মোবারক-পতনের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ
মিসরে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর আদেশ (ডিক্রি) জারি করে বেশ চাপে পড়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। এই আদেশ জারি হওয়ার পর থেকে মিসরজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিরোধীরা আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র মিসরের পরিস্থিতিকে অস্পষ্ট বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়িয়ে ২২ নভেম্বর আদেশ জারি করেন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিসরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসি। আদেশে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের কোনো সিদ্ধান্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না; এমনকি দেশের বিচার বিভাগও প্রেসিডেন্টের কোনো পদক্ষেপের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। বিরোধীরা মুরসির এই পদক্ষেপকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা আখ্যা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে।
গত মঙ্গলবার মুরসিবিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল ছিল রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ার। এদিন মিসরের ২৭টি প্রদেশের বেশির ভাগেই বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ হয়েছে অন্যতম শহর সুয়েজ, আলেকজান্দ্রিয়া, মিনা ও নীল ডেল্টাতে। বলা হচ্ছে, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিসরের ক্ষমতায় থাকা হোসনি মোবারক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটিতে এত বড় বিক্ষোভ এটাই প্রথম।
মঙ্গলবার তাহরির স্কয়ারে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারী আহমেদ হোসাইনি বলেন, ‘ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা বিপ্লব করেছি। সেই বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসক মোবারককে হটিয়েছি। এখন নতুন করে আর স্বৈরশাসক চাই না।’
এল-মাহাল্লা এল-কুবরা শহরেও সংঘর্ষ হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, এখানে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। বিক্ষোভের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মুসলিম ব্রাদারহুডের কার্যালয়ে হামলাও চালায় বিক্ষোভকারীরা।
একই দিন মুরসির সমর্থনে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমাবেশ করার কথা থাকলেও তা স্থগিত করেন সংগঠনের নেতারা। ‘উত্তেজনা’ এড়াতে সংগঠনটি এই পদক্ষেপ নেয় বলে জানানো হয়। কাল শুক্রবার ওই সমাবেশ হবে। ব্রাদারহুডের সদস্য সাদ এমারা বিরোধীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘দেশের বেসামরিক শক্তিগুলো আগুন নিয়ে খেলছে। এটি খুব বিপজ্জনক পরিস্থিতি।’
তবে বিরোধীদের দাবি, এভাবে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ বজায় রাখতে পারলে ‘সংবিধান রক্ষা’ করা সম্ভব হবে।
শুরু থেকেই আদেশ জারির মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিযোগ অস্বীকার করছেন মুরসি ও তাঁর সমর্থকেরা। তাঁদের দাবি, মিসরের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে ওই আদেশ জারি করা হয়েছে।
মিসরের পরিস্থিতি নিয়ে গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া ন্যুলান্ড বলেন, ‘আমরা জানি না, মিসরের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে শেষ হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, মুরসি এই আদেশ জারি করার আগে বিচার বিভাগ ও দেশটির অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আরেক মুখপাত্র জে কার্নে বলেন, মিসরের বর্তমান পরিস্থিতি দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। জনগণ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সংলাপের মাধ্যমেই কেবল এর সমাধান করতে পারে। এএফপি, বিবিসি।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়িয়ে ২২ নভেম্বর আদেশ জারি করেন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিসরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসি। আদেশে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের কোনো সিদ্ধান্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না; এমনকি দেশের বিচার বিভাগও প্রেসিডেন্টের কোনো পদক্ষেপের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। বিরোধীরা মুরসির এই পদক্ষেপকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা আখ্যা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে।
গত মঙ্গলবার মুরসিবিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল ছিল রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ার। এদিন মিসরের ২৭টি প্রদেশের বেশির ভাগেই বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ হয়েছে অন্যতম শহর সুয়েজ, আলেকজান্দ্রিয়া, মিনা ও নীল ডেল্টাতে। বলা হচ্ছে, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিসরের ক্ষমতায় থাকা হোসনি মোবারক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটিতে এত বড় বিক্ষোভ এটাই প্রথম।
মঙ্গলবার তাহরির স্কয়ারে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারী আহমেদ হোসাইনি বলেন, ‘ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা বিপ্লব করেছি। সেই বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসক মোবারককে হটিয়েছি। এখন নতুন করে আর স্বৈরশাসক চাই না।’
এল-মাহাল্লা এল-কুবরা শহরেও সংঘর্ষ হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, এখানে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। বিক্ষোভের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মুসলিম ব্রাদারহুডের কার্যালয়ে হামলাও চালায় বিক্ষোভকারীরা।
একই দিন মুরসির সমর্থনে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমাবেশ করার কথা থাকলেও তা স্থগিত করেন সংগঠনের নেতারা। ‘উত্তেজনা’ এড়াতে সংগঠনটি এই পদক্ষেপ নেয় বলে জানানো হয়। কাল শুক্রবার ওই সমাবেশ হবে। ব্রাদারহুডের সদস্য সাদ এমারা বিরোধীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘দেশের বেসামরিক শক্তিগুলো আগুন নিয়ে খেলছে। এটি খুব বিপজ্জনক পরিস্থিতি।’
তবে বিরোধীদের দাবি, এভাবে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ বজায় রাখতে পারলে ‘সংবিধান রক্ষা’ করা সম্ভব হবে।
শুরু থেকেই আদেশ জারির মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিযোগ অস্বীকার করছেন মুরসি ও তাঁর সমর্থকেরা। তাঁদের দাবি, মিসরের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে ওই আদেশ জারি করা হয়েছে।
মিসরের পরিস্থিতি নিয়ে গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া ন্যুলান্ড বলেন, ‘আমরা জানি না, মিসরের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে শেষ হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, মুরসি এই আদেশ জারি করার আগে বিচার বিভাগ ও দেশটির অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আরেক মুখপাত্র জে কার্নে বলেন, মিসরের বর্তমান পরিস্থিতি দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। জনগণ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সংলাপের মাধ্যমেই কেবল এর সমাধান করতে পারে। এএফপি, বিবিসি।
No comments