বিবিসির বিশ্লেষণ- বিজ্ঞানীরা কি পারবেন?
ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুরহস্যের কিনারা করতে কাজ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। মৃৃত্যুর প্রায় এক দশক পর গত মঙ্গলবার কবর থেকে তাঁর দেহাবশেষ তোলা হয়।
তাঁর দেহে পলোনিয়াম নামে একটি উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না, তা জানতে বিজ্ঞানীদের তিনটি দল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।
২০০৬ সালে রাশিয়ার সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান আলেক্সান্দার লিটভিনেনকোকে এই পলোনিয়াম প্রয়োগেই হত্যা করা হয়।
দেহাবশেষ তুলে নমুনা সংগ্রহের পর আবার তাঁর দেহাবশেষ কবর দেওয়া হয়। এরপরই কবরটি সিল করে দেওয়া হয়। দেহাবশেষের সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার পর ফল পেতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইয়াসির আরাফাতের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল, না কি বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল—তা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হওয়ায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে। প্রথম কথা হলো, এত দিন পর তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কতটুকু তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার আশা করছেন? তা ছাড়া, তাঁরা এর সত্যিকার পরিসমাপ্তি টানতে পারবেন কি না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তদন্তে আরাফাতের দেহে পলোনিয়াম ২১০-এর উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেলে তা কী পরিমাণে প্রয়োগ করা হয়েছিল—তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন ধাঁধায় পড়তে হবে।
স্ট্রাসবার্গের ফরেনসিক মেডিসিন ইনস্টিটিউটের পরিচালক বার্ট্রান্ড লুডস বলেন, ‘যদি আরাফাতের দেহে পলোনিয়াম ভালোভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, তাহলে তা তাঁর দেহকোষে থেকে যাওয়ার কথা এবং এখনো শনাক্ত করতে পারার কথা।’ তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে দেহে কিংবা জমিতে পলোনিয়াম থাকতে পারে না। বিজ্ঞান হয় তো আরাফাতের দেহে পলোনিয়ামের মাত্রা ও উপস্থিতি কতটুকু—সেই ধারণা দিতে পারবে। কিন্তু তা কীভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল, তা উদ্ধার করতে পারবে না। এটি ফৌজদারি তদন্তের ব্যাপার।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ স্টুয়ার্ট হ্যামিলটন বলেন, আট বছর অপেক্ষার পর এ ধরনের একটি পরীক্ষা—এটি সত্যিই অনেক দীর্ঘ সময়। কবর থেকে দেহাবশেষ উত্তোলনে অভিজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, কারও মৃত্যুর এত দিন পর এ ধরনের পরীক্ষা চালানো এবং তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ প্রকাশ করার বিষয়টি অনেক কঠিন। তিনি বলেন, সংগৃহীত নমুনার হুবহু বর্ণনা ফরেনসিক প্যাথলজির জন্য খুবই জরুরি। তা না হলে পরীক্ষার সম্পূর্ণ ফলাফল পাওয়া যাবে না।
কোনো দেহাবশেষের ফরেনসিক পরীক্ষার সঠিক ফলাফল পেতে বিজ্ঞানীদের প্রকৃত অন্তর্দৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। স্টুয়ার্ট হ্যামিলটন বলেন, বিজ্ঞানীরা আরাফাতের দেহাবশেষে পলোনিয়াম অথবা তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারলে প্রথম ধারণাটি অমূলক হয়ে যাবে। কারণ তাঁর মৃত্যুর পর প্রথম ধারণা করা হয়েছিল, তিনি স্ট্রোকে মারা গেছেন। বিবিসি।
২০০৬ সালে রাশিয়ার সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান আলেক্সান্দার লিটভিনেনকোকে এই পলোনিয়াম প্রয়োগেই হত্যা করা হয়।
দেহাবশেষ তুলে নমুনা সংগ্রহের পর আবার তাঁর দেহাবশেষ কবর দেওয়া হয়। এরপরই কবরটি সিল করে দেওয়া হয়। দেহাবশেষের সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার পর ফল পেতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইয়াসির আরাফাতের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল, না কি বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল—তা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হওয়ায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে। প্রথম কথা হলো, এত দিন পর তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কতটুকু তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার আশা করছেন? তা ছাড়া, তাঁরা এর সত্যিকার পরিসমাপ্তি টানতে পারবেন কি না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তদন্তে আরাফাতের দেহে পলোনিয়াম ২১০-এর উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেলে তা কী পরিমাণে প্রয়োগ করা হয়েছিল—তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন ধাঁধায় পড়তে হবে।
স্ট্রাসবার্গের ফরেনসিক মেডিসিন ইনস্টিটিউটের পরিচালক বার্ট্রান্ড লুডস বলেন, ‘যদি আরাফাতের দেহে পলোনিয়াম ভালোভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, তাহলে তা তাঁর দেহকোষে থেকে যাওয়ার কথা এবং এখনো শনাক্ত করতে পারার কথা।’ তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে দেহে কিংবা জমিতে পলোনিয়াম থাকতে পারে না। বিজ্ঞান হয় তো আরাফাতের দেহে পলোনিয়ামের মাত্রা ও উপস্থিতি কতটুকু—সেই ধারণা দিতে পারবে। কিন্তু তা কীভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল, তা উদ্ধার করতে পারবে না। এটি ফৌজদারি তদন্তের ব্যাপার।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ স্টুয়ার্ট হ্যামিলটন বলেন, আট বছর অপেক্ষার পর এ ধরনের একটি পরীক্ষা—এটি সত্যিই অনেক দীর্ঘ সময়। কবর থেকে দেহাবশেষ উত্তোলনে অভিজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, কারও মৃত্যুর এত দিন পর এ ধরনের পরীক্ষা চালানো এবং তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ প্রকাশ করার বিষয়টি অনেক কঠিন। তিনি বলেন, সংগৃহীত নমুনার হুবহু বর্ণনা ফরেনসিক প্যাথলজির জন্য খুবই জরুরি। তা না হলে পরীক্ষার সম্পূর্ণ ফলাফল পাওয়া যাবে না।
কোনো দেহাবশেষের ফরেনসিক পরীক্ষার সঠিক ফলাফল পেতে বিজ্ঞানীদের প্রকৃত অন্তর্দৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। স্টুয়ার্ট হ্যামিলটন বলেন, বিজ্ঞানীরা আরাফাতের দেহাবশেষে পলোনিয়াম অথবা তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারলে প্রথম ধারণাটি অমূলক হয়ে যাবে। কারণ তাঁর মৃত্যুর পর প্রথম ধারণা করা হয়েছিল, তিনি স্ট্রোকে মারা গেছেন। বিবিসি।
No comments