টাইগারদের জন্য অশনিসঙ্কেত! by মিথুন আশরাফ
টি২০ বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো দলটির কাছে হেরে অশনিসঙ্কেতই পেল বাংলাদেশ। আজ শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে এখন সেই সংকেত দূর করার পালা শুরু হবে বাংলাদেশের। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই নেমে পড়তে হবে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান বধ করার মঞ্চে।
কিন্তু ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর বিরুদ্ধে হারটি আশঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। আবারও বাংলাদেশ পারবে অধরা হয়ে ওঠা দ্বিতীয় পর্বে খেলতে? এখন এই প্রশ্নই চতুর্দিকে ঘুরপাক খাচ্ছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশ শুধু ২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপেই দ্বিতীয় পর্বে খেলতে পেরেছে। এরপর ২০০৯ ও ২০১০ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিন্দুমাত্র সাফল্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় ঘণ্টা বেজেছে। দ্বিতীয় পর্ব যেন অধরাই হয়ে পড়েছে। এমনকি সেই যে ’০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে, এরপর টি২০ বিশ্বকাপে সর্বমোট তিনটি বিশ্বকাপ খেলে আর কোন জয়ের দেখাই মিলেনি।
এবার টাইগাররা অনেক আত্মবিশ্বাসী বলে দ্বিতীয় পর্বে খেলার আশা নিয়েই শ্রীলঙ্কায় গেছে। কিন্তু এর আগেই ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগোতে গিয়ে চারজাতি টি২০ ক্রিকেটে শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে যে হোঁচট খেয়েছে তাতে দলকে নিয়ে শঙ্কাই তৈরি হয়ে গেছে। যে দলটি ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগোর সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারে না, তারা নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিভাবে পারবে! সেই কথাও উঠছে। বিশ্বকাপের আগে ত্রিনিদাদ সফরটিকে সেরা প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে ধরা হয়েছিল। ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সুপার এইটে ওঠে। পোর্ট অব স্পেনেই হয়েছিল খেলা। এবার চারজাতি টি২০ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ পোর্ট অব স্পেনেই খেলেছে। শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো থেকে শেষবারের মতো সুখস্মৃতি নিয়েই বিশ্বকাপে খেলতে নামার আশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু হলোটা একেবারে উল্টো। টুর্নামেন্টে একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে বাংলাদেশই অংশ নেয়। এশিয়া থেকে আরেকটি দল ছিল আফগানিস্তান। আর ক্যারিবিয়ান দুটি দল খেলেছে। একটি বারবাডোজ, আরেকটি স্বাগতিক ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগো। যে দলের ক্রিকেটাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটিতে খেলে। প্রথম দুই ম্যাচে বারবাডোজ ও আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। টাইগারদের নিয়ে অনেক আশার সঞ্চয় হয়। ৫০ হাজার ডলার চ্যাম্পিয়ন দলকে দেয়া হবে। বাংলাদেশই পেতে যাচ্ছে পুরস্কার। তা ধরেই নেয়া হয়।
তৃতীয় ম্যাচে এসেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগো দলটিতে এবার টি২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কাইরন পোলার্ড, সুনীল নারায়ন, ডোয়াইন ব্রাভো ও ড্যারেন ব্রাভোদের মতো সেরা ক্রিকেটাররা ছিলেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাম্প থাকায় তারা কেউই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগোর ম্যাচটিতে অংশ নেননি। আগে থেকেই এ দলটিকে নিয়ে ভাবনা ছিল। কিন্তু যখন পোলার্ড, নায়ায়ণ ও ব্রাভো ভাইদ্বয়রা খেলেননি তখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলা গিয়েছিল। তাতেও কোন লাভ হয়নি। বাংলাদেশ হেরেই গেছে! ত্রিনিদাদে গিয়ে জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। আর শেষ হয়েছে হার দিয়ে। দুটি করে জয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে আফগানিস্তান হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। টুর্নামেন্টটিকে ‘এশিয়া বনাম ক্যারিবীয়’ নাম দিয়ে লড়াইয়ের আবহ তৈরি করা হয়েছিল। শুরুতে বাংলাদেশের দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখে একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করার ভাবনাই সবার মধ্যে থেকেছে। কিন্তু শেষে গিয়ে সব ওলটপালট হয়ে গেছে। ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগোর কাছে এসে ধরাশায়ী হয়েছে টাইগাররা।
