বিরোধপূর্ণ দ্বীপের কাছে চীনের টহল জাহাজ-দ্বীপ কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে জাপান
পূর্ব চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি দুটি টহল জাহাজ পাঠিয়েছে বেইজিং। ইতিমধ্যে বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জটির তিনটি দ্বীপ কেনার প্রক্রিয়া শেষ করেছে জাপান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের 'সার্বভৌমত্বের দাবি' তুলে ধরতে জাহাজ পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে।
সংবাদ সংস্থাটি গতকাল মঙ্গলবার এ খবর নিশ্চিত করে জাপানকে সতর্ক করে বলেছে, 'ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ হলে চীন সরকার কেবল বসে বসে তা দেখবে না।' গতকালই জাপান দ্বীপ কেনা-সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করার কথা নিশ্চিত করে। আগের দিন সোমবার দ্বীপগুলো কেনা হচ্ছে বলে জানানো হয়। দ্বীপ তিনটির মালিকানা রয়েছে একটি জাপানি পরিবারের হাতে।
এ অবস্থায় এশিয়ার শক্তিশালী এ দুই অর্থনীতির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী এ দেশ দুটি দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপগুলোর মালিকানা দাবি করে আসছে। দ্বীপগুলোর অন্য দাবিদার তাইওয়ান ইতিমধ্যে জাপানের দ্বীপ কেনার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা জাপান সরকারের এ উদ্যোগকে 'চূড়ান্তভাবে বৈরী' বলে অভিহিত করেছে।
জনমানুষের বাসহীন এ তিন দ্বীপের পাশে আরো দুটি দ্বীপ রয়েছে। এ পাঁচ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীপপুঞ্জকে জাপানিরা 'সেনকাকু' বলে ডাকে। চীনারা বলে 'দিয়াওয়ু'। কৌশলগতভাবে জাহাজ চলাচল এলাকার পাশের এ দ্বীপগুলোর গুরুত্ব অনেক। এগুলোতে খনিজ সম্পদ রয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।
সিনহুয়া জানিয়েছে, জাহাজ দুটি পাঠিয়েছে চীনের সমুদ্রবিষয়ক কর্তৃপক্ষ। তবে এগুলো সশস্ত্র কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কয়েক দিন আগে জাপানি পত্রপত্রিকায় দ্বীপ কেনার ব্যাপারে খবর প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেইজিংয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে চীন সরকার। এর জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় তারা। প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াবাও বলেন, 'দ্বীপগুলো চীনা ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ।' তাঁর দেশ কোনোভাবেই সার্বভৌমত্বের 'এক ইঞ্চিও' ছেড়ে দেবে না। গত রবিবার রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে অ্যাপেক সম্মেলনের এক ফাঁকে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদার সঙ্গে বৈঠক করেন চিয়াবাও। সেখানেও তিনি দ্বীপ কেনার ব্যাপারে অগ্রসর না হতে নোদার প্রতি আহ্বান জানান। জাপানি মন্ত্রিপরিষদের মুখ্যসচিব ওসামু ফুজিমুরা গতকাল বলেন, 'দ্বীপ কেনার ফলে জাপানের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোসহ এ অঞ্চলের কোনো সমস্যা হওয়া উচিত হবে না। জাপান ও চীনের মধ্যে যে সম্পর্ক তাতে আমরা অবশ্যই এ ব্যাপারে পাল্টা কোনো জবাব আশা করি না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমাদের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে হবে।' প্রসঙ্গত, দ্বীপ তিনটির জন্য জাপান সরকারকে দিতে হচ্ছে দুই কোটি ৬০ লাখ ডলার। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
এ অবস্থায় এশিয়ার শক্তিশালী এ দুই অর্থনীতির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী এ দেশ দুটি দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপগুলোর মালিকানা দাবি করে আসছে। দ্বীপগুলোর অন্য দাবিদার তাইওয়ান ইতিমধ্যে জাপানের দ্বীপ কেনার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা জাপান সরকারের এ উদ্যোগকে 'চূড়ান্তভাবে বৈরী' বলে অভিহিত করেছে।
জনমানুষের বাসহীন এ তিন দ্বীপের পাশে আরো দুটি দ্বীপ রয়েছে। এ পাঁচ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীপপুঞ্জকে জাপানিরা 'সেনকাকু' বলে ডাকে। চীনারা বলে 'দিয়াওয়ু'। কৌশলগতভাবে জাহাজ চলাচল এলাকার পাশের এ দ্বীপগুলোর গুরুত্ব অনেক। এগুলোতে খনিজ সম্পদ রয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।
সিনহুয়া জানিয়েছে, জাহাজ দুটি পাঠিয়েছে চীনের সমুদ্রবিষয়ক কর্তৃপক্ষ। তবে এগুলো সশস্ত্র কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কয়েক দিন আগে জাপানি পত্রপত্রিকায় দ্বীপ কেনার ব্যাপারে খবর প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেইজিংয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে চীন সরকার। এর জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় তারা। প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াবাও বলেন, 'দ্বীপগুলো চীনা ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ।' তাঁর দেশ কোনোভাবেই সার্বভৌমত্বের 'এক ইঞ্চিও' ছেড়ে দেবে না। গত রবিবার রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে অ্যাপেক সম্মেলনের এক ফাঁকে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদার সঙ্গে বৈঠক করেন চিয়াবাও। সেখানেও তিনি দ্বীপ কেনার ব্যাপারে অগ্রসর না হতে নোদার প্রতি আহ্বান জানান। জাপানি মন্ত্রিপরিষদের মুখ্যসচিব ওসামু ফুজিমুরা গতকাল বলেন, 'দ্বীপ কেনার ফলে জাপানের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোসহ এ অঞ্চলের কোনো সমস্যা হওয়া উচিত হবে না। জাপান ও চীনের মধ্যে যে সম্পর্ক তাতে আমরা অবশ্যই এ ব্যাপারে পাল্টা কোনো জবাব আশা করি না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমাদের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে হবে।' প্রসঙ্গত, দ্বীপ তিনটির জন্য জাপান সরকারকে দিতে হচ্ছে দুই কোটি ৬০ লাখ ডলার। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments