এবিসি রেডিও-প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’- চিকিৎসকদের মধ্যে সেবার মানসিকতা থাকা উচিত
এবিসি রেডিওর স্টুডিওতে প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’ অনুষ্ঠানে ৪ সেপ্টেম্বর এসেছিলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক এম এইচ মিল্লাত।
তিনি কথাবন্ধু ব্রতীর সঙ্গে মেডিকেল বা চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়াশোনা ও এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
কথাবন্ধু: মেডিকেলে পড়তে গেলে একজন শিক্ষার্থীর কোন বিষয়গুলোতে জোর দেওয়া উচিত?
এম এইচ মিল্লাত: বাংলাদেশে মেডিকেল বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের যে সিলেবাস রয়েছে, তা যথেষ্ট মানসম্পন্ন। বর্তমানে বাংলাদেশের চিকিৎসাবিজ্ঞান অনেক দূর এগিয়ে গেছে। মেডিকেলে পড়াশোনার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থাকতে হবে। একই সঙ্গে প্রাণিবিজ্ঞান বা উদ্ভিদতত্ত্ব বিজ্ঞান থাকা উচিত।
কথাবন্ধু: এই বিষয়ে পড়ার জন্য কি কোনো যোগ্যতা বা ভালো শিক্ষার্থী হওয়া জরুরি?
এম এইচ মিল্লাত: আমাদের দেশে চাহিদার তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী, দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো। এর মধ্যে অনেকেই মৃত বা দেশের বাইরে চলে গেছেন। ১৬ কোটি মানুষের জন্য চিকিৎসকের এই সংখ্যা খুবই কম। চিকিৎসক হতে হলে পরীক্ষায় যেমন ভালো ফল করতে হবে তেমনি মানুষের সেবা করার মানসিকতাও থাকতে হবে।
কথাবন্ধু: সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর মান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে?
এম এইচ মিল্লাত: আমাদের দেশে বর্তমানে ২১টি সরকারি ও ৪৩টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ছয় হাজারের কিছু বেশি আসন রয়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক আমাদের দেশে নেই। মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষকসংকট রয়েছে। তাই ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথম দেখতে হয়, সেখানে পড়ার মতো পরিবেশ আছে কি না। দ্বিতীয়ত, শিক্ষকের সংখ্যা ও ল্যাবরেটরিগুলো ঠিক আছে কি না, শিক্ষকেরা ঠিকমতো ক্লাস নিচ্ছেন কি না। খোঁজখবর নিয়ে তবেই ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিন।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে এফসিপিএস, এমডি ও এমএস ডিগ্রি অর্জনের ব্যবস্থাগুলো কী?
এম এইচ মিল্লাত: চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার জন্য আপনাকে এমবিবিএস ডিগ্রি নিতেই হবে। এরপরই আপনি উচ্চতর শিক্ষা নিতে পারেন। এ জন্য এফসিপিএস, এমডি বা এমএসের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ডিপ্লোমাও রয়েছে। এর সঙ্গে বিদেশি কিছু ডিগ্রি রয়েছে, যেমন—এফআরসিএস, এমআরসিপি বা এমডি আমেরিকান ইত্যাদি। এই ডিগ্রিগুলো দ্রুত করে ফেলা উচিত। এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রিগুলো করানো হয়। বাংলাদেশে যে পুরোনো সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো রয়েছে, যেমন—জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউট, কিডনি ইনস্টিটিউট বা মেন্টাল হেলথ—সব ইনস্টিটিউটেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন আছে। এর সঙ্গে ঢাকার বাইরে যেসব বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ এবং অন্যান্য মেডিকেল কলেজ রয়েছে, তাতেও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রির সুযোগ রয়েছে।
কথাবন্ধু: দেশের বাইরে কোন কোন দেশে এই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া যায়?
এম এইচ মিল্লাত: যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ সারা দুনিয়াই আমাদের জন্য খোলা। তবে দেশের বাইরে যাওয়াটা একটু কষ্টকর। তবে সমস্যা হলো, পড়াশোনা করে অনেকেই দেশে ফিরে আসেন না। আপনি কোন ডিগ্রি নিতে চান, সেটা বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিলে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে তারপর দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে যেতে পারেন।
কথাবন্ধু: যাঁরা এই পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী হবে?
এম এইচ মিল্লাত: অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। অধ্যবসায় থাকতে হবে। ভালো ছাত্র হতে হবে, এটা ঠিক নয়। আপনি যদি মাঝারি মানের ছাত্রও হন, আপনার যদি ইচ্ছা থাকে আপনি চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়বেন, চিকিৎসক হবেন, রোগীদের সঙ্গে সময় কাটাবেন, বিরক্ত না হয়ে তাদের কথা শুনবেন, লক্ষ্য ঠিক রেখে এগিয়ে যাবেন, তা হলেই আপনি চিকিৎসক হয়ে যান।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
কথাবন্ধু: মেডিকেলে পড়তে গেলে একজন শিক্ষার্থীর কোন বিষয়গুলোতে জোর দেওয়া উচিত?
