দুই নেত্রীর বয়স হয়নি? by মতিউর রহমান চৌধুরী
কেউ বলতে পারেন না। কেন শেখ হাসিনার সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্পর্কের অবনতি হলো। দু’জনের মধ্যকার সম্পর্ক চমৎকার এবং অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। শেখ হাসিনা তো জাতিসংঘে পর্যন্ত প্রফেসর ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণের প্রশংসা করতে গিয়ে ইউনূসকে এর জনকও বলেছেন। তাহলে এমন কি ঘটলো।
নানাজন নানা কথা বলেন। অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি। কেউই কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নন। কেউ বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি দল করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য নাকি রাগ।
বিশ্বমিডিয়া এমনটাই বলে থাকে। আবার কেউ কেউ বলেন, নোবেল পুরস্কার নাকি কাল হয়েছে। পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনার এই পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল। মাঝপথে ইউনূস তা ছিনিয়ে নেন। বাস্তব অবস্থা কি তাই? যে কেউ ইচ্ছে করলেই নোবেল হাইজ্যাক করতে পারেন না। তবে শেখ হাসিনা পেলে ভালোই হতো। পাহাড়ে কম বেশি শান্তি এসেছে এটা কবুল করতেই হবে। যদিও সন্তু লারমা বলে যাচ্ছেন শান্তি চুক্তি সরকার বাস্তবায়ন করেনি।
দল গঠন প্রক্রিয়া যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে আসামির কাঠগড়ায় কিন্তু অনেককেই দাঁড়াতে হবে। প্রফেসর ইউনূস দল গঠনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মাঝপথে রণে ভঙ্গ দেন। হাত গুটিয়ে আবার তার পেশায় চলে যান। তিনি তো প্রধান উপদেষ্টার লোভনীয় পদটি গ্রহণ করতে পারতেন। জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পদস্থ সেনা কর্মকর্তারা তার সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেই রাতে। যেদিন ওয়ান ইলেভেন হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ না করে তার বন্ধু ড. ফখরুদ্দীনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সে সময় আওয়ামী লীগ-বিএনপির অনেক নেতাই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
কেউ প্রকাশ্যে, কেউ নেপথ্যে। সেনা শাসকদের সঙ্গে দেনদরবার করেন। দিনের পর দিন বৈঠক করেন। বিএনপি নেতাদের মধ্যে সাইফুর রহমান ও মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন তো চ্যালেঞ্জ ছোড়েন খালেদাকে। দু’জনই পরে বিএনপি’র মূল স্রোতে ফিরে যান। খালেদা দু’জনকেই সাদরে গ্রহণ করেন। যারা সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছোড়েননি তাদেরকে খালেদা এখনও দলে নেননি।
প্রায় একই অবস্থা আওয়ামী লীগে। যারা গোয়েন্দাদের সঙ্গে প্রতিদিন বসে মিটিং করতেন তারা দলের নেতৃত্বের ভাগও পেয়ে গেলেন। কাউকে কাউকে শাস্তি দিলেন শেখ হাসিনা। এখনও অনেকেই মূল স্রোতের বাইরে। এটাই নাকি রাজনীতি। যাই হোক প্রফেসর ইউনূসের বয়স হয়ে গেছে তাই গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনায় তিনি অযোগ্য। তাই তাকে চলে যেতে হবে।
আমাদের দুই নেত্রীর বয়স হয়নি। তারা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিকল্পই বা কি? তাদের পরে কে? এটা কি তারা ভেবে দেখেছেন।
দেখেননি। দেখার কথা নয়। তাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বার বার। এর পেছনে শুধুই কি আবেগ? ঠিক তেমনিভাবে ইউনূসের বিকল্প তৈরি হয়নি গ্রামীণ ব্যাংকে। আমি পছন্দ করি আর নাই করি গ্রামীণ মানেই ইউনূস। বিকল্প হয় তো একদিন তৈরি হবে। আপাতত নেই এটা মানলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
