কাবিখার 'নির্বাচনী' চাল বরাদ্দ পেলেন এমপিরা by আশরাফুল হক রাজীব
সব সংসদ সদস্য কাবিখার (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। এমপিদের দেওয়া হয়েছে ৩০০ টন এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপিদের দেওয়া হয়েছে ১২০ টন করে চাল। সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকা বাদ দিয়ে এ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই একে নির্বাচনী চাল বলছে।
আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ এ বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও মন্ত্রণালয় থেকে আগেভাগেই তা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকায় সরকারদলীয় এমপিদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ ও নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জনমত পক্ষে রাখার তাগিদ থেকেই এ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কাবিখার আওতায় প্রথম পর্যায়ে ২৭৯টি আসন ও ৫০টি সংরক্ষিত আসনে মোট ৮৯ হাজার ৯৭০ টন চাল ছাড় করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় চাল বরাদ্দ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে। কাবিখার এ বরাদ্দ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ব্যবহার করে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। এত অল্প দিনের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ চাল বিতরণ করা সম্ভব নয় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। ফলে অন্য সময়ের মতো এবারও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখানো হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, দুই মাস সময় পর্যাপ্ত নয়। প্রকল্প গঠন করে ৩০০ টন চাল ব্যবহারও সম্ভব নয়। প্রয়োজন হলে সময় বাড়ানো হতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ টনের নিচে এবং সর্বোচ্চ ২০ টনের প্রকল্পে এ চাল ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে একটি প্রকল্প যাতে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় সে জন্যই পাঁচ টনের নিচে বরাদ্দ দেওয়া নিষেধ করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিধিগতভাবে প্রকল্প কমিটির প্রধান রাখা হলেও সরকারদলীয় লোকরাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। কাবিখার প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে হরিলুট চলে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দেখানো হয়। প্রকৃতপক্ষে কাজ কতটা হয়েছে, আদৌ হয়েছে কি না- তা জরিপ ও যাচাই করা হয় না।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটি উপজেলায় কাবিখা ও টিআরের সব প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ করেন একজন মাত্র পিআইও বা প্রজেক্ট ইপ্লিমেন্টশন অফিসার। তাঁর পক্ষে হাজার হাজার প্রকল্পের তদারকি করা সম্ভব হয় না। তা ছাড়া ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তো রয়েছেই। এসব কারণে সরকার বিআইডিএসকে দিয়ে টিআর ও কাবিখার অনিয়ম উদ্ঘাটনের জন্য গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিআইডিএস ছোট পরিসরে কিছু গবেষণা করেছেও। কিন্তু নির্বাচনের বছর হওয়ায় এবার বিআইডিএসকে দিয়ে ব্যাপক আকারে গবেষণা করানো হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছে সরকার।
বিগত জোট সরকারের সময় থেকে এমপিদের অনুকূলে বরাদ্দ করা টিআর ও কাবিখার চাল নিয়ে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের অনিয়মের মহোৎসব চলে আসছে। বর্তমান সরকারের সময়েও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। প্রকল্পের চাল দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত কাজ করানো হয়। তা ছাড়া অনেক ভুয়া প্রকল্পও নেওয়া হয়।
গত বছরের নভেম্বরে কাবিখায় বরাদ্দ চালের যথাযথ ব্যবহার হয়েছে কি না, যাচাই না করেই আবারও বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষ বরাদ্দের চাল নিয়ে জোট সরকারের সময়ে হরিলুট হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার জোট সরকারের সর্বশেষ বরাদ্দ বাতিল করে ডিসির মাধ্যমে প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দের ব্যবস্থা চালু করে। সর্বশেষ বরাদ্দ বাতিল করার আগেই অনেক এমপি ওই চাল উঠিয়ে নেন। নির্বাচন সামনে রেখে সরকার তা আবার চালু করতে যাচ্ছে।
কাবিখার আওতায় প্রথম পর্যায়ে ২৭৯টি আসন ও ৫০টি সংরক্ষিত আসনে মোট ৮৯ হাজার ৯৭০ টন চাল ছাড় করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় চাল বরাদ্দ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে। কাবিখার এ বরাদ্দ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ব্যবহার করে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। এত অল্প দিনের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ চাল বিতরণ করা সম্ভব নয় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। ফলে অন্য সময়ের মতো এবারও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখানো হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, দুই মাস সময় পর্যাপ্ত নয়। প্রকল্প গঠন করে ৩০০ টন চাল ব্যবহারও সম্ভব নয়। প্রয়োজন হলে সময় বাড়ানো হতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ টনের নিচে এবং সর্বোচ্চ ২০ টনের প্রকল্পে এ চাল ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে একটি প্রকল্প যাতে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় সে জন্যই পাঁচ টনের নিচে বরাদ্দ দেওয়া নিষেধ করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিধিগতভাবে প্রকল্প কমিটির প্রধান রাখা হলেও সরকারদলীয় লোকরাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। কাবিখার প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে হরিলুট চলে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দেখানো হয়। প্রকৃতপক্ষে কাজ কতটা হয়েছে, আদৌ হয়েছে কি না- তা জরিপ ও যাচাই করা হয় না।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটি উপজেলায় কাবিখা ও টিআরের সব প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ করেন একজন মাত্র পিআইও বা প্রজেক্ট ইপ্লিমেন্টশন অফিসার। তাঁর পক্ষে হাজার হাজার প্রকল্পের তদারকি করা সম্ভব হয় না। তা ছাড়া ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তো রয়েছেই। এসব কারণে সরকার বিআইডিএসকে দিয়ে টিআর ও কাবিখার অনিয়ম উদ্ঘাটনের জন্য গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিআইডিএস ছোট পরিসরে কিছু গবেষণা করেছেও। কিন্তু নির্বাচনের বছর হওয়ায় এবার বিআইডিএসকে দিয়ে ব্যাপক আকারে গবেষণা করানো হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছে সরকার।
বিগত জোট সরকারের সময় থেকে এমপিদের অনুকূলে বরাদ্দ করা টিআর ও কাবিখার চাল নিয়ে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের অনিয়মের মহোৎসব চলে আসছে। বর্তমান সরকারের সময়েও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। প্রকল্পের চাল দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত কাজ করানো হয়। তা ছাড়া অনেক ভুয়া প্রকল্পও নেওয়া হয়।
গত বছরের নভেম্বরে কাবিখায় বরাদ্দ চালের যথাযথ ব্যবহার হয়েছে কি না, যাচাই না করেই আবারও বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষ বরাদ্দের চাল নিয়ে জোট সরকারের সময়ে হরিলুট হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার জোট সরকারের সর্বশেষ বরাদ্দ বাতিল করে ডিসির মাধ্যমে প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দের ব্যবস্থা চালু করে। সর্বশেষ বরাদ্দ বাতিল করার আগেই অনেক এমপি ওই চাল উঠিয়ে নেন। নির্বাচন সামনে রেখে সরকার তা আবার চালু করতে যাচ্ছে।
No comments