নূরবানুর আঁধারভরা দিন আর অত্যাচারের রাত!
তালাকের পর স্বামীর ছুঁড়ে মারা এসিডে দৃষ্টি হারিয়ে আর দগদগে ঘায়ে সৃষ্ট বিকৃত চেহারা নিয়ে আবার সেই পাষণ্ডের ঘরেই ফিরতে বাধ্য হয়েছেন সাতক্ষীরার নুরবানু। দেখার কেউ নেই তাই নূরবানুকে স্বামীর কাছেই ফিরতে হবে এটাই মত পরিবারের ও এলাকাবাসীর।
অন্ধ অসহায় নূরবানু তা মেনে নিতেই বাধ্য হয়েছেন। সাবেক স্বামীর ঘরে ফিরে আবারও অত্যাচারের মুখে পড়েছেন তিনি। শিগগিরই তাকে ফের সেই অত্যাচারি স্বামীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
নূরবানু এখন ৩৬-এ। শত নির্যাতন ও অত্যাচার আর সইতে না পেরে আঠারো বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টেনেছিলেন বছর দুয়েক আগে। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত সহ্য হয়নি স্বামীর। তাই বিয়ে বিচ্ছেদের আট দিনের মাথায় নূরবানুর মুখে এসিড ছুড়ে মারেন তিনি। এতে মুখ পুড়ে যায়, অন্ধ হয়ে যায় দুটি চোখই।
নুরবানু যখন হাসপাতালে ছটফট করছেন তখন গা ঢাকা দেন তার স্বামী। ১০ মাস পরে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। জেলে পুড়ে দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই নুরবানুর শাশুড়ির তৎপরতায় জেল থেকে বেড়িয়ে আসেন।
নূরবানু জানান, তার শ্বাশুড়ি তাকে দিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে কোনোই অভিযোগ নেই এমন কথা লিখিয়ে নেন যাতে নিজের ছেলেকে তিনি মুক্ত করে আনতে পারেন। আর এই কাজে নূরবানুর ছেলেদেরই ব্যবহার করেন তার শাশুড়ি।
সবকিছু মিলিয়ে এখন ভয়াবহ আতঙ্কে ও হতাশায় দিন কাটছে নূরবানুর। সবাই আগের স্বামীর সঙ্গেই নূরবানুর ফের বিয়ে দিতে চাইছে। এদিকে দিন কয়েক আগে এক রাতে লোকটি তাকে আবারও পিটিয়েছে, হুমকি ধমকি দিয়েছে।
“লোকজন ভাবছে আমার স্বামীই আমার দেখভাল করতে পারবে কিন্তু তা আর কখনোই হওয়ার নয়। নির্যাতনই এখন আমার জীবনের অংশ,” বলেন নূরবানু।
নূরবানুর এইসব কথা ও কাহিনী ক্যামেরাবন্দি করেছে গ্লোবাল ফিল্ম চ্যারিটি ভিএসও। এসিড সার্ভাইভর্স ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বাংলাদেশে যৌথভাবে কাজ করছে ভিএসও।
ভিএসও’র মাধ্যমে নূরবানুর কাহিনী স্থান পেয়েছে ব্রিটেনের জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান-এ। সানকে ভিএসও’র প্রধান নির্বাহী মার্গ মেইন বলেন, “নারীদের দৈন্য ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার এই প্রক্রিয়া থেকে তাদের মুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।”
নুরবানু যখন হাসপাতালে ছটফট করছেন তখন গা ঢাকা দেন তার স্বামী। ১০ মাস পরে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। জেলে পুড়ে দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই নুরবানুর শাশুড়ির তৎপরতায় জেল থেকে বেড়িয়ে আসেন।
নূরবানু জানান, তার শ্বাশুড়ি তাকে দিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে কোনোই অভিযোগ নেই এমন কথা লিখিয়ে নেন যাতে নিজের ছেলেকে তিনি মুক্ত করে আনতে পারেন। আর এই কাজে নূরবানুর ছেলেদেরই ব্যবহার করেন তার শাশুড়ি।
সবকিছু মিলিয়ে এখন ভয়াবহ আতঙ্কে ও হতাশায় দিন কাটছে নূরবানুর। সবাই আগের স্বামীর সঙ্গেই নূরবানুর ফের বিয়ে দিতে চাইছে। এদিকে দিন কয়েক আগে এক রাতে লোকটি তাকে আবারও পিটিয়েছে, হুমকি ধমকি দিয়েছে।
“লোকজন ভাবছে আমার স্বামীই আমার দেখভাল করতে পারবে কিন্তু তা আর কখনোই হওয়ার নয়। নির্যাতনই এখন আমার জীবনের অংশ,” বলেন নূরবানু।
নূরবানুর এইসব কথা ও কাহিনী ক্যামেরাবন্দি করেছে গ্লোবাল ফিল্ম চ্যারিটি ভিএসও। এসিড সার্ভাইভর্স ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বাংলাদেশে যৌথভাবে কাজ করছে ভিএসও।
ভিএসও’র মাধ্যমে নূরবানুর কাহিনী স্থান পেয়েছে ব্রিটেনের জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান-এ। সানকে ভিএসও’র প্রধান নির্বাহী মার্গ মেইন বলেন, “নারীদের দৈন্য ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার এই প্রক্রিয়া থেকে তাদের মুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।”
No comments