গ্রামীণ তো আমাদের অহংকার। গ্রামীণ আমাদেরকে বিশ্বদরবারে পরিচিতি দিয়েছে। আমাদের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। প্রফেসর ইউনূস ফেরেশতা নন। তার অনেক ভুল ত্রুটি রয়েছে। থাকাটা স্বাভাবিক। তাই বলে তার অবদানকে আমরা একদমই মানবো না তা কি হয়! বরং ইউনূসকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। যেকোনো কারণেই বিশ্বব্যাপী তার ইমেজ গড়ে উঠেছে। খালি খালি কি তাকে চীন বলুন, ইংল্যান্ড বলুন, কয়েক ডজন জগৎবিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য অনুরোধ আসে। তার বক্তৃতা শোনার জন্য ভিনদেশী মানুষরা আড়াই তিন হাজার ডলার ব্যয় করে টিকিট কেটে হলে ঢোকে।
বিশ্বমিডিয়া কি ইউনূসের কেনা? এমন কোন মিডিয়া নেই যেখানে তাকে নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে না। গ্রামীণ পরিচালনা পরিষদ ভেঙে দিয়ে নতুন ন’জন মহিলা দায়িত্ব নিলেন ইউনূসকে সরানোর পর। তারাও একই কথা বলছেন। তারা কিন্তু ইউনূসকে ফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেখতে চান এমনটা বলেননি। তারা চান ইউনূস যেন কোনো না কোনোভাবে তাদের সঙ্গে থাকেন। সরকার এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারতেন। তা না করে যেভাবে চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হলো তা দেখে তামাম দুনিয়ায় অন্য বার্তা কিন্তু পৌঁছে গেছে।
কে না জানে সরকারের হাত অনেক লম্বা। সরকার তার ক্ষমতাবলে প্রায় সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সরকার তার ক্ষমতাবলে সবকিছুই কবজা করে নেবে। ভালো সরকার সেটি যে কম নিয়ন্ত্রণ করে, ক্ষমতা কম প্রয়োগ করে প্রশাসন চালাতে পারে। অনেকেই সরকার প্রধানের প্রশংসা করছেন। বিবৃতিও আসবে হাজার হাজার। দলবেঁধে বাকশালে যোগ দিতে দেখেছি বুদ্ধিজীবীদের। রাজনীতিকরা তো ছিলেনই। পটপরিবর্তন যখন হলো তখন আমরা কি দেখলাম তা সবাই জানেন। এখনও চোখে ভাসে সাম্যবাদী দলের বিবৃতি। সেই দলের নেতা তো এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যার মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য। আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করবো।
বাংলাদেশের ভবিষ্যতও কিন্তু এখানে জড়িয়ে গেছে নানা কারণে। অন্তহীন সমস্যার মধ্যে দেশটি এগিয়ে চলেছে। পোশাক শিল্প আর জনশক্তি এই দুটোই বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। দুটোই কিন্তু চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে বা পড়তে যাচ্ছে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কিংবা পুলিশ যে ভূমিকা রেখে চলেছে তাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। দূরদৃষ্টি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। সুপার পাওয়ারের সঙ্গে লড়াই করতে হলে নিজেদের কোমরে জোর থাকতে হবে।
জাতীয় ঐক্য এখানে সবচেয়ে বেশি জরুরি। দেশটা তো দু’ভাগে বিভক্ত অসুস্থ রাজনীতির ধারায়। পদ্মা সেতু নিয়ে কি হয়েছে বা কি হবে তা কি একবারও আমলে নেবো না আমরা। পর্দার আড়ালে অনেক কিছুই ঘটে গেছে। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন দুর্নীতির কলঙ্ক মাথায় নিয়ে বিদায় নিয়েছেন। একই অভিযোগে বিদায় নিতে চলেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। এরপর আমরা কি বলবো? অনেক কিছুই আছে এখনও অজানা। তা খোলাসা হতে সময় নেবে কী?
- মানবজমিনের সৌজন্যে
মতিউর রহমান চৌধুরী: প্রধান সম্পাদক, মানবজমিন
ইমেইল: matichowdhury@hotmail.com
বিশ্বমিডিয়া এমনটাই বলে থাকে। আবার কেউ কেউ বলেন, নোবেল পুরস্কার নাকি কাল হয়েছে। পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনার এই পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল। মাঝপথে ইউনূস তা ছিনিয়ে নেন। বাস্তব অবস্থা কি তাই? যে কেউ ইচ্ছে করলেই নোবেল হাইজ্যাক করতে পারেন না। তবে শেখ হাসিনা পেলে ভালোই হতো। পাহাড়ে কম বেশি শান্তি এসেছে এটা কবুল করতেই হবে। যদিও সন্তু লারমা বলে যাচ্ছেন শান্তি চুক্তি সরকার বাস্তবায়ন করেনি।
দল গঠন প্রক্রিয়া যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে আসামির কাঠগড়ায় কিন্তু অনেককেই দাঁড়াতে হবে। প্রফেসর ইউনূস দল গঠনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মাঝপথে রণে ভঙ্গ দেন। হাত গুটিয়ে আবার তার পেশায় চলে যান। তিনি তো প্রধান উপদেষ্টার লোভনীয় পদটি গ্রহণ করতে পারতেন। জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পদস্থ সেনা কর্মকর্তারা তার সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেই রাতে। যেদিন ওয়ান ইলেভেন হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ না করে তার বন্ধু ড. ফখরুদ্দীনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সে সময় আওয়ামী লীগ-বিএনপির অনেক নেতাই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
কেউ প্রকাশ্যে, কেউ নেপথ্যে। সেনা শাসকদের সঙ্গে দেনদরবার করেন। দিনের পর দিন বৈঠক করেন। বিএনপি নেতাদের মধ্যে সাইফুর রহমান ও মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন তো চ্যালেঞ্জ ছোড়েন খালেদাকে। দু’জনই পরে বিএনপি’র মূল স্রোতে ফিরে যান। খালেদা দু’জনকেই সাদরে গ্রহণ করেন। যারা সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছোড়েননি তাদেরকে খালেদা এখনও দলে নেননি।
প্রায় একই অবস্থা আওয়ামী লীগে। যারা গোয়েন্দাদের সঙ্গে প্রতিদিন বসে মিটিং করতেন তারা দলের নেতৃত্বের ভাগও পেয়ে গেলেন। কাউকে কাউকে শাস্তি দিলেন শেখ হাসিনা। এখনও অনেকেই মূল স্রোতের বাইরে। এটাই নাকি রাজনীতি। যাই হোক প্রফেসর ইউনূসের বয়স হয়ে গেছে তাই গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনায় তিনি অযোগ্য। তাই তাকে চলে যেতে হবে।
আমাদের দুই নেত্রীর বয়স হয়নি। তারা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিকল্পই বা কি? তাদের পরে কে? এটা কি তারা ভেবে দেখেছেন।
দেখেননি। দেখার কথা নয়। তাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বার বার। এর পেছনে শুধুই কি আবেগ? ঠিক তেমনিভাবে ইউনূসের বিকল্প তৈরি হয়নি গ্রামীণ ব্যাংকে। আমি পছন্দ করি আর নাই করি গ্রামীণ মানেই ইউনূস। বিকল্প হয় তো একদিন তৈরি হবে। আপাতত নেই এটা মানলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
