সময়মতো উচিত জবাব দেবে ইসরায়েল
'সার্বভৌম রাষ্ট্রের' মর্যাদা চেয়ে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের করা আবেদন পাস হয়ে যাবে_এটা এক রকম মেনেই নিয়েছে ইসরায়েল। তাই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে হিসাব-নিকাশ শুরু করেছে তারা। ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান।
ফিলিস্তিনকে আটকাতে না পারলেও ইসরায়েল তার কঠোর অবস্থান ধরে রাখবে বলেও জানান তিনি। জাতিসংঘে উত্থাপনের জন্য অপেক্ষমাণ প্রস্তাবের ভাষা নমনীয় করার বিষয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, আপাতত ফিলিস্তিনিদের কিছু বলা হবে না। তবে সময়মতো উচিত জবাব দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে 'নন-মেম্বার অবজারভার স্টেটের' দাবি তুলতে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত নিয়ে সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের এ প্রস্তাবে এশিয়া ও আফ্রিকার বেশির ভাগ দেশই সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সফল হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলও বিষয়টি মেনে নিয়েছে। তিনি বলেন, 'ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘের ভোটকে আমি অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে যাচ্ছি না। এটা সত্যি যে, রামাল্লায় শিগগিরই আতশবাজি হবে। কিন্তু ইসরায়েলি বসতিগুলোও আগের মতোই থাকবে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ) অধিকৃত অঞ্চলে তৎপরতা চালিয়ে যাবে।'
জাতিসংঘে সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবি তোলার 'অপরাধে' ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে_এখনো তা চূড়ান্ত করেনি ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ফিলিস্তিনের জন্য কর বাবদ বরাদ্দ থাকা ৭৫ কোটি শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) আটকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির শর্ত ভঙ্গেরও অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা বলেছেন, 'জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রস্তাব উত্থাপনের সময় আমরা অলস বসে থাকব না। আমরা এ ব্যাপারে কোনো বিবৃতি দেব না। তবে সময়মতো উচিত জবাব দেওয়া হবে।'
'নন-মেম্বার অবজারভার স্টেট' মর্যাদা পেলে ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য হতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যেতে পারে ফিলিস্তিন। জাতিসংঘে তোলা প্রস্তাবে এ রকম কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়ে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। তবে শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনের পক্ষের আলোচক সায়েব এরাকাত বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা জানান, এরাকাত আমেরিকানদের জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর হাতে কোনো সময় নেই এবং সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির পরই তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন।
সূত্র : হারেৎজ।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে 'নন-মেম্বার অবজারভার স্টেটের' দাবি তুলতে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত নিয়ে সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের এ প্রস্তাবে এশিয়া ও আফ্রিকার বেশির ভাগ দেশই সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সফল হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলও বিষয়টি মেনে নিয়েছে। তিনি বলেন, 'ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘের ভোটকে আমি অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে যাচ্ছি না। এটা সত্যি যে, রামাল্লায় শিগগিরই আতশবাজি হবে। কিন্তু ইসরায়েলি বসতিগুলোও আগের মতোই থাকবে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ) অধিকৃত অঞ্চলে তৎপরতা চালিয়ে যাবে।'
জাতিসংঘে সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবি তোলার 'অপরাধে' ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে_এখনো তা চূড়ান্ত করেনি ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ফিলিস্তিনের জন্য কর বাবদ বরাদ্দ থাকা ৭৫ কোটি শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) আটকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির শর্ত ভঙ্গেরও অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা বলেছেন, 'জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রস্তাব উত্থাপনের সময় আমরা অলস বসে থাকব না। আমরা এ ব্যাপারে কোনো বিবৃতি দেব না। তবে সময়মতো উচিত জবাব দেওয়া হবে।'
'নন-মেম্বার অবজারভার স্টেট' মর্যাদা পেলে ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য হতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যেতে পারে ফিলিস্তিন। জাতিসংঘে তোলা প্রস্তাবে এ রকম কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়ে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। তবে শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনের পক্ষের আলোচক সায়েব এরাকাত বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা জানান, এরাকাত আমেরিকানদের জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর হাতে কোনো সময় নেই এবং সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির পরই তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন।
সূত্র : হারেৎজ।
No comments