‘এশিয়া বনাম ক্যারিবীয়’ লড়াইয়ে এশিয়ারই জয় হয়েছে। তবে জয়ী দলটি বাংলাদেশ হয়নি। হয়েছে উঠতি দল আফগানিস্তান। যারা আইসিসির সহযোগী দল। আর বাংলাদেশ টেস্ট খেলুড়ে দল হয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। আর এখানেই দলের জন্য অশনিসঙ্কেত হয়ে ধরা দিয়েছে। এখন এই সংকেত দূর করতে আজ শ্রীলঙ্কার মাটিতে পা রাখবে বাংলাদেশ। আর ১৫ সেপ্টেম্বর জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের জন্য শেষ প্রস্তুতি মিশন শুরু হবে। আর ১৭ সেপ্টেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের। দুটি ম্যাচই হবে কলম্বোয়।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের খেলা শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর। সেদিন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলবে টাইগাররা। আর ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচটিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হচ্ছে পাকিস্তান। টি২০ বিশ্বকাপে এবার ভাল করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে। জিম্বাবুইয়েতে গিয়ে তিনজাতি সিরিজ খেলেছে। জিম্বাবুইয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে একটি করে ম্যাচে হারিয়েছে, আরেকটি করে ম্যাচে হেরেছে। এই সিরিজের ফাইনালে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ইউরোপ সফরে আয়ারল্যান্ডে গিয়ে স্বাগতিকদের তিনটি টি২০ ম্যাচেই হারিয়েছে। কিন্তু স্কটল্যান্ডের কাছে হেরেছে। এরপর হল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে জিতলেও আরেকটিতে হেরেছে। এবার ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে গিয়ে চারজাতি টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় করা দূরে থাক প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে তৃতীয়টিতে হেরেছে। অর্থাৎ টি২০ বিশ্বকাপের জন্য দল অনেক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশ শুধু ২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপেই দ্বিতীয় পর্বে খেলতে পেরেছে। এরপর ২০০৯ ও ২০১০ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিন্দুমাত্র সাফল্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় ঘণ্টা বেজেছে। দ্বিতীয় পর্ব যেন অধরাই হয়ে পড়েছে। এমনকি সেই যে ’০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে, এরপর টি২০ বিশ্বকাপে সর্বমোট তিনটি বিশ্বকাপ খেলে আর কোন জয়ের দেখাই মিলেনি।
এবার টাইগাররা অনেক আত্মবিশ্বাসী বলে দ্বিতীয় পর্বে খেলার আশা নিয়েই শ্রীলঙ্কায় গেছে। কিন্তু এর আগেই ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগোতে গিয়ে চারজাতি টি২০ ক্রিকেটে শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে যে হোঁচট খেয়েছে তাতে দলকে নিয়ে শঙ্কাই তৈরি হয়ে গেছে। যে দলটি ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগোর সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারে না, তারা নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিভাবে পারবে! সেই কথাও উঠছে। বিশ্বকাপের আগে ত্রিনিদাদ সফরটিকে সেরা প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে ধরা হয়েছিল। ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সুপার এইটে ওঠে। পোর্ট অব স্পেনেই হয়েছিল খেলা। এবার চারজাতি টি২০ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ পোর্ট অব স্পেনেই খেলেছে। শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো থেকে শেষবারের মতো সুখস্মৃতি নিয়েই বিশ্বকাপে খেলতে নামার আশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু হলোটা একেবারে উল্টো। টুর্নামেন্টে একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে বাংলাদেশই অংশ নেয়। এশিয়া থেকে আরেকটি দল ছিল আফগানিস্তান। আর ক্যারিবিয়ান দুটি দল খেলেছে। একটি বারবাডোজ, আরেকটি স্বাগতিক ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগো। যে দলের ক্রিকেটাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটিতে খেলে। প্রথম দুই ম্যাচে বারবাডোজ ও আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। টাইগারদের নিয়ে অনেক আশার সঞ্চয় হয়। ৫০ হাজার ডলার চ্যাম্পিয়ন দলকে দেয়া হবে। বাংলাদেশই পেতে যাচ্ছে পুরস্কার। তা ধরেই নেয়া হয়।
তৃতীয় ম্যাচে এসেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগো দলটিতে এবার টি২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কাইরন পোলার্ড, সুনীল নারায়ন, ডোয়াইন ব্রাভো ও ড্যারেন ব্রাভোদের মতো সেরা ক্রিকেটাররা ছিলেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাম্প থাকায় তারা কেউই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগোর ম্যাচটিতে অংশ নেননি। আগে থেকেই এ দলটিকে নিয়ে ভাবনা ছিল। কিন্তু যখন পোলার্ড, নায়ায়ণ ও ব্রাভো ভাইদ্বয়রা খেলেননি তখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলা গিয়েছিল। তাতেও কোন লাভ হয়নি। বাংলাদেশ হেরেই গেছে! ত্রিনিদাদে গিয়ে জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। আর শেষ হয়েছে হার দিয়ে। দুটি করে জয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে আফগানিস্তান হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। টুর্নামেন্টটিকে ‘এশিয়া বনাম ক্যারিবীয়’ নাম দিয়ে লড়াইয়ের আবহ তৈরি করা হয়েছিল। শুরুতে বাংলাদেশের দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখে একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করার ভাবনাই সবার মধ্যে থেকেছে। কিন্তু শেষে গিয়ে সব ওলটপালট হয়ে গেছে। ত্রিনিদাদ এ্যান্ড টোবাগোর কাছে এসে ধরাশায়ী হয়েছে টাইগাররা।
‘এশিয়া বনাম ক্যারিবীয়’ লড়াইয়ে এশিয়ারই জয় হয়েছে। তবে জয়ী দলটি বাংলাদেশ হয়নি। হয়েছে উঠতি দল আফগানিস্তান। যারা আইসিসির সহযোগী দল। আর বাংলাদেশ টেস্ট খেলুড়ে দল হয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। আর এখানেই দলের জন্য অশনিসঙ্কেত হয়ে ধরা দিয়েছে। এখন এই সংকেত দূর করতে আজ শ্রীলঙ্কার মাটিতে পা রাখবে বাংলাদেশ। আর ১৫ সেপ্টেম্বর জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের জন্য শেষ প্রস্তুতি মিশন শুরু হবে। আর ১৭ সেপ্টেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের। দুটি ম্যাচই হবে কলম্বোয়।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের খেলা শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর। সেদিন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলবে টাইগাররা। আর ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচটিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হচ্ছে পাকিস্তান। টি২০ বিশ্বকাপে এবার ভাল করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে। জিম্বাবুইয়েতে গিয়ে তিনজাতি সিরিজ খেলেছে। জিম্বাবুইয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে একটি করে ম্যাচে হারিয়েছে, আরেকটি করে ম্যাচে হেরেছে। এই সিরিজের ফাইনালে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ইউরোপ সফরে আয়ারল্যান্ডে গিয়ে স্বাগতিকদের তিনটি টি২০ ম্যাচেই হারিয়েছে। কিন্তু স্কটল্যান্ডের কাছে হেরেছে। এরপর হল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে জিতলেও আরেকটিতে হেরেছে। এবার ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে গিয়ে চারজাতি টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় করা দূরে থাক প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে তৃতীয়টিতে হেরেছে। অর্থাৎ টি২০ বিশ্বকাপের জন্য দল অনেক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে।
No comments