এম এইচ মিল্লাত: বাংলাদেশে মেডিকেল বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের যে সিলেবাস রয়েছে, তা যথেষ্ট মানসম্পন্ন। বর্তমানে বাংলাদেশের চিকিৎসাবিজ্ঞান অনেক দূর এগিয়ে গেছে। মেডিকেলে পড়াশোনার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থাকতে হবে। একই সঙ্গে প্রাণিবিজ্ঞান বা উদ্ভিদতত্ত্ব বিজ্ঞান থাকা উচিত।
কথাবন্ধু: এই বিষয়ে পড়ার জন্য কি কোনো যোগ্যতা বা ভালো শিক্ষার্থী হওয়া জরুরি?
এম এইচ মিল্লাত: আমাদের দেশে চাহিদার তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী, দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো। এর মধ্যে অনেকেই মৃত বা দেশের বাইরে চলে গেছেন। ১৬ কোটি মানুষের জন্য চিকিৎসকের এই সংখ্যা খুবই কম। চিকিৎসক হতে হলে পরীক্ষায় যেমন ভালো ফল করতে হবে তেমনি মানুষের সেবা করার মানসিকতাও থাকতে হবে।
কথাবন্ধু: সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর মান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে?
এম এইচ মিল্লাত: আমাদের দেশে বর্তমানে ২১টি সরকারি ও ৪৩টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ছয় হাজারের কিছু বেশি আসন রয়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক আমাদের দেশে নেই। মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষকসংকট রয়েছে। তাই ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথম দেখতে হয়, সেখানে পড়ার মতো পরিবেশ আছে কি না। দ্বিতীয়ত, শিক্ষকের সংখ্যা ও ল্যাবরেটরিগুলো ঠিক আছে কি না, শিক্ষকেরা ঠিকমতো ক্লাস নিচ্ছেন কি না। খোঁজখবর নিয়ে তবেই ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিন।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে এফসিপিএস, এমডি ও এমএস ডিগ্রি অর্জনের ব্যবস্থাগুলো কী?
এম এইচ মিল্লাত: চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার জন্য আপনাকে এমবিবিএস ডিগ্রি নিতেই হবে। এরপরই আপনি উচ্চতর শিক্ষা নিতে পারেন। এ জন্য এফসিপিএস, এমডি বা এমএসের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ডিপ্লোমাও রয়েছে। এর সঙ্গে বিদেশি কিছু ডিগ্রি রয়েছে, যেমন—এফআরসিএস, এমআরসিপি বা এমডি আমেরিকান ইত্যাদি। এই ডিগ্রিগুলো দ্রুত করে ফেলা উচিত। এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রিগুলো করানো হয়। বাংলাদেশে যে পুরোনো সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো রয়েছে, যেমন—জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউট, কিডনি ইনস্টিটিউট বা মেন্টাল হেলথ—সব ইনস্টিটিউটেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন আছে। এর সঙ্গে ঢাকার বাইরে যেসব বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ এবং অন্যান্য মেডিকেল কলেজ রয়েছে, তাতেও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রির সুযোগ রয়েছে।
কথাবন্ধু: দেশের বাইরে কোন কোন দেশে এই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া যায়?
এম এইচ মিল্লাত: যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ সারা দুনিয়াই আমাদের জন্য খোলা। তবে দেশের বাইরে যাওয়াটা একটু কষ্টকর। তবে সমস্যা হলো, পড়াশোনা করে অনেকেই দেশে ফিরে আসেন না। আপনি কোন ডিগ্রি নিতে চান, সেটা বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিলে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে তারপর দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে যেতে পারেন।
কথাবন্ধু: যাঁরা এই পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী হবে?
এম এইচ মিল্লাত: অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। অধ্যবসায় থাকতে হবে। ভালো ছাত্র হতে হবে, এটা ঠিক নয়। আপনি যদি মাঝারি মানের ছাত্রও হন, আপনার যদি ইচ্ছা থাকে আপনি চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়বেন, চিকিৎসক হবেন, রোগীদের সঙ্গে সময় কাটাবেন, বিরক্ত না হয়ে তাদের কথা শুনবেন, লক্ষ্য ঠিক রেখে এগিয়ে যাবেন, তা হলেই আপনি চিকিৎসক হয়ে যান।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
No comments