মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা-দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে-বিশেষজ্ঞরা বলছেন
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন বিষয়ে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অর্জনের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া দরকার যুক্তরাষ্ট্রের। বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি করেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের প্রাধান্য ধরে রাখার জন্যই এ ব্যাপারে ভাবতে শুরু করা উচিত তাদের।
আরব বসন্ত-পরবর্তী নতুন বাস্তবতা ও গাজার নিয়ন্ত্রণকারী দল হামাসের সমর্থন বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো মধ্যপ্রাচ্য-সংক্রান্ত পুরনো কৌশলগুলোর ব্যর্থতা প্রমাণ করছে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে করণীয় বিষয়ক বই 'পাথওয়েজ টু পিস'-এর প্রকাশ উপলক্ষে বিশেষজ্ঞরা গত সোমবার ওয়াশিংটনে এসব কথা বলেন। বিভিন্ন বিষয়ের শীর্ষ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের লেখা নিয়ে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম কুয়ান্ট বলেন, 'শান্তি আলোচনা শুরুর ব্যাপারে এখন যতটুকু সুযোগ রয়েছে, আমরা যদি এর সদ্ব্যবহার করতে না পারি, অদূর ভবিষ্যতেও এ ধরনের সমাধান খোঁজার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। এরই মধ্যে হয়তো বেশ খানিকটা দেরিই হয়ে গেছে। তবে আন্তরিকভাবে চেষ্টার আগ পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারব না।'
ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের শেষের দিকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা থেকে সরে যায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এরপর আলোচনা আবারও শুরুর ব্যাপারে ওবামা প্রশাসনের তেমন কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। গত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ওবামার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলেও মনে করেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কর্মসূচি শাখার পরিচালক রবার্ট ম্যালি। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার তিনটি স্তম্ভ- ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, পার্শ্ববর্তী আরব দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র- এর কোনোটাই আর আগের অবস্থানে নেই। ফলে নতুন বাস্তবতা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকেও তাদের কয়েক যুগের পুরনো সংঘাত সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। ম্যালি বলেন, 'আপনি গতকালের যুদ্ধকে বা গতকালের শান্তিকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। এ কারণেই সমাধান সম্পর্কেও আপনাকে নতুন করে ভাবতে হবে।'
জর্দানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারওয়ান মাউশের মনে করেন, আগামী জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদের শপথ নেওয়ার পরপরই মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে তৎপর হওয়া উচিত ওবামার। বিবদমান বিষয়গুলোতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। এ ব্যাপারে সৌদি আরবের কাছ থেকেও পরামর্শ নেওয়া উচিত ওবামা প্রশাসনের। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হামাসের সঙ্গেও ওবামা প্রশাসনের যোগাযোগ বাড়ানোর দরকার আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ যদি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের 'নন-মেম্বার অবজারভার স্টেট' প্রস্তাব সমর্থন না করে, তাহলে হামাসের সশস্ত্র তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফিলিস্তিনের সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবি উত্থাপনবিষয়ক নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা নাবিল শাত বলেন, 'জাতিসংঘে না যাওয়ার বিষয়টি ফিলিস্তিনের জন্য আত্মহত্যার শামিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছ থেকে কিছু টাকা পাওয়ার জন্য আমরা হামলার আঘাত সয়ে বসে থাকতে পারি না। বিশ্বকে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, না হয় রক্তপাত ছাড়া আর কিছুই হবে না।' সূত্র : এএফপি।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে করণীয় বিষয়ক বই 'পাথওয়েজ টু পিস'-এর প্রকাশ উপলক্ষে বিশেষজ্ঞরা গত সোমবার ওয়াশিংটনে এসব কথা বলেন। বিভিন্ন বিষয়ের শীর্ষ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের লেখা নিয়ে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম কুয়ান্ট বলেন, 'শান্তি আলোচনা শুরুর ব্যাপারে এখন যতটুকু সুযোগ রয়েছে, আমরা যদি এর সদ্ব্যবহার করতে না পারি, অদূর ভবিষ্যতেও এ ধরনের সমাধান খোঁজার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। এরই মধ্যে হয়তো বেশ খানিকটা দেরিই হয়ে গেছে। তবে আন্তরিকভাবে চেষ্টার আগ পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারব না।'
ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের শেষের দিকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা থেকে সরে যায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এরপর আলোচনা আবারও শুরুর ব্যাপারে ওবামা প্রশাসনের তেমন কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। গত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ওবামার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলেও মনে করেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কর্মসূচি শাখার পরিচালক রবার্ট ম্যালি। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার তিনটি স্তম্ভ- ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, পার্শ্ববর্তী আরব দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র- এর কোনোটাই আর আগের অবস্থানে নেই। ফলে নতুন বাস্তবতা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকেও তাদের কয়েক যুগের পুরনো সংঘাত সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। ম্যালি বলেন, 'আপনি গতকালের যুদ্ধকে বা গতকালের শান্তিকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। এ কারণেই সমাধান সম্পর্কেও আপনাকে নতুন করে ভাবতে হবে।'
জর্দানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারওয়ান মাউশের মনে করেন, আগামী জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদের শপথ নেওয়ার পরপরই মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে তৎপর হওয়া উচিত ওবামার। বিবদমান বিষয়গুলোতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। এ ব্যাপারে সৌদি আরবের কাছ থেকেও পরামর্শ নেওয়া উচিত ওবামা প্রশাসনের। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হামাসের সঙ্গেও ওবামা প্রশাসনের যোগাযোগ বাড়ানোর দরকার আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ যদি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের 'নন-মেম্বার অবজারভার স্টেট' প্রস্তাব সমর্থন না করে, তাহলে হামাসের সশস্ত্র তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফিলিস্তিনের সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবি উত্থাপনবিষয়ক নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা নাবিল শাত বলেন, 'জাতিসংঘে না যাওয়ার বিষয়টি ফিলিস্তিনের জন্য আত্মহত্যার শামিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছ থেকে কিছু টাকা পাওয়ার জন্য আমরা হামলার আঘাত সয়ে বসে থাকতে পারি না। বিশ্বকে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, না হয় রক্তপাত ছাড়া আর কিছুই হবে না।' সূত্র : এএফপি।
No comments