স্থলযুদ্ধে অংশ নেওয়ার দাবি-পেন্টাগনের বিরুদ্ধে চার নারী সেনার মামলা
স্থলযুদ্ধে নারী সেনাদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধের নীতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চার নারী সেনা। তাঁদের যুক্তি, পেন্টাগনের এ নীতির মাধ্যমে নারীদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখেই নারীরা সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন।
তাই তাঁদের ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এ অবস্থার অবসান চেয়ে গত মঙ্গলবার সানফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে ওই মামলা করা হয়েছে।
নারী সেনাদের আবেদনে সমর্থন দিয়েছে দেশটির নাগরিক অধিকার সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ)। মামলা দায়েরকারী নারীদের সবাই আফগানিস্তান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন রয়েছেন যাঁরা সামরিক বাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ পার্পল হার্ট পদক ও ডিসটিংগুইশড ফ্লাইং ক্রস পেয়েছেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটাকে।
কার্যত, যুদ্ধক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নারী সেনাদের অংশগ্রহণ নিয়মিত ঘটনা হলেও পেন্টাগনের নীতি অনুযায়ী তাঁরা স্থলযুদ্ধে অংশ নিতে পারেন না। গত এক দশকে ইরাক ও আফগানিস্তানের রণাঙ্গনে বহু নারীসেনা মোতায়েন করা হয়। ওইসব যুদ্ধে ১৪০ জনেরও বেশি নারী সেনা মারা যান। গত ফেব্রুয়ারিতে পেন্টাগন তাদের নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনে। বিশেষ করে সেনাবাহিনী ও মেরিন কর্পসে ১৪ হাজারেরও বেশি নারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পদাতিক বাহিনী, ট্যাংক বাহিনী ও বিশেষ বাহিনীতে নারীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।
আফগানিস্তানে উদ্ধারকারী সামরিক হেলিকপ্টারের পাইলট ছিলেন মেজর মেরি জেনিংস হেগার। তিনি বলেন, 'ছোটবেলা থেকেই আমি বিমানবাহিনীর পাইলট হতে চেয়েছি। তা হতে গিয়ে আমি প্রতিটি পর্যায়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছি। যুদ্ধক্ষেত্রে দক্ষতার প্রশ্নে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ কোনো বড় বিষয় নয়। এর সবকিছুই নির্ভর করে একজনের অনুভূতি, চরিত্র, যোগ্যতা, দৃঢ়সংকল্প ও কাজের প্রতি অন্তঃপ্রাণ হওয়ার ওপর।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
নারী সেনাদের আবেদনে সমর্থন দিয়েছে দেশটির নাগরিক অধিকার সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ)। মামলা দায়েরকারী নারীদের সবাই আফগানিস্তান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন রয়েছেন যাঁরা সামরিক বাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ পার্পল হার্ট পদক ও ডিসটিংগুইশড ফ্লাইং ক্রস পেয়েছেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটাকে।
কার্যত, যুদ্ধক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নারী সেনাদের অংশগ্রহণ নিয়মিত ঘটনা হলেও পেন্টাগনের নীতি অনুযায়ী তাঁরা স্থলযুদ্ধে অংশ নিতে পারেন না। গত এক দশকে ইরাক ও আফগানিস্তানের রণাঙ্গনে বহু নারীসেনা মোতায়েন করা হয়। ওইসব যুদ্ধে ১৪০ জনেরও বেশি নারী সেনা মারা যান। গত ফেব্রুয়ারিতে পেন্টাগন তাদের নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনে। বিশেষ করে সেনাবাহিনী ও মেরিন কর্পসে ১৪ হাজারেরও বেশি নারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পদাতিক বাহিনী, ট্যাংক বাহিনী ও বিশেষ বাহিনীতে নারীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।
আফগানিস্তানে উদ্ধারকারী সামরিক হেলিকপ্টারের পাইলট ছিলেন মেজর মেরি জেনিংস হেগার। তিনি বলেন, 'ছোটবেলা থেকেই আমি বিমানবাহিনীর পাইলট হতে চেয়েছি। তা হতে গিয়ে আমি প্রতিটি পর্যায়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছি। যুদ্ধক্ষেত্রে দক্ষতার প্রশ্নে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ কোনো বড় বিষয় নয়। এর সবকিছুই নির্ভর করে একজনের অনুভূতি, চরিত্র, যোগ্যতা, দৃঢ়সংকল্প ও কাজের প্রতি অন্তঃপ্রাণ হওয়ার ওপর।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments