চক্রান্ত করে তাজরীনে আগুনঃ মালিক দেলোয়ার by সাইদ আরমান
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বিতর্কিত হয়ে পড়া তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, “কারখানার ভেতর বা বাইরের কোনো মহল চক্রান্ত করে কারখানায় আগুন লাগিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কারখানার মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত।”
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের পর এদিন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ তাকে ডেকেছিল।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে কারখানার মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত, যারা কারখানার শ্রমিকদের বের হতে দেয়নি। বলেছে, মহড়া হচ্ছে। কিন্তু সন্ধ্যার সময় কখনো মহড়া হয়?’’
তিনি বলেন, ‘‘আমি বাসায় ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার শাশুড়ি এসে বলল, দেলোয়ার তোমার কারখানায় আগুল লেগেছে। আমি ঘুম থেকে উঠে টেলিভিশনে ঘটনা প্রত্যক্ষ করি। আমি ঐ সময় কাউকে ফোন করতে পারছিলাম না। মোবাইলের নম্বর পর্যন্ত খুজে বের করতে পারছিলাম না। যারা আমাকে টেলিফোন করেছিল সবাইকে বলেছিলাম, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দাও, সব শ্রমিককে বের করে দাও। কোনো শ্রমিকের যেন মৃত্যু না হয়।’’
দেলোয়ার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমি বের হয়ে কারখানার কাছে গিয়ে দেখলাম, কীভাবে সবকিছু পুড়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। এক পর্যায়ে কর্মচারী-স্বজনরা আমাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমাকে বাসায় আনা হয়। তবে আমি বারবার কারখানায় যেতে চেয়েছিলাম।’’
কারখানা থেকে বের হওয়ার সিঁড়ি ঠিকমতো করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘মান নিশ্চিত করেই কারখানা তৈরি করা হয়েছিল। কারখানার উত্তর পাশে দুটি এবং দক্ষিণ পাশে দুটি সিঁড়ি রয়েছে। যখন মহড়া হয়েছে তখন দেখেছি, আড়াই থেকে তিন মিনিটে সব শ্রমিক নেমে আসতে পারে। কারখানায় অগ্নি নির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল। সেগুলো কেন ব্যবহার করা হলো না। এর পেছনে নিশ্চিয়ই কারণ আছে। কর্মকর্তাদের গাফিলতি ছিল।’’
ব্যাংক ঋণ থেকে রক্ষা পাওয়া বা বীমার টাকা পেতে মালিকপক্ষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “আমার কোনো প্রকল্প ঋণ নেই। এলসির (লেটার অব ক্রেডিট) বিপরীতে দুটি ব্যাংক আমার কাছে কিছু টাকা পাবে। আমার কারখানার একটি বীমা করা আছে, সেটা মাত্র ১৮ কোটি টাকার। এই অল্প টাকার জন্য কারখানায় আগুন দেওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না।” তবে এলসির বিপরীতে কত টাকা নেওয়া হয়েছে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এর আগে তাকে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ডেকে পাঠানো হয়। এসময় তিনি শ্রমিকদের বকেয়াসহ সব বেতন ১লা ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করার ঘোষণা দেন।
এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে দেলোয়ার বলেন, “আগুন লাগার পর সাড়ে ৭টার দিকে (২৪ নভেম্বর) আমি কারখানায় গিয়েছিলাম। আমার চোখের সামনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে (কমপ্লায়ান্স ফ্যাক্টরি) কারখানা নির্মাণ করা হয়েছিল। অবহেলা বা গাফিলতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
“আগুন লাগার পর ভবনের তৃতীয় তলায় কেন তালা লাগানো হলো?” প্রশ্ন তোলেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “কারা এটা করল?”
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ১১২ জন শ্রমিক নিহত হয়।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে কারখানার মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত, যারা কারখানার শ্রমিকদের বের হতে দেয়নি। বলেছে, মহড়া হচ্ছে। কিন্তু সন্ধ্যার সময় কখনো মহড়া হয়?’’
দেলোয়ার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমি বের হয়ে কারখানার কাছে গিয়ে দেখলাম, কীভাবে সবকিছু পুড়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। এক পর্যায়ে কর্মচারী-স্বজনরা আমাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমাকে বাসায় আনা হয়। তবে আমি বারবার কারখানায় যেতে চেয়েছিলাম।’’
কারখানা থেকে বের হওয়ার সিঁড়ি ঠিকমতো করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘মান নিশ্চিত করেই কারখানা তৈরি করা হয়েছিল। কারখানার উত্তর পাশে দুটি এবং দক্ষিণ পাশে দুটি সিঁড়ি রয়েছে। যখন মহড়া হয়েছে তখন দেখেছি, আড়াই থেকে তিন মিনিটে সব শ্রমিক নেমে আসতে পারে। কারখানায় অগ্নি নির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল। সেগুলো কেন ব্যবহার করা হলো না। এর পেছনে নিশ্চিয়ই কারণ আছে। কর্মকর্তাদের গাফিলতি ছিল।’’
ব্যাংক ঋণ থেকে রক্ষা পাওয়া বা বীমার টাকা পেতে মালিকপক্ষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “আমার কোনো প্রকল্প ঋণ নেই। এলসির (লেটার অব ক্রেডিট) বিপরীতে দুটি ব্যাংক আমার কাছে কিছু টাকা পাবে। আমার কারখানার একটি বীমা করা আছে, সেটা মাত্র ১৮ কোটি টাকার। এই অল্প টাকার জন্য কারখানায় আগুন দেওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না।” তবে এলসির বিপরীতে কত টাকা নেওয়া হয়েছে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এর আগে তাকে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ডেকে পাঠানো হয়। এসময় তিনি শ্রমিকদের বকেয়াসহ সব বেতন ১লা ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করার ঘোষণা দেন।
এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে দেলোয়ার বলেন, “আগুন লাগার পর সাড়ে ৭টার দিকে (২৪ নভেম্বর) আমি কারখানায় গিয়েছিলাম। আমার চোখের সামনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে (কমপ্লায়ান্স ফ্যাক্টরি) কারখানা নির্মাণ করা হয়েছিল। অবহেলা বা গাফিলতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
“আগুন লাগার পর ভবনের তৃতীয় তলায় কেন তালা লাগানো হলো?” প্রশ্ন তোলেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “কারা এটা করল?”
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ১১২ জন শ্রমিক নিহত হয়।
No comments