অগ্নিঝুঁকিতে ঢাকা-সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ প্রয়োজন
ঘন জনবসতিপূর্ণ মহানগরীর প্রায় দেড় কোটি মানুষের জীবন নিরাপত্তাহীন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে নগরীর প্রায় প্রতিটি ভবন। কিন্তু এর চেয়ে বড় ঝুঁকিতে আছে মানবসৃষ্ট কিংবা দুর্ঘটনাজনিত অন্য কিছু কারণেও। এর মধ্যে আগুনে ভস্মীভূত হওয়ার ভয় সর্বাধিক।
প্রতিবছরই আগুন লাগার কারণে অসংখ্য মানুষের জীবনও যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, নিমতলী ট্র্যাজেডিতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটার মতো অনেক দুর্ঘটনার পরও আমাদের রাজধানী শহরের নিরাপত্তার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডসহ নানা দুর্ঘটনা কিংবা নাশকতার বিপদ ঘাড়ের ওপর এসে পড়ার পরও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের তেমন টনক নড়ছে না। কবে টনক নড়বে 'পিপুফিশো'র দলের!
মানুষের প্রয়োজনে উঁচু ভবন তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকছে সেগুলোর প্রায় প্রতিটিতে। অগ্নিনির্বাপণে নির্দিষ্ট একটি সংস্থা থাকলেও তাদের সরঞ্জামাদির আধুনিকায়ন হয়নি এখনো। যে হারে উঁচু দালানের সংখ্যা বাড়ছে, যে হারে শহরের ভেতরে কলকারখানা, বিশেষ করে গার্মেন্ট শিল্প প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, সেই হারে অগ্নিনির্বাপণ সংস্থাটির উন্নয়ন হচ্ছে না। অপরিকল্পিত নগরায়ণের সুযোগে জনবসতিতে গড়ে উঠছে কলকারখানা। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সরকারের অনুমতি নিয়েই এসব অবৈধ কাজ হচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীর মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কয়েক শ গার্মেন্ট কারখানা গড়ে ওঠার কারণে বিপদের আশঙ্কা বেড়ে গেছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। নিমতলী ট্র্যাজেডির পর সরকার ঘোষণা করেছিল পুরনো ঢাকা এলাকা থেকে দাহ্য পদার্থের গুদাম ও দোকানগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু কার্যত সেই ঘোষণা অকার্যকরই রয়ে গেছে। ক্ষেত্রবিশেষে রাজধানীতে এমন বিপজ্জনক বাড়িঘরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নামের সংস্থাটিকে মাত্র ১৫ জন পরিদর্শক নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এ সংস্থার আধুনিকায়ন করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাদের নিজস্ব আধুনিক ল্যাডার নেই। যদি উঁচু ভবনে কোথাও আগুন লাগে তাহলে তাদের সহযোগিতার বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায় না। এমন উদাহরণ দেখা গেছে বসুন্ধরা সিটিতে আগুন লাগার সময়। বসুন্ধরা সিটির নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সহযোগিতা না থাকলে সেদিন প্রাণহানির সংখ্যা যে কত হতো, তা বলা যাচ্ছে না। সমসাময়িককালে এনটিভি ভবনে আগুন লেগে একাধিক মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। নিমতলীতে শতাধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে; যেখানে অগ্নিনির্বাপণকারী সংস্থার লোকজনকে কাজ করতে বেগ পেতে হয়েছে। একই রকম অসুবিধা হয়েছে গত সপ্তাহে আশুলিয়ায় আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের লোকদের। এসব হচ্ছে মূলত এক শ্রেণীর মানুষের দুর্নীতি আর ভবন মালিকদের অবহেলার কারণে। যেকোনো ভবন নির্মাণের আগে পরিবেশ ছাড়পত্রসহ বেশ কিছু কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হয়। অথচ সেসব সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রকৃত ভবন মালিকদের হয়রান হওয়া ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয় না। তাই মহানগরকে রক্ষা করতে হলে বিল্ডিং কোড মেনে ইমারত নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনা করতে হবে। সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র এনে ভবন নির্মাণ করতে হয়, সেগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। আর সেই কাজে নিয়ামক ভূমিকা পালন করতে পারে সরকার। সরকারের ইচ্ছা ও আন্তরিকতায় নগরের মানুষের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডসহ নানা দুর্ঘটনা কিংবা নাশকতার বিপদ ঘাড়ের ওপর এসে পড়ার পরও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের তেমন টনক নড়ছে না। কবে টনক নড়বে 'পিপুফিশো'র দলের!
