প্রকল্প বাছাইয়ে চউকের অদক্ষতা by একরামুল হক
বহদ্দারহাট জংশনে উড়ালসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রকল্প বাছাইয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞ মতামত পাশ কাটিয়ে একতরফাভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজে হাত দেয় চউক।
এ ছাড়া গার্ডার ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনায় ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
চউক সূত্র জানায়, নগরের যানজট নিরসনের জন্য চউক উড়ালসড়ক নির্মাণকাজ শুরু করে। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে প্রণীত চট্টগ্রাম মহানগর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনায় প্রকল্পটি ছিল না। বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে আপত্তি জানালেও তা আমলে নেননি চউক কর্মকর্তারা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চউক প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার চিহ্নিত করতে পারেনি। এ কারণে বহদ্দারহাট জংশনে উড়ালসড়ক নির্মাণকাজে হাত দেয়। অথচ মহাপরিকল্পনার সুপারিশ অনুযায়ী ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত বাইপাস সড়কটি নির্মাণকাজ শেষ করলে নগরের ওপর যানবাহন চলাচলের চাপ অনেক কমে যেত।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, চট্টগ্রাম-এর জন্য ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়কের কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন ওই ক্যাম্পাসের পাশ দিয়ে বাইপাস সড়কের সংযোগের জন্য একটি লুপ সড়ক নির্মাণ করতে হবে। এজন্য ওই স্থানে সড়কের দৈর্ঘ্য আরও প্রায় দেড় কিলোমিটার বাড়িয়ে আড়াই কিলোমিটার হচ্ছে। এর আগে ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত প্রায় সোয়া ছয় কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ায় আংশিক তৈরি সড়কটি পুরোপুরিভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা জানান, চউক ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়ক এবং পতেঙ্গা-সাগরিকা ও শাহ আমানত সেতু-সদরঘাট আউটার রিং রোডের পরিবের্তে উড়ালসড়কের ওপর জোর দিয়ে আসছিল। উড়ালসড়কের জন্য দেওয়া এই অর্থ আর সময় বাইপাস সড়কের জন্য দিলে এতদিনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়ে যেত। এতে এই সড়ক দিয়ে তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজারের দূরপাল্লার বাস এবং পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে পারত। যার ফলে নগরে যানবাহনের চাপ অনেক কমে যেত। চউকের একাধিক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করে বলেন, নগরে যানজট দূর করতে উড়ালসড়ক নির্মাণের প্রয়োজন ছিল না। এতে বিশেষজ্ঞ মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। কাজও পেয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। কিন্তু যদি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে কারিগরি দিক থেকে অত্যন্ত সূক্ষ্ম কাজ কেন রাজনৈতিক পরিচয়ধারী ঠিকাদারকে দেওয়া হবে?
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চউকের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা নগরবাসীরও দাবি ছিল। তবে একটি দুর্ঘটনায় আমাদের অনেক অর্জন চাপা পড়ে গেল।’
চউক সূত্র জানায়, নগরের যানজট নিরসনের জন্য চউক উড়ালসড়ক নির্মাণকাজ শুরু করে। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে প্রণীত চট্টগ্রাম মহানগর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনায় প্রকল্পটি ছিল না। বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে আপত্তি জানালেও তা আমলে নেননি চউক কর্মকর্তারা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চউক প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার চিহ্নিত করতে পারেনি। এ কারণে বহদ্দারহাট জংশনে উড়ালসড়ক নির্মাণকাজে হাত দেয়। অথচ মহাপরিকল্পনার সুপারিশ অনুযায়ী ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত বাইপাস সড়কটি নির্মাণকাজ শেষ করলে নগরের ওপর যানবাহন চলাচলের চাপ অনেক কমে যেত।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, চট্টগ্রাম-এর জন্য ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়কের কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন ওই ক্যাম্পাসের পাশ দিয়ে বাইপাস সড়কের সংযোগের জন্য একটি লুপ সড়ক নির্মাণ করতে হবে। এজন্য ওই স্থানে সড়কের দৈর্ঘ্য আরও প্রায় দেড় কিলোমিটার বাড়িয়ে আড়াই কিলোমিটার হচ্ছে। এর আগে ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত প্রায় সোয়া ছয় কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ায় আংশিক তৈরি সড়কটি পুরোপুরিভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা জানান, চউক ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়ক এবং পতেঙ্গা-সাগরিকা ও শাহ আমানত সেতু-সদরঘাট আউটার রিং রোডের পরিবের্তে উড়ালসড়কের ওপর জোর দিয়ে আসছিল। উড়ালসড়কের জন্য দেওয়া এই অর্থ আর সময় বাইপাস সড়কের জন্য দিলে এতদিনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়ে যেত। এতে এই সড়ক দিয়ে তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজারের দূরপাল্লার বাস এবং পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে পারত। যার ফলে নগরে যানবাহনের চাপ অনেক কমে যেত। চউকের একাধিক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করে বলেন, নগরে যানজট দূর করতে উড়ালসড়ক নির্মাণের প্রয়োজন ছিল না। এতে বিশেষজ্ঞ মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। কাজও পেয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। কিন্তু যদি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে কারিগরি দিক থেকে অত্যন্ত সূক্ষ্ম কাজ কেন রাজনৈতিক পরিচয়ধারী ঠিকাদারকে দেওয়া হবে?
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চউকের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা নগরবাসীরও দাবি ছিল। তবে একটি দুর্ঘটনায় আমাদের অনেক অর্জন চাপা পড়ে গেল।’
No comments