কারও জানা নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগী বেসরকারি সংস্থা নেকম (ন্যাচার কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্ট) ও সুখী বাংলা ফাউন্ডেশনের মহেশখালী উপজেলা জীববিদ সংরক্ষক আবদুল কাইয়ূম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এসব উপকূলীয় প্যারাবনে বাইন, কেওড়া ছাড়াও হাজার হাজার হারগুঁড়া ও নুইন্যাগাছ মারা যাচ্ছে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি, শীতের মৌসুমে গরমের প্রভাব এবং ছোট ছোট পোকার আক্রমণে মহেশখালীর কয়েকটি প্যারাবনে ইতিমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি বাইন ও কেওড়াগাছ মরে গেছে। আরও লাখ লাখ গাছ আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে গবেষণা দরকার।
সোনাদিয়ার প্যারাবনে কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গা গ্রামের জেলে সোনা আলী (৪৫)। তিনি বলেন, প্যারাবনের ভেতরে গাছের নিচের মাটি শক্ত এবং গাছ মরে যাওয়ার কারণে কাঁকড়ার বিচরণ ও আবাস্থল নষ্ট হয়ে গেছে। সারা দিন এক একর প্যারাবন ঘুরে ২০ থেকে ২৫টি কাঁকড়াও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে এক একরের প্যারাবনে কয়েক মণ কাঁকড়া ধরা যেত।
বন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, লবণাক্ত, নরম ও পলি মাটিতে বাইন এবং আরও একটু শক্ত মাটিতে কেওড়াগাছ জন্মে। কিন্তু জোয়ারের পানি গাছের গোড়ায় না আসায় মাটি শক্ত ও দূষিত হচ্ছে। এতে লবণাক্ততার পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পুরো উপকূলে সৃজিত প্যারাবন টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
গতকাল বুধবার সকালে বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছটা, নাজিরারটেক, খুরুশকুল ও মহেশখালীর গোরকঘাটা ঘুরে দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৫ ফুট উঁচু প্যারাবনের বাইন ও কেওড়াগাছ লালবর্ণ ধারণ করে মরে যাচ্ছে। বনের ভেতর মরে যাওয়া শুকনো গাছ ও গাছের ডালপালা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য কেটে নিচ্ছে লোকজন।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, তিনিও প্যারাবনের বিপুলসংখ্যক বাইন ও কেওড়াগাছ মরে যেতে দেখেছেন। কারণ হিসেবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন। তিনি বলেন, সমুদ্রের পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। গাছ মরে যাওয়ার কারণ এবং প্যারাবনের অন্যান্য সবুজ গাছ রক্ষার ব্যাপারে অনুসন্ধান ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
গাছ মরে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপকূলীয় বন বিভাগ কক্সবাজারের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) এনামুল হক বলেন, বাঁকখালী নদীসহ মহেশখালী উপকূলে বন বিভাগের সৃজিত প্রায় ১৪ হাজার একর জমিতে প্যারাবন রয়েছে। এই প্যারাবনে প্রায় ২৫ কোটি গাছ সৃজন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে তিন থেকে চার হাজার একর প্যারাবনের কয়েক লাখ গাছ মড়কের কবলে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে, নাকি অন্য কোনো কারণে এই গাছ মরে যাচ্ছে, তার অনুসন্ধানে বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো দরকার। তিনি আরও বলেন, কিছু প্যারাবনের গাছ পোকার আক্রমণে ওপরের দিক থেকে মরে নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। এসব পোকা দমনের উপায়ও কারও জানা নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগী বেসরকারি সংস্থা নেকম (ন্যাচার কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্ট) ও সুখী বাংলা ফাউন্ডেশনের মহেশখালী উপজেলা জীববিদ সংরক্ষক আবদুল কাইয়ূম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এসব উপকূলীয় প্যারাবনে বাইন, কেওড়া ছাড়াও হাজার হাজার হারগুঁড়া ও নুইন্যাগাছ মারা যাচ্ছে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি, শীতের মৌসুমে গরমের প্রভাব এবং ছোট ছোট পোকার আক্রমণে মহেশখালীর কয়েকটি প্যারাবনে ইতিমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি বাইন ও কেওড়াগাছ মরে গেছে। আরও লাখ লাখ গাছ আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে গবেষণা দরকার।
সোনাদিয়ার প্যারাবনে কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গা গ্রামের জেলে সোনা আলী (৪৫)। তিনি বলেন, প্যারাবনের ভেতরে গাছের নিচের মাটি শক্ত এবং গাছ মরে যাওয়ার কারণে কাঁকড়ার বিচরণ ও আবাস্থল নষ্ট হয়ে গেছে। সারা দিন এক একর প্যারাবন ঘুরে ২০ থেকে ২৫টি কাঁকড়াও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে এক একরের প্যারাবনে কয়েক মণ কাঁকড়া ধরা যেত।
বন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, লবণাক্ত, নরম ও পলি মাটিতে বাইন এবং আরও একটু শক্ত মাটিতে কেওড়াগাছ জন্মে। কিন্তু জোয়ারের পানি গাছের গোড়ায় না আসায় মাটি শক্ত ও দূষিত হচ্ছে। এতে লবণাক্ততার পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পুরো উপকূলে সৃজিত প্যারাবন টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
No comments