নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন- প্রশাসকের বিরুদ্ধে ভবনের নকশা অনুমোদনে অনিয়মের অভিযোগ by আসিফ হোসেন
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠনের পর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে অন্তর্বর্তীকালীন ৪৪২টি ভবনের নকশা অনুমোদন করা হয়েছে। এসব নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এসব ভবনের নকশার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিটি করপোরেশন।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়াই ৩৮৮টি নকশার অনুমোদন দিয়েছেন সরকার মনোনীত প্রশাসক। পর্যাপ্ত জায়গা না ছাড়ার কারণে পৌরসভা যে ভবনের নকশা অনুমোদন দেয়নি, সেটিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল পৌরসভা বিলুপ্ত করে ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। সিটি করপোরেশন গঠনের পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহ কামাল ২০১১ সালের ২৩ জুন থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, শাহ কামাল প্রশাসকের দায়িত্বে থাকাকালে সাবেক নারায়ণগঞ্জ পৌর এলাকায় ২৩টি, সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে ৩৮৮টি ও কদমরসুল অঞ্চলে ৩১টি ভবনের নকশার অনুমোদন দেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ভবনের নকশায় সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার, উপসহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পর প্রশাসক স্বাক্ষর করেন। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ৩৮৮টি নকশায় শুধু একজন সহকারী প্রকৌশলীর পরেই প্রশাসক স্বাক্ষর করে অনুমোদন করেছেন। তবে অন্য নকশাগুলোতে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের অভিযোগ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে অর্থের বিনিময়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দ্রুততার সঙ্গে এসব নকশা অনুমোদন করেন প্রশাসক। আর এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেছেন সিটি করপোরেশনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, পর্যাপ্ত জায়গা না ছাড়ার কারণে বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা আল্লামা ইকবাল সড়ক এলাকার ৩১ নম্বর বাড়ির নকশা অনুমোদন করেনি। পরে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ওই নয়তলা ভবনের নকশা অনুমোদন করেন। নয়তলার অনুমোদন নিয়েও ভবনের মালিক সাড়ে নয়তলা বানিয়েছেন।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, প্রশাসক শাহ কামাল সাবেক পৌর এলাকায় যে ২৩টি ভবনের নকশা অনুমোদন করে গেছেন, সেগুলোর মধ্যে আটটিই নয়তলা ভবন।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সহসভাপতি রফিউর রাব্বি বলেন, আইন অনুযায়ী নবগঠিত সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে ১৮০ দিন সরকার মনোনীত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করেন। এই অন্তর্বর্তীকালীন সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখাশোনা করাই তাঁদের প্রধান দায়িত্ব। প্রশাসকের ৪৪২টি ভবনের নকশা অনুমোদন নজিরবিহীন ঘটনা। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত করা উচিত।
নগরের আল্লামা ইকবাল সড়কের ৩১ নম্বর বাড়ির অন্যতম মালিক দেওয়ান শফিকুর রহমান বলেন, ২০ বছর আগে তাঁরা রাজউক থেকে ছয়তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নিয়েছেন। পরে তা নয়তলায় উন্নীত করার জন্য তাঁরা তৎকালীন পৌরসভায় আবেদন করেন। পৌরসভার প্রকৌশলীরা পরিদর্শন করে ভবনের সম্প্রসারিত নকশার অনুমোদন দেননি। এরপর তাঁরা পৌরসভায় আর যোগাযোগ করেননি। পরে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলে তাঁরা সম্প্রসারিত নয়তলা ভবনের নকশা অনুমোদন করে আনেন।
যুগ্ম সচিব শাহ কামাল বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য জানতে একাধিকবার তাঁর মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি। মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি তার জবাব দেননি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, এসব নকশার অনুমোদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে কি না, তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনিয়ম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়াই ৩৮৮টি নকশার অনুমোদন দিয়েছেন সরকার মনোনীত প্রশাসক। পর্যাপ্ত জায়গা না ছাড়ার কারণে পৌরসভা যে ভবনের নকশা অনুমোদন দেয়নি, সেটিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল পৌরসভা বিলুপ্ত করে ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। সিটি করপোরেশন গঠনের পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহ কামাল ২০১১ সালের ২৩ জুন থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, শাহ কামাল প্রশাসকের দায়িত্বে থাকাকালে সাবেক নারায়ণগঞ্জ পৌর এলাকায় ২৩টি, সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে ৩৮৮টি ও কদমরসুল অঞ্চলে ৩১টি ভবনের নকশার অনুমোদন দেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ভবনের নকশায় সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার, উপসহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পর প্রশাসক স্বাক্ষর করেন। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ৩৮৮টি নকশায় শুধু একজন সহকারী প্রকৌশলীর পরেই প্রশাসক স্বাক্ষর করে অনুমোদন করেছেন। তবে অন্য নকশাগুলোতে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের অভিযোগ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে অর্থের বিনিময়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দ্রুততার সঙ্গে এসব নকশা অনুমোদন করেন প্রশাসক। আর এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেছেন সিটি করপোরেশনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, পর্যাপ্ত জায়গা না ছাড়ার কারণে বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা আল্লামা ইকবাল সড়ক এলাকার ৩১ নম্বর বাড়ির নকশা অনুমোদন করেনি। পরে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ওই নয়তলা ভবনের নকশা অনুমোদন করেন। নয়তলার অনুমোদন নিয়েও ভবনের মালিক সাড়ে নয়তলা বানিয়েছেন।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, প্রশাসক শাহ কামাল সাবেক পৌর এলাকায় যে ২৩টি ভবনের নকশা অনুমোদন করে গেছেন, সেগুলোর মধ্যে আটটিই নয়তলা ভবন।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সহসভাপতি রফিউর রাব্বি বলেন, আইন অনুযায়ী নবগঠিত সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে ১৮০ দিন সরকার মনোনীত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করেন। এই অন্তর্বর্তীকালীন সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখাশোনা করাই তাঁদের প্রধান দায়িত্ব। প্রশাসকের ৪৪২টি ভবনের নকশা অনুমোদন নজিরবিহীন ঘটনা। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত করা উচিত।
নগরের আল্লামা ইকবাল সড়কের ৩১ নম্বর বাড়ির অন্যতম মালিক দেওয়ান শফিকুর রহমান বলেন, ২০ বছর আগে তাঁরা রাজউক থেকে ছয়তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নিয়েছেন। পরে তা নয়তলায় উন্নীত করার জন্য তাঁরা তৎকালীন পৌরসভায় আবেদন করেন। পৌরসভার প্রকৌশলীরা পরিদর্শন করে ভবনের সম্প্রসারিত নকশার অনুমোদন দেননি। এরপর তাঁরা পৌরসভায় আর যোগাযোগ করেননি। পরে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলে তাঁরা সম্প্রসারিত নয়তলা ভবনের নকশা অনুমোদন করে আনেন।
যুগ্ম সচিব শাহ কামাল বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য জানতে একাধিকবার তাঁর মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি। মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি তার জবাব দেননি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, এসব নকশার অনুমোদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে কি না, তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনিয়ম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments