জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন- রেলে নিয়োগ-বাণিজ্য
কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রেই যদি দুর্নীতি হয়, তবে সেই প্রতিষ্ঠান যে দুর্নীতিগ্রস্তদের আখড়ায় পরিণত হবে, তাতে সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ রেলওয়ে সে পথেই হাঁটছে। এমনিতেই বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতির অভিযোগের অন্ত নেই।
এখন ঘুষ-বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া আরও হাজার খানেক কর্মী যোগ হবেন এই প্রতিষ্ঠানে। দুর্নীতি না করলে নতুন নিয়োগ পাওয়া এই কর্মীরা চাকরির জন্য দেওয়া ঘুষের টাকা তুলবেন কীভাবে! কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে এই প্রতিষ্ঠানের সামনে!
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে এটা পরিষ্কার হয়েছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ছয় বিভাগে এক হাজার ৬৯টি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অবৈধ বাণিজ্য হয়েছে। এর সঙ্গে যেমন রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন খাতা মূল্যায়নকারী কয়েকজন শিক্ষকও। নিয়োগ নিয়ে যে বাণিজ্য হয়েছে, তা বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেল মন্ত্রণালয়ের আলাদা তদন্তেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতির প্রমাণ মিললেও তা বাতিল করা হচ্ছে না কেন—এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে রেলওয়ের মহাপরিচালক যা বললেন, তা স্রেফ দায়িত্বহীনতা ছাড়া কিছু নয়। যদি এ বিষয়ে তাঁর কিছু না জানা থাকে, তিনি রেলওয়ের এই দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন কেন? জনগণের টাকায় বেতন-ভাতা নিচ্ছেন কেন?
বিভিন্ন পদে যে নিয়োগ হয়েছে, তার মধ্যে ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩৬৯ জনকে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এই পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রার্থীপ্রতি চার লাখ থেকে সাত লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় কী পরিমাণ ঘুষের লেনদেন হয়েছে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। বস্তাভর্তি লাখ সত্তর টাকা নিয়ে রেলমন্ত্রীর এপিএস, এক মহাব্যবস্থাপক ও রেল পুলিশের কমান্ড্যান্ট ধরা পড়ার ঘটনায় শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীকে সরে যেতে হয়েছে। সে সময়ই অভিযোগ উঠেছিল, নিয়োগ-বাণিজ্য থেকে পাওয়া অর্থই উদ্ধার হয়েছিল গাড়ি থেকে।
দুদক, রেলওয়ে ও মন্ত্রণালয়ের তদন্তে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ায় শুরুতেই যে কাজটি করা প্রয়োজন, তা হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল করা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। এ ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ঘুষ দিয়ে বা দুর্নীতির মাধ্যমে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা কোনোভাবেই বৈধ হতে পারেন না।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির ব্যাপারে তারা শিগগিরই মামলা করতে যাচ্ছে এবং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ২৫ জনসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা আশা করব, দুদক সর্বোচ্চ সক্রিয় হয়ে মামলাটি পরিচালনা করবে এবং রেলওয়ের এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে। এ ধরনের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করাও আমাদের দেশ ও সমাজের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে এটা পরিষ্কার হয়েছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ছয় বিভাগে এক হাজার ৬৯টি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অবৈধ বাণিজ্য হয়েছে। এর সঙ্গে যেমন রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন খাতা মূল্যায়নকারী কয়েকজন শিক্ষকও। নিয়োগ নিয়ে যে বাণিজ্য হয়েছে, তা বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেল মন্ত্রণালয়ের আলাদা তদন্তেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতির প্রমাণ মিললেও তা বাতিল করা হচ্ছে না কেন—এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে রেলওয়ের মহাপরিচালক যা বললেন, তা স্রেফ দায়িত্বহীনতা ছাড়া কিছু নয়। যদি এ বিষয়ে তাঁর কিছু না জানা থাকে, তিনি রেলওয়ের এই দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন কেন? জনগণের টাকায় বেতন-ভাতা নিচ্ছেন কেন?
বিভিন্ন পদে যে নিয়োগ হয়েছে, তার মধ্যে ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩৬৯ জনকে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এই পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রার্থীপ্রতি চার লাখ থেকে সাত লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় কী পরিমাণ ঘুষের লেনদেন হয়েছে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। বস্তাভর্তি লাখ সত্তর টাকা নিয়ে রেলমন্ত্রীর এপিএস, এক মহাব্যবস্থাপক ও রেল পুলিশের কমান্ড্যান্ট ধরা পড়ার ঘটনায় শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীকে সরে যেতে হয়েছে। সে সময়ই অভিযোগ উঠেছিল, নিয়োগ-বাণিজ্য থেকে পাওয়া অর্থই উদ্ধার হয়েছিল গাড়ি থেকে।
দুদক, রেলওয়ে ও মন্ত্রণালয়ের তদন্তে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ায় শুরুতেই যে কাজটি করা প্রয়োজন, তা হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল করা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। এ ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ঘুষ দিয়ে বা দুর্নীতির মাধ্যমে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা কোনোভাবেই বৈধ হতে পারেন না।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির ব্যাপারে তারা শিগগিরই মামলা করতে যাচ্ছে এবং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ২৫ জনসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা আশা করব, দুদক সর্বোচ্চ সক্রিয় হয়ে মামলাটি পরিচালনা করবে এবং রেলওয়ের এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে। এ ধরনের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করাও আমাদের দেশ ও সমাজের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।
No comments