গলাবাজি করবেন না by অরণ্য ইমতিয়াজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাস করে, উন্নয়নে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখে। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়। সংখ্যালঘুরা, মা-বোনেরা শান্তিতে থাকতে পারে না।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, 'তাঁর পুত্র নাকি সৎ জীবন যাপন করে। অথচ তাঁর পুত্রের দুর্নীতির টাকা ধরা পড়েছে। দুর্নীতির যে টাকা ফেরত আনা হয়েছে, তা দুর্নীতি দমনের কাজেই ব্যয় করা হবে। চোরের মার বড় গলা দেখতে পাচ্ছি।' খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'আর গলাবাজি করবেন না। আপনি যতই চেষ্টা করেন না কেন, যত জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করেন না কেন, আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবেন না। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।'
গতকাল বুধবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, 'বিএনপির চরিত্র হচ্ছে দুর্নীতি আর মানুষ খুন। তাদের আমলে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছিল; জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাইদের অভয়ারণ্য হয়েছিল। গাড়ি থেকে নামিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জঙ্গিবাদ দমন করেছে। সত্তরে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। ছিয়ানব্বইয়ে ভোট পেয়ে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। ২০০৮-এর নির্বাচনে কথা দিয়েছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব। আমরা কথা রেখেছি।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরও খালেদা জিয়া রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের দিন হরতাল ডেকেছিলেন। জাতির পিতার হত্যাকারীদের তিনি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু পারেননি। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করবেন না।' তিনি বলেন, 'আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। বিএনপির মতো ভোট চুরি করি না। আওয়ামী লীগের আমলে ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও সংসদের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। কোনো নির্বাচনে ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছি। এবার চাই অর্থনৈতিক মুক্তি।'
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আমরা কাজ করেছি। ভবিষ্যতে আরো কাজ করব। প্রত্যেকটা মানুষ খেয়ে-পরে সুখে-শান্তিতে থাকবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব। আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে পারে। লেখাপড়া শিখে সুন্দরভাবে বাঁচে। আমরা ক্ষমতায় এসে চার বছরে চার লাখ লোককে সরকারি চাকরিসহ ৭৮ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান করেছি। কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না- এটাই আমাদের লক্ষ্য। প্রত্যেক মানুষ যাতে আত্মনির্ভরশীল হয় এ জন্য একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালকে ভবিষ্যতে ২৫০ থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। ভবিষ্যতে সেখানে মেডিক্যাল কলেজ করা হবে।'
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরো বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ধনবাড়ীতে নবনির্মিত উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন। এলজিইডি ১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করেছে। পরে তিনি ধনবাড়ী মডেল থানা ভবন ও ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজের ফলক উন্মোচন করেন।
গতকাল বুধবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, 'বিএনপির চরিত্র হচ্ছে দুর্নীতি আর মানুষ খুন। তাদের আমলে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছিল; জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাইদের অভয়ারণ্য হয়েছিল। গাড়ি থেকে নামিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জঙ্গিবাদ দমন করেছে। সত্তরে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। ছিয়ানব্বইয়ে ভোট পেয়ে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। ২০০৮-এর নির্বাচনে কথা দিয়েছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব। আমরা কথা রেখেছি।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরও খালেদা জিয়া রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের দিন হরতাল ডেকেছিলেন। জাতির পিতার হত্যাকারীদের তিনি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু পারেননি। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করবেন না।' তিনি বলেন, 'আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। বিএনপির মতো ভোট চুরি করি না। আওয়ামী লীগের আমলে ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও সংসদের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। কোনো নির্বাচনে ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছি। এবার চাই অর্থনৈতিক মুক্তি।'
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আমরা কাজ করেছি। ভবিষ্যতে আরো কাজ করব। প্রত্যেকটা মানুষ খেয়ে-পরে সুখে-শান্তিতে থাকবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব। আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে পারে। লেখাপড়া শিখে সুন্দরভাবে বাঁচে। আমরা ক্ষমতায় এসে চার বছরে চার লাখ লোককে সরকারি চাকরিসহ ৭৮ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান করেছি। কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না- এটাই আমাদের লক্ষ্য। প্রত্যেক মানুষ যাতে আত্মনির্ভরশীল হয় এ জন্য একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালকে ভবিষ্যতে ২৫০ থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। ভবিষ্যতে সেখানে মেডিক্যাল কলেজ করা হবে।'
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরো বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ধনবাড়ীতে নবনির্মিত উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন। এলজিইডি ১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করেছে। পরে তিনি ধনবাড়ী মডেল থানা ভবন ও ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজের ফলক উন্মোচন করেন।
No comments