মাহফুজকে গ্রেফতার ও ব্যারিস্টার রফিককে টক শোতে নিষিদ্ধের দাবি- সাংবাদিক সমাবেশ থেকে ঘোষণা
সাংবাদিক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে এটিএন বাংলার চেয়াম্যান মাহফুজুর রহমানের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করার আবেদন জানানো হয়েছে সাংবাদিকদের সমাবেশ থেকে। একসঙ্গে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগে তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশ থেকে সাংবাদিক নেতারা বলেন, মাহফুজুর রহমান সাংবাদিক সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। নিজেকে সাংবাদিক সমাজের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সর্বশেষ তিনি সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করে গণতন্ত্র ও সাংবাদিক সমাজের প্রতি চরম অবমাননা দেখিয়েছেন। সমাবেশ থেকে ব্যারিস্টার রফিকুল হকের ভূমিকার সমালোচনা ও নিন্দা জানানো হয়েছে। তাঁর ভূমিকার কারণে কোন গণমাধ্যমে টক শোতে রফিকুল হকের আমন্ত্রণ না জানানোর জন্যও আহ্বান জানানো হয়।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার ছাড়াও বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল, সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতনভাতা পরিশোধ, কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠা, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রদান এবং মুক্তস্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দুই অংশ, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা কর্মসূচী পালন করেন।
এ ছাড়া সাগর-রুনীর হত্যাকা-ের ঘটনায় এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে তাঁর কাছ থেকে তথ্য আদায়ের দাবিতে ১৬ সেপ্টেম্বর এটিএন বাংলা কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাগর-রুনীর হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ অন্যান্য দাবি আদায় না হলে ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফের অবস্থান ও সমাবেশ করা হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, বিএফইউজের অপর অংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও বৈশাখী টেলিভিশনের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব মোল্লা জালাল, ডিইউজের একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ডিইউজের অপর অংশের সভাপতি আবদুশ শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন।
সমাবেশে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মাহফুজুর রহমান সাংবাদিক সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। নিজেকে সাংবাদিক সমাজের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সর্বশেষ তিনি মামলা করার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও সাংবাদিক সমাজের প্রতি চরম অবমাননা দেখিয়েছেন। সাগর-রুনীর হত্যাকা-ের ঘটনায় এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে তাঁর কাছ থেকে তথ্য আদায় করতে হবে। তিনি যেন বিদেশে পালাতে না পারেন সে ব্যবস্থা নিতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। ব্যারিস্টার রফিকুল হকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সাংবাদিক সমাজ আপনাকে শ্রদ্ধা করে। আপনার মতো ব্যক্তি যদি টাকার কারণে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, মাহফুজের পক্ষে কাজ করেন, তাহলে দেশে আর থাকল কি?’
বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের ভেতর থেকেই কেউ এ দুটি চ্যানেল বন্ধ করার চক্রান্ত করছে। এই চক্রান্তকারীদের চিহ্নিত করার জন্য এই চ্যানেল দুটির কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য মাহফুজুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সাংবাদিক সমাজের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। একইসঙ্গে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মুখোমুখি দাঁড় না করানোর জন্যও আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অপর অংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ব্যারিস্টার রফিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদের আমলে আপনি এ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। স্বৈরাচারকে রক্ষা করতে পারেননি। খুনীদেরও রক্ষা করতে পারবেন না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ব্যারিস্টার রফিকুল হক খুনীদের পক্ষ নিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রবীণ এই আইনজীবীকে কোন টক শোতে আমন্ত্রণ না জানানোর জন্য টিভি চ্যানেলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সাংবাদিক সমাজ মাহফুজুর রহমানকে কোন ছাড় দেবে না। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনীর হত্যার বিচার দাবিতে সাত মাস ধরে আন্দোলন করছি, কিন্তু বিচার পাচ্ছি না। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই খুনী না দেখে সাংবাদিকরা ঘরে ফিরবে না। প্রয়োজনে এক দিনের জন্য সংবাদপত্র বন্ধ এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রাইম টাইমে ব্লাক আউট করা হবে।
সাগর-রুনী হত্যাসহ সব সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতন তদন্তের দাবিতে ৫ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতারা। এ জন্য সরকারকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তাঁরা। দাবি আদায় না হলে প্রেসক্লাবের সামনে সুশীল সমাজ ও পেশাজীবী সংগঠন নিয়ে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়। একই সঙ্গে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করারও দাবি জানানো হয়। তা না হলে ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুনরায় অবস্থান ও সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং ১৬ সেপ্টেম্বর এটিএন বাংলা কার্যালয় ঘেরাও ও সমাবেশ করার ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার সমাবেশ চলাকালে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার দুই দিক থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যার ঘটনায় এটিএন বাংলার কার্যালয় ঘেরাও এবং সমাবেশ কর্মসূচীর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সোমবার চ্যানেলটির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান এক আবেদন করেন। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ফজলে এলাহী ভূঁইয়া আবেদনটি খারিজ করে দেন। মামলায় জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পত্রিকার সম্পাদকসহ ৫৯ জনকে বিবাদী করা হয়। আদালত বিবাদীদের জবাব দাখিলের জন্য ২৯ নবেম্বর দিন ধার্য করে সমনজারির আদেশ দেয়।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার ছাড়াও বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল, সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতনভাতা পরিশোধ, কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠা, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রদান এবং মুক্তস্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দুই অংশ, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা কর্মসূচী পালন করেন।
এ ছাড়া সাগর-রুনীর হত্যাকা-ের ঘটনায় এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে তাঁর কাছ থেকে তথ্য আদায়ের দাবিতে ১৬ সেপ্টেম্বর এটিএন বাংলা কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাগর-রুনীর হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ অন্যান্য দাবি আদায় না হলে ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফের অবস্থান ও সমাবেশ করা হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, বিএফইউজের অপর অংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও বৈশাখী টেলিভিশনের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব মোল্লা জালাল, ডিইউজের একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ডিইউজের অপর অংশের সভাপতি আবদুশ শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন।
সমাবেশে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মাহফুজুর রহমান সাংবাদিক সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। নিজেকে সাংবাদিক সমাজের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সর্বশেষ তিনি মামলা করার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও সাংবাদিক সমাজের প্রতি চরম অবমাননা দেখিয়েছেন। সাগর-রুনীর হত্যাকা-ের ঘটনায় এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে তাঁর কাছ থেকে তথ্য আদায় করতে হবে। তিনি যেন বিদেশে পালাতে না পারেন সে ব্যবস্থা নিতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। ব্যারিস্টার রফিকুল হকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সাংবাদিক সমাজ আপনাকে শ্রদ্ধা করে। আপনার মতো ব্যক্তি যদি টাকার কারণে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, মাহফুজের পক্ষে কাজ করেন, তাহলে দেশে আর থাকল কি?’
বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের ভেতর থেকেই কেউ এ দুটি চ্যানেল বন্ধ করার চক্রান্ত করছে। এই চক্রান্তকারীদের চিহ্নিত করার জন্য এই চ্যানেল দুটির কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য মাহফুজুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সাংবাদিক সমাজের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। একইসঙ্গে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মুখোমুখি দাঁড় না করানোর জন্যও আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অপর অংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ব্যারিস্টার রফিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদের আমলে আপনি এ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। স্বৈরাচারকে রক্ষা করতে পারেননি। খুনীদেরও রক্ষা করতে পারবেন না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ব্যারিস্টার রফিকুল হক খুনীদের পক্ষ নিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রবীণ এই আইনজীবীকে কোন টক শোতে আমন্ত্রণ না জানানোর জন্য টিভি চ্যানেলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সাংবাদিক সমাজ মাহফুজুর রহমানকে কোন ছাড় দেবে না। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনীর হত্যার বিচার দাবিতে সাত মাস ধরে আন্দোলন করছি, কিন্তু বিচার পাচ্ছি না। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই খুনী না দেখে সাংবাদিকরা ঘরে ফিরবে না। প্রয়োজনে এক দিনের জন্য সংবাদপত্র বন্ধ এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রাইম টাইমে ব্লাক আউট করা হবে।
সাগর-রুনী হত্যাসহ সব সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতন তদন্তের দাবিতে ৫ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতারা। এ জন্য সরকারকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তাঁরা। দাবি আদায় না হলে প্রেসক্লাবের সামনে সুশীল সমাজ ও পেশাজীবী সংগঠন নিয়ে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়। একই সঙ্গে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করারও দাবি জানানো হয়। তা না হলে ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুনরায় অবস্থান ও সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং ১৬ সেপ্টেম্বর এটিএন বাংলা কার্যালয় ঘেরাও ও সমাবেশ করার ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার সমাবেশ চলাকালে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার দুই দিক থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যার ঘটনায় এটিএন বাংলার কার্যালয় ঘেরাও এবং সমাবেশ কর্মসূচীর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সোমবার চ্যানেলটির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান এক আবেদন করেন। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ফজলে এলাহী ভূঁইয়া আবেদনটি খারিজ করে দেন। মামলায় জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পত্রিকার সম্পাদকসহ ৫৯ জনকে বিবাদী করা হয়। আদালত বিবাদীদের জবাব দাখিলের জন্য ২৯ নবেম্বর দিন ধার্য করে সমনজারির আদেশ দেয়।
No comments