গ্রামীণ তো আমাদের অহংকার। গ্রামীণ আমাদেরকে বিশ্বদরবারে পরিচিতি দিয়েছে। আমাদের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। প্রফেসর ইউনূস ফেরেশতা নন। তার অনেক ভুল ত্রুটি রয়েছে। থাকাটা স্বাভাবিক। তাই বলে তার অবদানকে আমরা একদমই মানবো না তা কি হয়! বরং ইউনূসকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। যেকোনো কারণেই বিশ্বব্যাপী তার ইমেজ গড়ে উঠেছে। খালি খালি কি তাকে চীন বলুন, ইংল্যান্ড বলুন, কয়েক ডজন জগৎবিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য অনুরোধ আসে। তার বক্তৃতা শোনার জন্য ভিনদেশী মানুষরা আড়াই তিন হাজার ডলার ব্যয় করে টিকিট কেটে হলে ঢোকে।
বিশ্বমিডিয়া কি ইউনূসের কেনা? এমন কোন মিডিয়া নেই যেখানে তাকে নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে না। গ্রামীণ পরিচালনা পরিষদ ভেঙে দিয়ে নতুন ন’জন মহিলা দায়িত্ব নিলেন ইউনূসকে সরানোর পর। তারাও একই কথা বলছেন। তারা কিন্তু ইউনূসকে ফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেখতে চান এমনটা বলেননি। তারা চান ইউনূস যেন কোনো না কোনোভাবে তাদের সঙ্গে থাকেন। সরকার এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারতেন। তা না করে যেভাবে চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হলো তা দেখে তামাম দুনিয়ায় অন্য বার্তা কিন্তু পৌঁছে গেছে।
কে না জানে সরকারের হাত অনেক লম্বা। সরকার তার ক্ষমতাবলে প্রায় সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সরকার তার ক্ষমতাবলে সবকিছুই কবজা করে নেবে। ভালো সরকার সেটি যে কম নিয়ন্ত্রণ করে, ক্ষমতা কম প্রয়োগ করে প্রশাসন চালাতে পারে। অনেকেই সরকার প্রধানের প্রশংসা করছেন। বিবৃতিও আসবে হাজার হাজার। দলবেঁধে বাকশালে যোগ দিতে দেখেছি বুদ্ধিজীবীদের। রাজনীতিকরা তো ছিলেনই। পটপরিবর্তন যখন হলো তখন আমরা কি দেখলাম তা সবাই জানেন। এখনও চোখে ভাসে সাম্যবাদী দলের বিবৃতি। সেই দলের নেতা তো এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যার মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য। আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করবো।
বাংলাদেশের ভবিষ্যতও কিন্তু এখানে জড়িয়ে গেছে নানা কারণে। অন্তহীন সমস্যার মধ্যে দেশটি এগিয়ে চলেছে। পোশাক শিল্প আর জনশক্তি এই দুটোই বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। দুটোই কিন্তু চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে বা পড়তে যাচ্ছে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কিংবা পুলিশ যে ভূমিকা রেখে চলেছে তাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। দূরদৃষ্টি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। সুপার পাওয়ারের সঙ্গে লড়াই করতে হলে নিজেদের কোমরে জোর থাকতে হবে।
জাতীয় ঐক্য এখানে সবচেয়ে বেশি জরুরি। দেশটা তো দু’ভাগে বিভক্ত অসুস্থ রাজনীতির ধারায়। পদ্মা সেতু নিয়ে কি হয়েছে বা কি হবে তা কি একবারও আমলে নেবো না আমরা। পর্দার আড়ালে অনেক কিছুই ঘটে গেছে। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন দুর্নীতির কলঙ্ক মাথায় নিয়ে বিদায় নিয়েছেন। একই অভিযোগে বিদায় নিতে চলেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। এরপর আমরা কি বলবো? অনেক কিছুই আছে এখনও অজানা। তা খোলাসা হতে সময় নেবে কী?
- মানবজমিনের সৌজন্যে
মতিউর রহমান চৌধুরী: প্রধান সম্পাদক, মানবজমিন
ইমেইল: matichowdhury@hotmail.com
No comments