উড়ালসড়ক নিয়ে রাজনীতি by প্রণব বল
বহদ্দারহাটের উড়ালসড়ক দুর্ঘটনা রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দল যেমন সরকারের ব্যর্থতার বিষয়টিকে তুলে ধরে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে, তেমনি আওয়ামী লীগের ভেতরেও চলছে রাজনীতি।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হওয়ায় বিরোধী দলের বিবৃতি প্রদান ও নানা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তাঁরা এই ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করার পাশাপাশি আবদুচ ছালামের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
বিএনপি গত মঙ্গলবার বহদ্দারহাট এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করে সরকারকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে। এ সময় নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সরকারের অদূরদর্শিতার কারণেই এতগুলো প্রাণ গেল।
দুর্ঘটনার পর আমির খসরুর নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেও একই মন্তব্য করেন। এ ছাড়া শনিবারের দুর্ঘটনার পর অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় উত্তেজিত জনতার পাশাপাশি জামায়াত শিবিরের যোগসাজশ ছিল বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে দুর্ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের কিছু নেতা সরাসরি চউক চেয়ারম্যানকে দায়ী করেছেন। তাঁদের মতে চেয়ারম্যানের অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণেই আজ বিরোধী দল সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ পেয়েছে।
দুর্ঘটনার দিন রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে চউক চেয়ারম্যানের কড়া সমালোচনা করেন দলের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘অযোগ্য, অদক্ষ চেয়ারম্যানের কারণেই আজ এই দুর্ঘটনা। আমি তাঁর এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি।’ একইভাবে চট্টগ্রামের মিরসরাই আসনের সাংসদ মোশাররফ হোসেন গত সোমবার জাতীয় সংসদে চউক চেয়ারম্যানের সমালোচনা করেন। তিনি জানান, চউক চেয়ারম্যান অযোগ্য। তিনি নিজে নিজে কাজ করছেন। কারও কাছ থেকে কোনো পরামর্শ নেন না। যার কারণে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে।
বন ও পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ অবশ্য কৌশলী মন্তব্য করেছেন। রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, তদন্ত করে এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া এই ঘটনায় নাশকতা রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। তবে চউক চেয়ারম্যান এসব সমালোচনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার নামে নানা কথা বলা হচ্ছে। মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার ভাই ওই উড়ালসড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম তাঁকে। আপনাকে এই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে।’
বিএনপি গত মঙ্গলবার বহদ্দারহাট এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করে সরকারকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে। এ সময় নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সরকারের অদূরদর্শিতার কারণেই এতগুলো প্রাণ গেল।
দুর্ঘটনার পর আমির খসরুর নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেও একই মন্তব্য করেন। এ ছাড়া শনিবারের দুর্ঘটনার পর অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় উত্তেজিত জনতার পাশাপাশি জামায়াত শিবিরের যোগসাজশ ছিল বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে দুর্ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের কিছু নেতা সরাসরি চউক চেয়ারম্যানকে দায়ী করেছেন। তাঁদের মতে চেয়ারম্যানের অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণেই আজ বিরোধী দল সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ পেয়েছে।
দুর্ঘটনার দিন রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে চউক চেয়ারম্যানের কড়া সমালোচনা করেন দলের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘অযোগ্য, অদক্ষ চেয়ারম্যানের কারণেই আজ এই দুর্ঘটনা। আমি তাঁর এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি।’ একইভাবে চট্টগ্রামের মিরসরাই আসনের সাংসদ মোশাররফ হোসেন গত সোমবার জাতীয় সংসদে চউক চেয়ারম্যানের সমালোচনা করেন। তিনি জানান, চউক চেয়ারম্যান অযোগ্য। তিনি নিজে নিজে কাজ করছেন। কারও কাছ থেকে কোনো পরামর্শ নেন না। যার কারণে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে।
বন ও পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ অবশ্য কৌশলী মন্তব্য করেছেন। রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, তদন্ত করে এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া এই ঘটনায় নাশকতা রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। তবে চউক চেয়ারম্যান এসব সমালোচনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার নামে নানা কথা বলা হচ্ছে। মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার ভাই ওই উড়ালসড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম তাঁকে। আপনাকে এই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে।’
No comments