মানুষের প্রয়োজনে উঁচু ভবন তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকছে সেগুলোর প্রায় প্রতিটিতে। অগ্নিনির্বাপণে নির্দিষ্ট একটি সংস্থা থাকলেও তাদের সরঞ্জামাদির আধুনিকায়ন হয়নি এখনো। যে হারে উঁচু দালানের সংখ্যা বাড়ছে, যে হারে শহরের ভেতরে কলকারখানা, বিশেষ করে গার্মেন্ট শিল্প প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, সেই হারে অগ্নিনির্বাপণ সংস্থাটির উন্নয়ন হচ্ছে না। অপরিকল্পিত নগরায়ণের সুযোগে জনবসতিতে গড়ে উঠছে কলকারখানা। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সরকারের অনুমতি নিয়েই এসব অবৈধ কাজ হচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীর মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কয়েক শ গার্মেন্ট কারখানা গড়ে ওঠার কারণে বিপদের আশঙ্কা বেড়ে গেছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। নিমতলী ট্র্যাজেডির পর সরকার ঘোষণা করেছিল পুরনো ঢাকা এলাকা থেকে দাহ্য পদার্থের গুদাম ও দোকানগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু কার্যত সেই ঘোষণা অকার্যকরই রয়ে গেছে। ক্ষেত্রবিশেষে রাজধানীতে এমন বিপজ্জনক বাড়িঘরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নামের সংস্থাটিকে মাত্র ১৫ জন পরিদর্শক নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এ সংস্থার আধুনিকায়ন করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাদের নিজস্ব আধুনিক ল্যাডার নেই। যদি উঁচু ভবনে কোথাও আগুন লাগে তাহলে তাদের সহযোগিতার বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায় না। এমন উদাহরণ দেখা গেছে বসুন্ধরা সিটিতে আগুন লাগার সময়। বসুন্ধরা সিটির নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সহযোগিতা না থাকলে সেদিন প্রাণহানির সংখ্যা যে কত হতো, তা বলা যাচ্ছে না। সমসাময়িককালে এনটিভি ভবনে আগুন লেগে একাধিক মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। নিমতলীতে শতাধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে; যেখানে অগ্নিনির্বাপণকারী সংস্থার লোকজনকে কাজ করতে বেগ পেতে হয়েছে। একই রকম অসুবিধা হয়েছে গত সপ্তাহে আশুলিয়ায় আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের লোকদের। এসব হচ্ছে মূলত এক শ্রেণীর মানুষের দুর্নীতি আর ভবন মালিকদের অবহেলার কারণে। যেকোনো ভবন নির্মাণের আগে পরিবেশ ছাড়পত্রসহ বেশ কিছু কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হয়। অথচ সেসব সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রকৃত ভবন মালিকদের হয়রান হওয়া ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয় না। তাই মহানগরকে রক্ষা করতে হলে বিল্ডিং কোড মেনে ইমারত নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনা করতে হবে। সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র এনে ভবন নির্মাণ করতে হয়, সেগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। আর সেই কাজে নিয়ামক ভূমিকা পালন করতে পারে সরকার। সরকারের ইচ্ছা ও আন্তরিকতায় নগরের মানুষের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেতে পারে।
No comments