রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য অশুভ সংকেত- ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস
সুখবরহীন ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রলীগ প্রায়ই অঘটন ঘটিয়ে খবরের শিরোনাম হয়। এবার তারা ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল কর্মীদের পিটিয়ে নতুন সংবাদের জন্ম দিয়েছে। সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠন বিরোধীদের পেটাবে, এটাই ‘স্বাভাবিক’ খবর বাংলাদেশে।
কিন্তু সন্ত্রাস-দস্যুতা আর দখলদারি চলতে থাকার এই ‘স্বাভাবিকতা’ ভীতিকর। ছাত্রলীগ সে রকম ভয়েরই জন্ম দিয়ে চলেছে।
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের সচিত্র বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোয়। গত বিএনপি সরকারের আমলেও অনুরূপ ঘটনার অনুরূপ চিত্র সংবাদমাধ্যমকে ধন্য করেছিল। অবশ্য ছাত্রলীগের জায়গায় তখন ছিল ছাত্রদলের দাপট। অর্থাৎ সরকার-সমর্থিত ছাত্রসংগঠন মার দেবে, অন্যরা মার খাবে। সরকারি দলের মার-দাতারা তাঁদের ‘বীরত্বের’ জন্য প্রায়ই পুরস্কৃত হন। অন্যদিকে বিরোধী দলের ‘মার-খাওয়ারা’ সংগ্রামী ও ত্যাগী ভাবমূর্তি গড়ে তুলে অপেক্ষায় থাকেন, কখন দল ক্ষমতাসীন হবে এবং তাঁদের মার-খাওয়ার বিনিয়োগের লাভ জুটবে। বলা বাহুল্য, এসব ঘটনার অধিকাংশই বিচারহীন থেকে যায়। সমস্যাটা তাই কেবল ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের মধ্যে নয়, সমস্যাটা ক্ষমতার চরিত্রের মধ্যে।
ছাত্রদলের নবনির্বাচিত কমিটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগমন নিয়েই সমস্যার শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁদের সৌজন্য সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রথম আলোর সংবাদে দেখা যাচ্ছে, উপাচার্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে নিরাপত্তার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, অন্যদিকে সেই নেতাদের অনুসারীদের ওপর হামলার সময় নিষ্ক্রিয় থেকেছেন। পুলিশের ভাষ্যেও অভিযোগটা আরও জোরদার হয়। পুলিশ বলেছে, চোখের সামনে সন্ত্রাস ঘটলেও প্রশাসনের নির্দেশনা না থাকায় তারা হস্তক্ষেপ করেনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও সংঘাতের পাণ্ডুলিপি প্রায় একই ছিল। দলীয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ছাত্রদলের মিছিলের প্রস্তুতির সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হন। এ ক্ষেত্রেও প্রশাসন ও পুলিশ যথারীতি দর্শক হয়েই ছিল! দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের ওপর ছাত্রলীগের হামলা রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য অশুভ সংকেত। সরকারকে তো বটেই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এ রকম পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। সোম ও মঙ্গলবারের সন্ত্রাসী ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সব ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনগুলোর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার দায়িত্বও তাঁদের।
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের সচিত্র বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোয়। গত বিএনপি সরকারের আমলেও অনুরূপ ঘটনার অনুরূপ চিত্র সংবাদমাধ্যমকে ধন্য করেছিল। অবশ্য ছাত্রলীগের জায়গায় তখন ছিল ছাত্রদলের দাপট। অর্থাৎ সরকার-সমর্থিত ছাত্রসংগঠন মার দেবে, অন্যরা মার খাবে। সরকারি দলের মার-দাতারা তাঁদের ‘বীরত্বের’ জন্য প্রায়ই পুরস্কৃত হন। অন্যদিকে বিরোধী দলের ‘মার-খাওয়ারা’ সংগ্রামী ও ত্যাগী ভাবমূর্তি গড়ে তুলে অপেক্ষায় থাকেন, কখন দল ক্ষমতাসীন হবে এবং তাঁদের মার-খাওয়ার বিনিয়োগের লাভ জুটবে। বলা বাহুল্য, এসব ঘটনার অধিকাংশই বিচারহীন থেকে যায়। সমস্যাটা তাই কেবল ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের মধ্যে নয়, সমস্যাটা ক্ষমতার চরিত্রের মধ্যে।
ছাত্রদলের নবনির্বাচিত কমিটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগমন নিয়েই সমস্যার শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁদের সৌজন্য সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রথম আলোর সংবাদে দেখা যাচ্ছে, উপাচার্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে নিরাপত্তার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, অন্যদিকে সেই নেতাদের অনুসারীদের ওপর হামলার সময় নিষ্ক্রিয় থেকেছেন। পুলিশের ভাষ্যেও অভিযোগটা আরও জোরদার হয়। পুলিশ বলেছে, চোখের সামনে সন্ত্রাস ঘটলেও প্রশাসনের নির্দেশনা না থাকায় তারা হস্তক্ষেপ করেনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও সংঘাতের পাণ্ডুলিপি প্রায় একই ছিল। দলীয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ছাত্রদলের মিছিলের প্রস্তুতির সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হন। এ ক্ষেত্রেও প্রশাসন ও পুলিশ যথারীতি দর্শক হয়েই ছিল! দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের ওপর ছাত্রলীগের হামলা রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য অশুভ সংকেত। সরকারকে তো বটেই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এ রকম পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। সোম ও মঙ্গলবারের সন্ত্রাসী ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সব ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনগুলোর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার দায়িত্বও তাঁদের।
No comments